করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারি সিদ্ধান্তে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত না করে গাজীপুরের টঙ্গীর বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলছে। এ ছাড়া টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকায় প্রায় শতাধিক কোচিং সেন্টারে চলছে নিয়মিত পাঠদান।

গত কয়েক মাস থেকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে নগরীর বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা। নিচ্ছেন চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কয়েকশ শিক্ষার্থীর ক্লাস। শারীরিক দূরত্ব না মেনেই এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বসছেন। নেই হাত ধোয়ার সাবান, পানির ব্যবস্থা বা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অনেক শিক্ষকও মাস্ক ব্যবহার না করেই ক্লাস নিচ্ছেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকেরা।

আজ রোববার সকালে টঙ্গীর বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। দেখা যায় টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকার শাহীন ক্যাডেট একাডেমি, সিলমুন এলাকায় মালেক মুন্সি উচ্চ বিদ্যালয়, দেওড়া এলাকার তোফাজ্জল হোসেন একাডেমি, এরশাদ নগর এলাকার টঙ্গী শিশু নিকেতন, জামাই বাজার এলাকার আসমা কিন্ডার গার্টেন, মরকুন এলাকার আকাল মাহমুদ বিদ্যানিকেতন, নতুন কুঁড়ি বিদ্যানিকেতন, টঙ্গী রেলওয়ে শিশু নিকেতন এমনি আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে।

অভিভাবকেরা বলছেন, সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে নিজেদের খেয়াল খুশিমতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে পাঠদান শুরু করেছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা। আর আমরাও ছেলে মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাতে বাধ্য।

বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের বক্তব্য, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কথা ভেবেই আমরা সীমিত পরিসরে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছি। আপনার বললে বন্ধ করে দেব।

টঙ্গী থানা শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) শিখা বলেন, বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেয়েছি। আমরা কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে সতর্ক করেছি। বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে গাজীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা বলেন, আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা স্কুল চালু থাকার ব্যাপারে নজরদারি করছেন। প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।