কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘আমি তারেক রহমানকে কোনো দিন ক্ষমা করব না। তিনি যদি বদল হইতেন, হাওয়া ভবন নিয়ে মাফ চাইতেন, দেশের মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতেন, শুধু টাকার ওপরে নির্ভর করে রাজনীতি না করতেন, তাহলে হয়তো বিবেচনা করতাম।’ 

আজ সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইলে তাঁর নিজ বাসভবন সোনার বাংলা মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। 

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমি চাই দেশে মূল্যবোধ থাকুক। এমন যাতে না হয়, এত দূরত্ব বিএনপির মসজিদে আওয়ামী লীগ যাবে না, আওয়ামী লীগের মসজিদে বিএনপি যাবে না। আওয়ামী লীগের গোরস্থানে বিএনপির কবর দেওয়া যাবেন না। বিএনপির কবরস্থানে আওয়ামী লীগের কবর দেওয়া যাবে না। আমরা এমন একটা সময়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও এগোচ্ছি।’

বীর উত্তম কাদের সিদ্দিকী ভিসা নীতি সম্পর্কে বলেন, ‘যাতে কেউ নির্বাচনে বাধা না দেয়, এর জন্য যে ভিসা নীতি আসল—এটা আমাদের অপমান করা ছাড়া আর কিছু নয়। নির্বাচনে যে বাধা দেবে, দেশের প্রচলিত আইনেই তার বিচার হবে। এখানে আমেরিকা অথবা চীন অথবা জার্মান অথবা কানাডার কিছু করার কথা না। আমরা এমন কিছু করব না, যা সভ্যতার বাইরে চলে যায়। আমাদের নেতা-নেত্রীদের কথাবার্তা সভ্যতার বাইরে চলে যায়। যত দিন যাচ্ছে, আমরা অসামাজিক হচ্ছি এবং আমাদের মানমর্যাদা হারাচ্ছি। আমেরিকার কোনোমতেই ভিসা নীতি করার কোনো মানেই হয় না।’ 

কাদের সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘‘আমি চাই প্রভাবমুক্ত নির্বাচন।” আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাবা যেটা চান, যোগ্য সন্তান হিসেবে সুসন্তান হিসেবে, তাঁর সেটা প্রতিষ্ঠিত করা উচিত।’

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এরশাদকে বাধ্য করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা হয়েছিল। রাজনীতিতে আন্দোলনে বাধ্য করতে পারলে, এ দেশে সবই আইন। না পারলে সবটাই বেআইনি। দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি অর্জন করতে পারে অথবা জনগণ বাধ্য করতে পারলে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে। আর নয়তো এই সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করতে পারেন না। যদি আলোচনা করে সংসদে আইন পাস করে, নতুন আইন করেন, তাহলে পদত্যাগ করতে পারেন।’ 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো জোটে যাব কি না জানি না। তবে বিএনপির সঙ্গে কোনো জোটে যাব না।’

এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীর প্রতীক, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদসহ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।