নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর নিউমার্কেটের গাউছিয়া সুপার মার্কেট অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস ৷ পাশাপাশি মার্কেট নিরাপদ করতে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ ২০টি সুপারিশ করেছে পরিদর্শক টিম। এর আগে গত ৬ এপ্রিল পরিদর্শন শেষে মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস ৷
আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, তিতাস, ঢাকা ওয়াসা এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই) সমন্বিত পরিদর্শন করে।
পরবর্তীকালে পরিদর্শন শেষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমরা গাউছিয়া মার্কেট সমন্বিতভাবে পরিদর্শন করেছি। আগেও এখানে পরিদর্শনের পর যেসব সুপারিশ দিয়েছিলাম তার অনেকগুলোই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে এখনো বেশ কিছু ঘাটতি রয়েছে।’
সুপারিশের বিষয়ে গোলাম মোস্তফা বলেন, পরিদর্শন শেষে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামাদির ঘাটতি পূরণসহ মোট ২০টি সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো জরুরি ভিত্তিতে স্থাপন করার জন্য মালিক সমিতিকে বলা হয়েছে। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কেটটি অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
অগ্নিনিরাপত্তা (ফায়ার সেফটি) নিশ্চিত করার জন্য জরুরি ২০টি সুপারিশ করেছে রাষ্ট্রীয় চার সংস্থা। এসব সুপারিশ জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের জন্য মালিক সমিতিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশগুলো হলো—এক্সিট সাইন/ইমারজেন্সি লাইট জরুরিভাবে সিঁড়ির পার্শ্বে স্থাপন করা। জরুরি ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে স্থাপন। কল পয়েন্ট সুইচ স্থাপন করতে হবে। ফায়ার অ্যালার্ম বেল স্থাপন করা। ফায়ার পাম্প স্থাপন এবং সেটা আন্ডারগ্রাউন্ড পানির ট্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। প্রতি ফ্লোরের জন্য ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবস্থা (রাইজারসহ) স্থাপন করতে হবে। ফ্লোরভিত্তিক ডেলিভারি হোসপাইপ স্থাপন করতে হবে (২.৫ ইঞ্চি ডায়াবিশিষ্ট)। প্রয়োজন অনুযায়ী পানির রিজার্ভার (আন্ডারগ্রাউন্ড) ট্যাংক বাড়াতে হবে। প্রতিটা ফ্লোরের জন্য পিএ সিস্টেম স্থাপন করতে হবে। সাবস্টেশন ও জেনারেটর রুমের জন্য ফায়ার ডোর স্থাপন করতে হবে। প্রয়োজনীয় ফায়ার এক্সটিংগুইসার (প্রতি ৫৫০ বর্গফুটের জন্য ১টি করে) স্থাপন করতে হবে। ছাদের দরজা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। ফায়ার রেটেড ওয়াল (সাবস্টেশন রুমে এবং জেনারেটর রুমে) স্থাপন করতে হবে এবং ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। জেনারেটর এবং সাবস্টেশন রুমের ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা (ফায়ার সাফ্রেশন সিস্টেম) স্থাপন করতে হবে, রাবার মেট স্থাপন করতে হবে এবং কেব্লগুলোর আর্থিং নিশ্চিত করতে হবে। করিডর, চলাচলের পথ পরিষ্কার/বাধামুক্ত রাখতে হবে এবং সিঁড়িপথের দোকানগুলো অপসারণ করতে হবে।
বৈদ্যুতিক লাইনগুলো অনুমোদিত ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা মাঝে মাঝে চেক (পরীক্ষা) করতে হবে এবং বৈদ্যুতিক তারগুলো নির্দিষ্ট চ্যানেল বোর্ডের ভেতর দিয়ে নিতে হবে। ইলেকট্রিক হিটার, ইলেকট্রিক ওভেন, কফিশপের দোকানগুলোর ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশিক্ষিত ফায়ার ফাইটারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং মহড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ভবনের সব প্রতিষ্ঠানকে জরুরি ভিত্তিতে ফায়ার লাইসেন্স করতে হবে।
এই নির্দেশনাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর থেকে ফায়ার সেফটি প্ল্যান অনুমোদন করে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সুপারিশ ও অগ্নিঝুঁকির বিষয়ে গাউছিয়া মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. কামরুল হাসান বাবু বলেন, ‘আমরা সুপারিশগুলো আমলে নিয়ে দ্রুতই বাস্তবায়ন করব। যেকোনো মার্কেটের তুলনায় আমার মার্কেটের নিরাপত্তাব্যবস্থা ভালো৷’
রাজধানীর নিউমার্কেটের গাউছিয়া সুপার মার্কেট অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস ৷ পাশাপাশি মার্কেট নিরাপদ করতে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ ২০টি সুপারিশ করেছে পরিদর্শক টিম। এর আগে গত ৬ এপ্রিল পরিদর্শন শেষে মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস ৷
আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, তিতাস, ঢাকা ওয়াসা এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই) সমন্বিত পরিদর্শন করে।
পরবর্তীকালে পরিদর্শন শেষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমরা গাউছিয়া মার্কেট সমন্বিতভাবে পরিদর্শন করেছি। আগেও এখানে পরিদর্শনের পর যেসব সুপারিশ দিয়েছিলাম তার অনেকগুলোই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে এখনো বেশ কিছু ঘাটতি রয়েছে।’
সুপারিশের বিষয়ে গোলাম মোস্তফা বলেন, পরিদর্শন শেষে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামাদির ঘাটতি পূরণসহ মোট ২০টি সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো জরুরি ভিত্তিতে স্থাপন করার জন্য মালিক সমিতিকে বলা হয়েছে। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কেটটি অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
অগ্নিনিরাপত্তা (ফায়ার সেফটি) নিশ্চিত করার জন্য জরুরি ২০টি সুপারিশ করেছে রাষ্ট্রীয় চার সংস্থা। এসব সুপারিশ জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের জন্য মালিক সমিতিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশগুলো হলো—এক্সিট সাইন/ইমারজেন্সি লাইট জরুরিভাবে সিঁড়ির পার্শ্বে স্থাপন করা। জরুরি ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে স্থাপন। কল পয়েন্ট সুইচ স্থাপন করতে হবে। ফায়ার অ্যালার্ম বেল স্থাপন করা। ফায়ার পাম্প স্থাপন এবং সেটা আন্ডারগ্রাউন্ড পানির ট্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। প্রতি ফ্লোরের জন্য ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবস্থা (রাইজারসহ) স্থাপন করতে হবে। ফ্লোরভিত্তিক ডেলিভারি হোসপাইপ স্থাপন করতে হবে (২.৫ ইঞ্চি ডায়াবিশিষ্ট)। প্রয়োজন অনুযায়ী পানির রিজার্ভার (আন্ডারগ্রাউন্ড) ট্যাংক বাড়াতে হবে। প্রতিটা ফ্লোরের জন্য পিএ সিস্টেম স্থাপন করতে হবে। সাবস্টেশন ও জেনারেটর রুমের জন্য ফায়ার ডোর স্থাপন করতে হবে। প্রয়োজনীয় ফায়ার এক্সটিংগুইসার (প্রতি ৫৫০ বর্গফুটের জন্য ১টি করে) স্থাপন করতে হবে। ছাদের দরজা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। ফায়ার রেটেড ওয়াল (সাবস্টেশন রুমে এবং জেনারেটর রুমে) স্থাপন করতে হবে এবং ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। জেনারেটর এবং সাবস্টেশন রুমের ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা (ফায়ার সাফ্রেশন সিস্টেম) স্থাপন করতে হবে, রাবার মেট স্থাপন করতে হবে এবং কেব্লগুলোর আর্থিং নিশ্চিত করতে হবে। করিডর, চলাচলের পথ পরিষ্কার/বাধামুক্ত রাখতে হবে এবং সিঁড়িপথের দোকানগুলো অপসারণ করতে হবে।
বৈদ্যুতিক লাইনগুলো অনুমোদিত ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা মাঝে মাঝে চেক (পরীক্ষা) করতে হবে এবং বৈদ্যুতিক তারগুলো নির্দিষ্ট চ্যানেল বোর্ডের ভেতর দিয়ে নিতে হবে। ইলেকট্রিক হিটার, ইলেকট্রিক ওভেন, কফিশপের দোকানগুলোর ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশিক্ষিত ফায়ার ফাইটারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং মহড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ভবনের সব প্রতিষ্ঠানকে জরুরি ভিত্তিতে ফায়ার লাইসেন্স করতে হবে।
এই নির্দেশনাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর থেকে ফায়ার সেফটি প্ল্যান অনুমোদন করে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সুপারিশ ও অগ্নিঝুঁকির বিষয়ে গাউছিয়া মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. কামরুল হাসান বাবু বলেন, ‘আমরা সুপারিশগুলো আমলে নিয়ে দ্রুতই বাস্তবায়ন করব। যেকোনো মার্কেটের তুলনায় আমার মার্কেটের নিরাপত্তাব্যবস্থা ভালো৷’
বিশ্বের একমাত্র স্বীকৃত উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বিমানে স্থাপিত উড়ন্ত হাসপাতালটি চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিশেষায়িত হাসপাতালটি চক্ষুরোগসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে ১৮ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে অবস্থান করবে...
২৬ মিনিট আগে২০২৩ সালের ২২ আগস্ট সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক কাটাগাঙ্গের এ লোহার সেতু ভেঙে নদীতে ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ট্রাকচালক ওমর ফারুক ও চালকের সহকারী জাকির হোসেন কলিন্স নিহত হয়েছিলেন। এরপর সপ্তাহখানেক সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকার পর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি আবারও জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়...
৩০ মিনিট আগেফেনীর পরশুরামে কলেজছাত্র এমরান হোসেন রিফাত হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেসিলেটে ২৮০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আকবর মিয়া (৪২) নামের এক ট্রাকচালককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে