ব্যাংকে টাকা না থাকা সত্ত্বেও চেক প্রদান, আড়াই কোটি টাকা অর্থদণ্ড 

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২: ৫৪

ব্যাংকে টাকা না থাকা জানা সত্ত্বেও চেক প্রদান করায় এক চেক ডিস অনারের মামলায় আসামিকে আড়াই কোটি টাকা অর্থদণ্ড ও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ফেরদৌসী বেগম এ রায় ঘোষণা করেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আল হেলাল। 

সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. মন্টু (৩৭) বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার কিসমত জামুয়া গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে। বর্তমানে আসামি ঢাকার চকবাজারের এম আর জে করপোরেশন ১৩০/১ বিরেন এলাকার বসবাস করছেন। রায় ঘোষণার সময় আগামী মন্টু আদালতে অনুপস্থিত ছিল। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী মানিক সরদারের সঙ্গে আসামির ব্যবসায়িক সূত্রে পরিচয় হয়। সেই সুবাদে সাজাপ্রাপ্ত আসামি মন্টু বাদীর নিকট থেকে আড়াই কোটি টাকা হাওলাদ নেয়। পরে মন্টু বাদী মানিক সরদারকে নগদ টাকা না দিয়ে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের একটি আড়াই কোটি টাকার চেক দেয়। পরে টাকা উত্তোলনের জন্য মানিক ওই চেক ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। 

পরে এ ঘটনায় মানিক সরদার আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করে ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পাওয়ার পর আদালতে হাজিরা দিলেও পরে আসামি পলাতক হন। 

ওই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামি মন্টুকে দোষী সাব্যস্ত করে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও আড়াই কোটি টাকা অর্থদণ্ড প্রদানের রায় ঘোষণা করেন। মামলার বাদী মোহাম্মদ মানিক সরদার মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার গোসাইবাগ এলাকার আব্দুল মালেক সরদারের ছেলে। 

এ ব্যাপারে বাদীপক্ষের নিযুক্তিও আইনজীবী মো. নূর হোসাইন জানান, ‘আড়াই কোটি টাকার চেক ডিজাইনারের মামলায় আসামি মন্টুকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও আড়াই কোটি টাকা অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে রায়ের সময় আসামি মন্টু আদালতে অনুপস্থিত ছিল।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত