বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় দোকানপাট ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছে সংস্থাটি। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ সময়সূচি কার্যকর হবে। 

আজ সোমবার জাতীয় পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ডিএসসিসি। গণবিজ্ঞপ্তিতে কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান কতক্ষণ খোলা রাখা যাবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

ডিএসসিসির গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সব দোকানপাট, শপিং মল, মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার, ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখে যাবে। খাবারের দোকান বা রেস্তোরাঁর রান্নাঘর বন্ধ করতে হবে রাত ১০টার মধ্যে। আর খাবার সরবরাহ চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত।

সিনেমা হলসহ চিত্তবিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা বন্ধ হবে রাত ১১টার মধ্যে। সাধারণ ওষুধের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে রাত ১২টার মধ্যে। আর হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত নিজস্ব ওষুধের দোকান বন্ধ করতে হবে রাত ২টার মধ্যে। 

নতুন সময়সীমা নির্ধারণ প্রসঙ্গে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এর আগেও একটা নির্দিষ্ট সময়ে সবকিছু বন্ধ করে শৃঙ্খলা আনতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এখন বিদ্যুৎ এ জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য যে নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি, সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে করপোরেশনকে সহযোগিতা করবেন। এ ছাড়া সময়সীমা অনুযায়ী দোকানপাট পরিচালনা হচ্ছে কি না তা তদারকিতে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে থাকবেন।’

এদিকে নতুন সময়সূচি নির্ধারণের এ সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন দোকান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে যেহেতু সরকার এখন একটা জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করছে, আমরা সব পেশার পেশাজীবীরাই এ সিদ্ধান্ত ইতিবাচকভাবে দেখছি। আমরা আশা করছি, বিপর্যয় কেটে গেলে আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

এর আগে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য গত ১৬ জুন থেকে রাত ৮টার পর দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয় সরকার।