নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হাজার মানুষের উৎসুক চোখ বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত দুটি ভবনের দিকে। কেউ কারও দিকে তাকাচ্ছে না। ক্রাইম সিনের ঘিরে রাখা সীমানার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা এসব মানুষের পুরো মনোযোগ ভবন দুটির ভেতরে। এত মানুষের ভেতরে আলাদাভাবে নজর কাড়ে ৯ বছরের এক ফুটফুটে শিশু। সবাই যখন হতবিহ্বল দাঁড়িয়ে তখন এই শিশু দুই হাত তুলে মোনাজাত করছে। মুখে কোনো কথা নেই, যত কথা সব তার মায়াভরা চোখ জোড়ায়। মোনাজাতে কী চাইছে সে? তৎক্ষণাৎ জানা না গেলেও বোঝা গেল, তার ছলছল চোখ দেখে। হয়তো এই ভবনের বিস্ফোরণে সে হারিয়েছে আপনজন। ততক্ষণে তাকে ঘিরে সংবাদকর্মী ও সাধারণ মানুষের হুল্লোড় শুরু হয়ে গেছে। এতে নিবিষ্ট মোনাজাতে ছেদ পড়ে। অনেকেই জানতে চায় কে এই শিশু? কান্না চাপা কণ্ঠে নিজের নাম জানায়, সামিত।
বাবা মোমিন উদ্দিন সুমনের কুইন টাওয়ারে স্যানিটারি পণ্যের ব্যবসা। বিস্ফোরণের আগে তার বাবা এই ভবনে ঢোকেন। তারপর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই বাবাকে ফিরে পেতে সামিতের নীরব মোনাজাত। এসব বলতেই ফুঁপিয়ে কান্না করছিল, পরে তা হেঁচকি কান্নায় রূপ নেয়। তার কান্না সকলকে ছুঁয়ে যায়। এরপরে সামিতসহ তার পরিবারের অন্যদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাড়িতে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর বিকেল ৫টায় তার বাবা মোমিন উদ্দিন সুমনের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয় ভবনের বেসমেন্ট থেকে। সঙ্গে উদ্ধার হয় তাঁর কর্মচারী রবিনের মরদেহও।
শোকাবহ এই পরিবেশে সামিতসহ তার পরিবারের আর কারও সঙ্গেই কথা বলার মতো অবস্থা ছিল না। তবে তার বাবার বাল্যবন্ধু মঞ্জুর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, নিহত সুমন আনিকা স্যানিটারির স্বত্বাধিকারী। তিন ভাই, বাবা-মা, স্ত্রী আর দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে তাঁর সংসার। ব্যবসা আর পুরো পরিবার দুই হাতে সামলাত সে। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষ শোকে পাথর হয়ে গেছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে রাজধানীর সিদ্দিকবাজারের নর্থ সাউথ রোডের কুইন টাওয়ার ও পাশের ভবনে। সেই বিস্ফোরণে প্রায় ২৪ ঘণ্টা নিখোঁজ ছিলেন সুমন। গতকাল বুধবার সকালে ভবন দুটিতে ফায়ার সার্ভিস দ্বিতীয় দফা উদ্ধার কাজ শুরু করে। তার আগে থেকেই আরও তিনটি পরিবারকে তাদের স্বজনদের সন্ধানে অপেক্ষা করতে দেখা যায় সেখানে। তাদের মধ্যে রবিন হোসেন শান্তর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে তার মালিক সুমনের সঙ্গে।
রবিনের ভাই শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা লাশ পেয়েছি। সেটা বুঝিয়ে নিতে ঢাকা মেডিকেলে যাচ্ছি।’
নিখোঁজদের মধ্যে মেহেদি হাসান স্বপন ও আব্দুল মালেকের সন্ধান মেলেনি গতকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। ঢাকা মেডিকেল, মিটফোর্ড, বারডেমসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ করেও তার সন্ধান না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে অপেক্ষা করছিল স্বজনরা। স্বপনের বোন জামাই গতকাল সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জীবিত আর পাওয়া যাবে না জানি। হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে আমরা হতাশ হয়ে ভবনের সামনে অপেক্ষা করছি। নিখোঁজ থাকা দুজনের মরদেহ যখন এখান থেকে পাওয়া গেছে। আশা করছি স্বপনকেও এখান থেকে পাওয়া যাবে।’
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত হওয়া গেছে ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা মেডিকেল সূত্রে। বেশির ভাগই প্রাণ হারিয়েছেন আঘাত ও রক্তক্ষরণের কারণে। কারও মুখ, মাথা, বুক ও হাত-পা থেঁতলানো। কারও আবার বিস্ফোরণে ভেঙে আসা কাচ ঢুকেছে গলা দিয়ে। কুইন টাওয়ারের পাশের ভবনে ইউসুফ স্যানিটারির মালিক নুরুল ইসলাম ভূঁইয়াও (৫৫) বিস্ফোরণে প্রাণ হারান। তার মরদেহ দেখে এসে ছোট ভাই তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া (৫৩) স্বজনদের বলেন, ‘ভাইয়েরেতো চেনা যায় না। মুখ পুইড়া ছাই। একটা দাড়িও নাই!’
মঙ্গলার বিকেলে বাবার ফোন পেয়ে তার পান-সিগারেটের দোকানে সহায়তা করতে গুলিস্থান যাচ্ছিলেন হৃদয় মিয়া। পথেই বিস্ফোরণের মাঝে পড়েন এবং সেখানেই প্রাণ হারান। মরদেহ পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। সেই মরদেহের বর্ণনা দিয়ে আজকের পত্রিকাকে তার খালু জয়নাল মিয়া বলেন, ‘হৃদয়ের মুখের এক পাশ পুইড়া গেছে। দেখলে ডর লাগে। পুইরা যাওয়া মুখ দেখলে চেনার উপায় নাই।’
নিহত অন্যরা হলেন—মো. সুমন (২১), ইসহাক মৃধা (৩৫), মুনসুর হোসেন (৪০), মো. ইসমাইল (৪২), আল আমিন (২৩), রাহাত (১৮), মমিনুল ইসলাম (৩৮), নদী বেগম (৩৬), মাঈন উদ্দিন (৫০), নাজমুল হোসেন (২৫), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), আকৃতি বেগম (৭০), মো. ইদ্রিস মীর (৬০) এবং আব্দুল হাসিম সিয়াম (৩৫)। সবগুলো মরদেহই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আহতদের আহাজারি ও চিৎকারে ঢাকা মেডিকেলের পরিবেশ ভারী ছিল ঘটনার দিন রাতে। সেই রাতেই জরুরি বিভাগের বাইরে স্ট্রেচারে গুরুতর আহত জামাল শিকদারকে (৩৫) কাতরাতে দেখা যায়। তার মাথা ও পায়ে থেঁতলে যাওয়া ভয়ানক জখম। জখমে জড়ানো সাদা ব্যান্ডেজ রক্তে লাল। মাথার সিটি স্ক্যান ও পায়ের এক্স-রে করা হয়েছে। তার স্ত্রী মুন্নি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটু পর পর ব্যথায় তিনি (তার স্বামী) চিৎকার করে উঠছে। আর বাকি সময় দাঁতে দাঁত চেপে ব্যথা সহ্য করার চেষ্টা করছেন। এই ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছে ২০ জন দগ্ধ ও আঘাতের রোগী। তাদের মধ্যে ছয়জন দগ্ধ রোগী আছেন বার্ন ইউনিটে। সংকটাপন্ন ১০ জন দগ্ধ রোগী ভর্তি আছেন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে। সব মিলিয়ে ঢাকা মেডিকেলের সাধারণ বিভাগ, বার্ন ইউনিট ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন ৩০ জন।
বার্ন ইনস্টিটিউটে ৯৮ ভাগ দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন মো. মুসা নামে এক ব্যক্তি। এ ছাড়া ৫৫,৮০, ৪০ ও ৫৫ ভাগ দগ্ধ হয়েও অনেকেই ভর্তি আছেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। এসব রোগীদের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যারা চিকিৎসাধীন আছে তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত না। সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে পারি, যেহেতু সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে তাই আমরা শঙ্কামুক্ত বলতে পারব না।’
এ ছাড়া রাজধানী ও সাভারের অন্যান্য হাসপাতালেও অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। অনেকেই আবার হালকা জখম বা আঘাত পেয়ে ঘটনার দিনই ঢাকা মেডিকেল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন।
হাজার মানুষের উৎসুক চোখ বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত দুটি ভবনের দিকে। কেউ কারও দিকে তাকাচ্ছে না। ক্রাইম সিনের ঘিরে রাখা সীমানার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা এসব মানুষের পুরো মনোযোগ ভবন দুটির ভেতরে। এত মানুষের ভেতরে আলাদাভাবে নজর কাড়ে ৯ বছরের এক ফুটফুটে শিশু। সবাই যখন হতবিহ্বল দাঁড়িয়ে তখন এই শিশু দুই হাত তুলে মোনাজাত করছে। মুখে কোনো কথা নেই, যত কথা সব তার মায়াভরা চোখ জোড়ায়। মোনাজাতে কী চাইছে সে? তৎক্ষণাৎ জানা না গেলেও বোঝা গেল, তার ছলছল চোখ দেখে। হয়তো এই ভবনের বিস্ফোরণে সে হারিয়েছে আপনজন। ততক্ষণে তাকে ঘিরে সংবাদকর্মী ও সাধারণ মানুষের হুল্লোড় শুরু হয়ে গেছে। এতে নিবিষ্ট মোনাজাতে ছেদ পড়ে। অনেকেই জানতে চায় কে এই শিশু? কান্না চাপা কণ্ঠে নিজের নাম জানায়, সামিত।
বাবা মোমিন উদ্দিন সুমনের কুইন টাওয়ারে স্যানিটারি পণ্যের ব্যবসা। বিস্ফোরণের আগে তার বাবা এই ভবনে ঢোকেন। তারপর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই বাবাকে ফিরে পেতে সামিতের নীরব মোনাজাত। এসব বলতেই ফুঁপিয়ে কান্না করছিল, পরে তা হেঁচকি কান্নায় রূপ নেয়। তার কান্না সকলকে ছুঁয়ে যায়। এরপরে সামিতসহ তার পরিবারের অন্যদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাড়িতে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর বিকেল ৫টায় তার বাবা মোমিন উদ্দিন সুমনের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয় ভবনের বেসমেন্ট থেকে। সঙ্গে উদ্ধার হয় তাঁর কর্মচারী রবিনের মরদেহও।
শোকাবহ এই পরিবেশে সামিতসহ তার পরিবারের আর কারও সঙ্গেই কথা বলার মতো অবস্থা ছিল না। তবে তার বাবার বাল্যবন্ধু মঞ্জুর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, নিহত সুমন আনিকা স্যানিটারির স্বত্বাধিকারী। তিন ভাই, বাবা-মা, স্ত্রী আর দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে তাঁর সংসার। ব্যবসা আর পুরো পরিবার দুই হাতে সামলাত সে। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষ শোকে পাথর হয়ে গেছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে রাজধানীর সিদ্দিকবাজারের নর্থ সাউথ রোডের কুইন টাওয়ার ও পাশের ভবনে। সেই বিস্ফোরণে প্রায় ২৪ ঘণ্টা নিখোঁজ ছিলেন সুমন। গতকাল বুধবার সকালে ভবন দুটিতে ফায়ার সার্ভিস দ্বিতীয় দফা উদ্ধার কাজ শুরু করে। তার আগে থেকেই আরও তিনটি পরিবারকে তাদের স্বজনদের সন্ধানে অপেক্ষা করতে দেখা যায় সেখানে। তাদের মধ্যে রবিন হোসেন শান্তর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে তার মালিক সুমনের সঙ্গে।
রবিনের ভাই শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা লাশ পেয়েছি। সেটা বুঝিয়ে নিতে ঢাকা মেডিকেলে যাচ্ছি।’
নিখোঁজদের মধ্যে মেহেদি হাসান স্বপন ও আব্দুল মালেকের সন্ধান মেলেনি গতকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। ঢাকা মেডিকেল, মিটফোর্ড, বারডেমসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ করেও তার সন্ধান না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে অপেক্ষা করছিল স্বজনরা। স্বপনের বোন জামাই গতকাল সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জীবিত আর পাওয়া যাবে না জানি। হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে আমরা হতাশ হয়ে ভবনের সামনে অপেক্ষা করছি। নিখোঁজ থাকা দুজনের মরদেহ যখন এখান থেকে পাওয়া গেছে। আশা করছি স্বপনকেও এখান থেকে পাওয়া যাবে।’
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত হওয়া গেছে ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা মেডিকেল সূত্রে। বেশির ভাগই প্রাণ হারিয়েছেন আঘাত ও রক্তক্ষরণের কারণে। কারও মুখ, মাথা, বুক ও হাত-পা থেঁতলানো। কারও আবার বিস্ফোরণে ভেঙে আসা কাচ ঢুকেছে গলা দিয়ে। কুইন টাওয়ারের পাশের ভবনে ইউসুফ স্যানিটারির মালিক নুরুল ইসলাম ভূঁইয়াও (৫৫) বিস্ফোরণে প্রাণ হারান। তার মরদেহ দেখে এসে ছোট ভাই তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া (৫৩) স্বজনদের বলেন, ‘ভাইয়েরেতো চেনা যায় না। মুখ পুইড়া ছাই। একটা দাড়িও নাই!’
মঙ্গলার বিকেলে বাবার ফোন পেয়ে তার পান-সিগারেটের দোকানে সহায়তা করতে গুলিস্থান যাচ্ছিলেন হৃদয় মিয়া। পথেই বিস্ফোরণের মাঝে পড়েন এবং সেখানেই প্রাণ হারান। মরদেহ পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। সেই মরদেহের বর্ণনা দিয়ে আজকের পত্রিকাকে তার খালু জয়নাল মিয়া বলেন, ‘হৃদয়ের মুখের এক পাশ পুইড়া গেছে। দেখলে ডর লাগে। পুইরা যাওয়া মুখ দেখলে চেনার উপায় নাই।’
নিহত অন্যরা হলেন—মো. সুমন (২১), ইসহাক মৃধা (৩৫), মুনসুর হোসেন (৪০), মো. ইসমাইল (৪২), আল আমিন (২৩), রাহাত (১৮), মমিনুল ইসলাম (৩৮), নদী বেগম (৩৬), মাঈন উদ্দিন (৫০), নাজমুল হোসেন (২৫), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), আকৃতি বেগম (৭০), মো. ইদ্রিস মীর (৬০) এবং আব্দুল হাসিম সিয়াম (৩৫)। সবগুলো মরদেহই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আহতদের আহাজারি ও চিৎকারে ঢাকা মেডিকেলের পরিবেশ ভারী ছিল ঘটনার দিন রাতে। সেই রাতেই জরুরি বিভাগের বাইরে স্ট্রেচারে গুরুতর আহত জামাল শিকদারকে (৩৫) কাতরাতে দেখা যায়। তার মাথা ও পায়ে থেঁতলে যাওয়া ভয়ানক জখম। জখমে জড়ানো সাদা ব্যান্ডেজ রক্তে লাল। মাথার সিটি স্ক্যান ও পায়ের এক্স-রে করা হয়েছে। তার স্ত্রী মুন্নি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটু পর পর ব্যথায় তিনি (তার স্বামী) চিৎকার করে উঠছে। আর বাকি সময় দাঁতে দাঁত চেপে ব্যথা সহ্য করার চেষ্টা করছেন। এই ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছে ২০ জন দগ্ধ ও আঘাতের রোগী। তাদের মধ্যে ছয়জন দগ্ধ রোগী আছেন বার্ন ইউনিটে। সংকটাপন্ন ১০ জন দগ্ধ রোগী ভর্তি আছেন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে। সব মিলিয়ে ঢাকা মেডিকেলের সাধারণ বিভাগ, বার্ন ইউনিট ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন ৩০ জন।
বার্ন ইনস্টিটিউটে ৯৮ ভাগ দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন মো. মুসা নামে এক ব্যক্তি। এ ছাড়া ৫৫,৮০, ৪০ ও ৫৫ ভাগ দগ্ধ হয়েও অনেকেই ভর্তি আছেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। এসব রোগীদের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যারা চিকিৎসাধীন আছে তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত না। সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে পারি, যেহেতু সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে তাই আমরা শঙ্কামুক্ত বলতে পারব না।’
এ ছাড়া রাজধানী ও সাভারের অন্যান্য হাসপাতালেও অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। অনেকেই আবার হালকা জখম বা আঘাত পেয়ে ঘটনার দিনই ঢাকা মেডিকেল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন।
রাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার জগতি রেলস্টেশনে আন্তনগর ট্রেন থামানো, স্টেশন আধুনিকায়নসহ ছয় দফা দাবিতে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের মিঠাপুকুরে জামাই-শ্বশুরের বিবাদ থামাতে গিয়ে সোহান আহমেদ (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাইকান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সোহান ওই গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেশেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন দিয়ে এরশাদুল হক নামে এক যুবকের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। আজ শুক্রবার দুপুরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও দুই দেশের পুলিশের উপস্থিতিতে ওই লাশ হস্তান্তর করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে