এসপি বাবুল-সাংবাদিক ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ ১১ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৭: ৫০

পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আকতার ও সাংবাদিক ইলিয়াসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য আগামী ১১ মে তারিখ ধার্য করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম এই তারিখ ধার্য করেন।

আজ অভিযোগ পত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার নথি একটি রিভিশন আবেদন শুনানির জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে থাকায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চিপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মাহফুযুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ৯ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন—বাবুল আকতারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া।

এদের মধ্যে বাবুল আকতারকে গত বছর ১০ নভেম্বর এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তিনি কারাগারে আছেন। বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া জামিনে আছেন।

এর আগে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তবে বিশেষ ক্ষমতা আইনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

বাদী বনজ কুমার এজাহারে উল্লেখ করেন, তাঁর নেতৃত্বাধীন তদন্ত সংস্থা পিবিআই দেশের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্তাধীন থাকাকালে প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের নাম বেরিয়ে এলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু মিতু হত্যার মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নিতে ও পুলিশ-পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য জেলে থাকা বাবুল আকতার এবং অপর আসামিরা দেশ-বিদেশে অবস্থান করে অপরাধমূলক বিভিন্ন অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আকতার ও অন্যান্য আসামিদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্ররোচনায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তাঁর ইউটিউবে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করেন। 

এজাহারে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে ইলিয়াস হোসাইন ভিডিওতে প্রচারিত বক্তব্যে দেশের ভাবমূর্তি এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উসকানি, বাংলাদেশ পুলিশ এবং পিবিআই ও বিশেষ করে বাদীর (বনজ কুমার মজুমদার) মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছেন। যা দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করেছে।

এজাহারে ওই ভিডিওর বিভিন্ন অভিযোগ খণ্ডন করে বলা হয়, ইলিয়াস তার বক্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করা, রাষ্ট্রের হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা-বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস করেছেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, শুধুমাত্র মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারকাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু, তাঁর বাবা আসামি আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও আসামি বাবুল আকতারের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্ররোচনায় সাংবাদিক ইলিয়াস মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুক-ইউটিউবে দেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্য সম্পর্কের ঐতিহাসিক যুগে বাংলাদেশ–পাকিস্তান, শঙ্কায় ভারত

দ্রুত বেতন-ভাতা পাবে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান

দেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর উদ্যোগ, সুযোগ পেতে পারে ইলন মাস্কের স্টারলিংক

গাজীপুরে বেতন পেলেন ৫ কারখানার সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক, কাজে যোগ দেবে কাল

মালামালের সঙ্গে শিশুকেও তুলে নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত