ঢাবি প্রতিনিধি
সারা দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় গতকাল মধ্যরাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে ছেলেদের বিভিন্ন হলে গিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও শাখা নেতা-কর্মীদের কক্ষে ভাঙচুরসহ তাঁদের জিনিসপত্র পুড়িয়ে দিচ্ছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি আল আমিন রহমান, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক ও হল সভাপতি মেহেদী হাসান শান্তর কক্ষ ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। শান্তর মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। তাঁর কক্ষে থাকা জিনিসপত্রও বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানে কক্ষেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
বিজয় একাত্তর হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, হল সভাপতি সজীবুর রহমান সজীব ও সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুসের কক্ষে ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী। শুধু তাই নয়, বিজয় একাত্তর হল সংসদের কক্ষেও ভাঙচুর চালিয়েছেন তাঁরা।
কবি জসীমউদ্দীনন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের কক্ষে ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর কক্ষের জিনিসপত্রও বাইরে ফেলে আগুন দিয়েছেন।
মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাঝহারুল কবির শয়নের কক্ষসহ (৩৪৪) ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীর কক্ষেও ভাঙচুর করা হয়।
এ সময় হল শাখা ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মীকে পেলে তাঁদের উপর্যুপরি কিল-ঘুষি, মারধর দিয়ে হল থেকে বের করে দিচ্ছেন তাঁরা।
এর আগে বুধবার ভোর থেকেই ‘আমার ভাই নিহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগানে মুখরিত হতে থাকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের কক্ষসহ বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা।
হল চত্বর এলাকায় দেখা যায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল থেকে স্লোগান দিয়ে বের হয়ে হলের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। তবে তারা নির্লিপ্ত ভূমিকায় রয়েছে।
এরই মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন হলকে সন্ত্রাসমুক্ত করছে। আপনারা কাজটি অব্যাহত রাখুন এবং সবাই সংঘবদ্ধ থাকুন। যদি কোথাও কোনো বাধা আসে, তাহলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা মোকাবিলা করব। এখন থেকে হল পরিচালনা করবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।’
এর আগে গতকাল মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকা বিনতে হোসেনসহ ১০ জন ছাত্রলীগ নেত্রীকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে দেন শিক্ষার্থীরা।
পরে ছাত্রলীগের নেত্রীরা হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নিলুফার পারভীনের কাছে আশ্রয় নেন। প্রাধ্যক্ষের বাংলোয় গিয়ে ‘রোকেয়া হল ছাত্রলীগ ও রাজনীতিমুক্ত করা হলো’ ঘোষণা সংবলিত স্বাক্ষরসহ লিখিত নেন শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল ৮টার মধ্যে ছাত্রলীগের নেত্রীদের হল ত্যাগের আল্টিমেটাম দেন ছাত্রীদের বাকি চার হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
পরে রাত ৩টার সময় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীরা হল শাখা ছাত্রলীগের চিহ্নিত নেতা-কর্মীদের হল থেকে বের করে দেন এবং তাঁদের কক্ষ ভাঙচুর করেন। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হল গেটে এসে একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান।
সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হল থেকে চলে যান। শিক্ষার্থীরা তাঁদের কক্ষ ভাঙচুর করেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতারা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান।
সারা দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় গতকাল মধ্যরাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে ছেলেদের বিভিন্ন হলে গিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও শাখা নেতা-কর্মীদের কক্ষে ভাঙচুরসহ তাঁদের জিনিসপত্র পুড়িয়ে দিচ্ছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি আল আমিন রহমান, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক ও হল সভাপতি মেহেদী হাসান শান্তর কক্ষ ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। শান্তর মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। তাঁর কক্ষে থাকা জিনিসপত্রও বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানে কক্ষেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
বিজয় একাত্তর হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, হল সভাপতি সজীবুর রহমান সজীব ও সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুসের কক্ষে ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী। শুধু তাই নয়, বিজয় একাত্তর হল সংসদের কক্ষেও ভাঙচুর চালিয়েছেন তাঁরা।
কবি জসীমউদ্দীনন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের কক্ষে ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর কক্ষের জিনিসপত্রও বাইরে ফেলে আগুন দিয়েছেন।
মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাঝহারুল কবির শয়নের কক্ষসহ (৩৪৪) ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীর কক্ষেও ভাঙচুর করা হয়।
এ সময় হল শাখা ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মীকে পেলে তাঁদের উপর্যুপরি কিল-ঘুষি, মারধর দিয়ে হল থেকে বের করে দিচ্ছেন তাঁরা।
এর আগে বুধবার ভোর থেকেই ‘আমার ভাই নিহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগানে মুখরিত হতে থাকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের কক্ষসহ বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা।
হল চত্বর এলাকায় দেখা যায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল থেকে স্লোগান দিয়ে বের হয়ে হলের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। তবে তারা নির্লিপ্ত ভূমিকায় রয়েছে।
এরই মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন হলকে সন্ত্রাসমুক্ত করছে। আপনারা কাজটি অব্যাহত রাখুন এবং সবাই সংঘবদ্ধ থাকুন। যদি কোথাও কোনো বাধা আসে, তাহলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা মোকাবিলা করব। এখন থেকে হল পরিচালনা করবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।’
এর আগে গতকাল মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকা বিনতে হোসেনসহ ১০ জন ছাত্রলীগ নেত্রীকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে দেন শিক্ষার্থীরা।
পরে ছাত্রলীগের নেত্রীরা হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নিলুফার পারভীনের কাছে আশ্রয় নেন। প্রাধ্যক্ষের বাংলোয় গিয়ে ‘রোকেয়া হল ছাত্রলীগ ও রাজনীতিমুক্ত করা হলো’ ঘোষণা সংবলিত স্বাক্ষরসহ লিখিত নেন শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল ৮টার মধ্যে ছাত্রলীগের নেত্রীদের হল ত্যাগের আল্টিমেটাম দেন ছাত্রীদের বাকি চার হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
পরে রাত ৩টার সময় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীরা হল শাখা ছাত্রলীগের চিহ্নিত নেতা-কর্মীদের হল থেকে বের করে দেন এবং তাঁদের কক্ষ ভাঙচুর করেন। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হল গেটে এসে একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান।
সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হল থেকে চলে যান। শিক্ষার্থীরা তাঁদের কক্ষ ভাঙচুর করেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতারা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুজনকে আটক করে
৩ ঘণ্টা আগেউত্তরবঙ্গে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবিতে দফায় দফায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ সমাবেশের পর এবার রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রংপুরের ছাত্র-জনতা। আগামী তিন দিনের মধ্যে উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া না হলে এ কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা
৪ ঘণ্টা আগেপাবনা শহরে রাতের আঁধারে তুষার হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার রাত ৯টার দিকে শহরের খেয়াঘাট রোডে বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেটঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আয়োজন করবেন তাবলিগ জামাতের মাওলানা জুবায়েরপন্থীরা। দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন করবেন মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত কার্যবিবরণী প্রকাশ করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে