নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হত্যা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে সম্পত্তি আত্মসাতের ৪ মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান, তাঁর মা ট্রান্সকমের কর্ণধার প্রয়াত লতিফুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজ রহমান ও ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার পৃথক পৃথক মামলায় আত্মসমর্পণের পর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ পৃথক পৃথক আদেশে তাঁদের জামিন দেন।
দুপুরের দিকে তিনজন আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। লতিফুর রহমানের ছেলে আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সিমিন রহমান ও তাঁর ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেন আত্মসমর্পণ করেন। জালজালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা তিন মামলায় সিমিন রহমান, দুই মামলায় শাহনাজ রহমান ও এক মামলায় যারাইফ আয়াত হোসেন আত্মসমর্পণ করে জামিন চান।
এই মামলাগুলো দায়ের করেন লতিফুর রহমানের আরেক মেয়ে শাযরেহ হক। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী চৈতন্য চন্দ্র হালদার।
আসামিপক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান হাওলাদার, শাহিনুর রহমান, মিজানুর রহমান মামুন, চৈতন্য চন্দ্র হালদার প্রমুখ। বাদীপক্ষে আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল, গাজী শাহ আলম জামিনের বিরোধিতা করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, প্রয়াত লতিফুর রহমানের সমস্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য শাযরেহ হক মিথ্যা মামলা সাজিয়েছেন। লতিফুর রহমান জীবিত থাকা অবস্থায় তাঁর ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তি নিজে বণ্টন করে দিয়েছেন। ওই সম্পত্তি নিয়ে কোনো মামলা মোকদ্দমা চলতে পারে না। এ ছাড়া আরশাদ ওয়ালিউর রহমানের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর হাসপাতাল থেকে লাশ গ্রহণ করেন শাযরেহ হকের স্বামী। দীর্ঘদিন পর হত্যা মামলা দায়ের করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বাদীপক্ষে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। মামলাগুলো এখনো তদন্তাধীন। প্রত্যেক মামলাই জামিন অযোগ্য ধারায় রুজু করা হয়েছে। এই অবস্থায় জামিন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের জামিন মঞ্জুর করেন।
হত্যা মামলা
সিমিনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সিমিনের ভাইকে আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যার অভিযোগে গুলশান থানায় গত ২২ মার্চ এই মামলা দায়ের করা হয়। এজাহারে শাযরেহ উল্লেখ করেন—তাঁর ভাইকে বিষ প্রয়োগ বা শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সিমিন রহমানের ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেন, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপক ডা. মুরাদ এবং পরিচালক (বিপণন ও বিক্রয়) ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম, ট্রান্সকম গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) কামরুল হাসান, আইন কর্মকর্তা মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, ব্যবস্থাপক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন, কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ও সেলিনা সুলতানা এবং গ্রুপের কর্মচারী রফিক ও মিরাজুল।
মামলার এজাহারে শাযরেহ হক বলেন, মুসলিম শরিয়া আইন অনুযায়ী তিনিসহ তাঁর মৃত বড় ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমান (৫৭) এবং মামলার এক নম্বর আসামি সিমিন রহমান তাঁর পিতার সকল স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির ওয়ারিশ। লতিফুর রহমানের স্থাবর সম্পত্তিসহ তাঁর প্রতিষ্ঠা করা ট্রান্সকম গ্রুপের শেয়ার এবং পজিশন নিজেদের অনুকূলে হস্তগত করাসহ তাঁকে (শাযরেহ) এবং তাঁর বড় ভাইকে (আরশাদ) সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি করে সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন সিমিন রহমান ও তাঁর ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেন।
তাঁদের জাল জালিয়াতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত বছরের ৮ জুন আরশাদ ওয়ালিউর রহমান পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রদান করেন। এতে সিমিন রহমান আরশাদ ওয়ালিউর রহমানের ওপর ক্ষিপ্ত হন। তখন তিনি জীবনের নিরাপত্তার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এর ৮ দিন পর গত ১৬ জুন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন আরশাদ। আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলশান-২ এর নিজের বাসার শয়নকক্ষে মৃত ও চিৎ অবস্থায় দেখতে পান। যদিও তাঁর শরীরে কোনো জটিল রোগ ছিল না।
মামলার এজাহারে শাযরেহ হক আরও বলেন, ঘটনাস্থলে সকল আসামিকে তিনি দেখতে পান। কিন্তু তাঁর মারা যাওয়ার কথা বা অসুস্থতার কথা কেউই জানাননি। পরে দ্রুত তাঁকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে মৃত্যুর সনদপত্র নেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করেন এবং সেদিন বিকেলেই দাফন করেন।
শাযরেহ হক মামলায় উল্লেখ করেছেন, হাসপাতালে চিকিৎসকেরা সিমিন রহমানের উদ্দ্যেশে বলেছেন, উনি অনেক আগেই মারা গেছেন। কেন তাঁকে এত পরে হাসপাতালে আনা হলো? তখন পারিবারিক চিকিৎসক ডা. মুরাদ হাসপাতাল প্রশাসনকে বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ রিপোর্ট করার প্রয়োজন নেই।
শাযরেহ হক আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি মনে করেন ১১ জন আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিগণ পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে তাঁদের স্থাবর-অস্থাবর, সম্পত্তির ওয়ারিশ থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে তাঁর বড় ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে বিষ প্রয়োগ বা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে, যা আসামিদের আচরণে প্রকাশ পেয়েছে।
জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পত্তি আত্মসাতের তিন মামলা
হত্যা মামলা দায়ের করার আগে আগে সম্পত্তিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। প্রত্যেক মামলায় সিমিন রহমানকে আসামি করা হয়। লতিফুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজ রহমানকে দুটি মামলায় আসামি করা হয়। সিমিন রহমানের ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেনকে একটি মামলায় আসামি করা হয়।
এ ছাড়া ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। তারা হলেন—গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সেক্রেটারি) আবু ইউসূফ মো. সিদ্দিক।
ট্রান্সকমের পাঁচ কর্মকর্তার মধ্যে দুজন ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া ও কামরুল হাসানকে তিনটি মামলাতেই আসামি করা হয়। অপর তিন কর্মকর্তাকে একটি করে মামলায় আসামি করা হয়।
মামলাগুলোতে প্রয়াত লতিফুর রহমানের এবং আরশাদ অলিউর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে অবৈধভাবে ট্রান্সকম গ্রুপের শেয়ার স্থানান্তর, লতিফুর রহমানের টাকা বেআইনিভাবে এক হিসাব থেকে অন্য হিসাবে স্থানান্তর করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
হত্যা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে সম্পত্তি আত্মসাতের ৪ মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান, তাঁর মা ট্রান্সকমের কর্ণধার প্রয়াত লতিফুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজ রহমান ও ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার পৃথক পৃথক মামলায় আত্মসমর্পণের পর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ পৃথক পৃথক আদেশে তাঁদের জামিন দেন।
দুপুরের দিকে তিনজন আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। লতিফুর রহমানের ছেলে আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সিমিন রহমান ও তাঁর ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেন আত্মসমর্পণ করেন। জালজালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা তিন মামলায় সিমিন রহমান, দুই মামলায় শাহনাজ রহমান ও এক মামলায় যারাইফ আয়াত হোসেন আত্মসমর্পণ করে জামিন চান।
এই মামলাগুলো দায়ের করেন লতিফুর রহমানের আরেক মেয়ে শাযরেহ হক। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী চৈতন্য চন্দ্র হালদার।
আসামিপক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান হাওলাদার, শাহিনুর রহমান, মিজানুর রহমান মামুন, চৈতন্য চন্দ্র হালদার প্রমুখ। বাদীপক্ষে আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল, গাজী শাহ আলম জামিনের বিরোধিতা করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, প্রয়াত লতিফুর রহমানের সমস্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য শাযরেহ হক মিথ্যা মামলা সাজিয়েছেন। লতিফুর রহমান জীবিত থাকা অবস্থায় তাঁর ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তি নিজে বণ্টন করে দিয়েছেন। ওই সম্পত্তি নিয়ে কোনো মামলা মোকদ্দমা চলতে পারে না। এ ছাড়া আরশাদ ওয়ালিউর রহমানের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর হাসপাতাল থেকে লাশ গ্রহণ করেন শাযরেহ হকের স্বামী। দীর্ঘদিন পর হত্যা মামলা দায়ের করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বাদীপক্ষে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। মামলাগুলো এখনো তদন্তাধীন। প্রত্যেক মামলাই জামিন অযোগ্য ধারায় রুজু করা হয়েছে। এই অবস্থায় জামিন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের জামিন মঞ্জুর করেন।
হত্যা মামলা
সিমিনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সিমিনের ভাইকে আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যার অভিযোগে গুলশান থানায় গত ২২ মার্চ এই মামলা দায়ের করা হয়। এজাহারে শাযরেহ উল্লেখ করেন—তাঁর ভাইকে বিষ প্রয়োগ বা শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সিমিন রহমানের ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেন, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপক ডা. মুরাদ এবং পরিচালক (বিপণন ও বিক্রয়) ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম, ট্রান্সকম গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) কামরুল হাসান, আইন কর্মকর্তা মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, ব্যবস্থাপক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন, কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ও সেলিনা সুলতানা এবং গ্রুপের কর্মচারী রফিক ও মিরাজুল।
মামলার এজাহারে শাযরেহ হক বলেন, মুসলিম শরিয়া আইন অনুযায়ী তিনিসহ তাঁর মৃত বড় ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমান (৫৭) এবং মামলার এক নম্বর আসামি সিমিন রহমান তাঁর পিতার সকল স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির ওয়ারিশ। লতিফুর রহমানের স্থাবর সম্পত্তিসহ তাঁর প্রতিষ্ঠা করা ট্রান্সকম গ্রুপের শেয়ার এবং পজিশন নিজেদের অনুকূলে হস্তগত করাসহ তাঁকে (শাযরেহ) এবং তাঁর বড় ভাইকে (আরশাদ) সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি করে সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন সিমিন রহমান ও তাঁর ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেন।
তাঁদের জাল জালিয়াতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত বছরের ৮ জুন আরশাদ ওয়ালিউর রহমান পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রদান করেন। এতে সিমিন রহমান আরশাদ ওয়ালিউর রহমানের ওপর ক্ষিপ্ত হন। তখন তিনি জীবনের নিরাপত্তার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এর ৮ দিন পর গত ১৬ জুন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন আরশাদ। আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলশান-২ এর নিজের বাসার শয়নকক্ষে মৃত ও চিৎ অবস্থায় দেখতে পান। যদিও তাঁর শরীরে কোনো জটিল রোগ ছিল না।
মামলার এজাহারে শাযরেহ হক আরও বলেন, ঘটনাস্থলে সকল আসামিকে তিনি দেখতে পান। কিন্তু তাঁর মারা যাওয়ার কথা বা অসুস্থতার কথা কেউই জানাননি। পরে দ্রুত তাঁকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে মৃত্যুর সনদপত্র নেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করেন এবং সেদিন বিকেলেই দাফন করেন।
শাযরেহ হক মামলায় উল্লেখ করেছেন, হাসপাতালে চিকিৎসকেরা সিমিন রহমানের উদ্দ্যেশে বলেছেন, উনি অনেক আগেই মারা গেছেন। কেন তাঁকে এত পরে হাসপাতালে আনা হলো? তখন পারিবারিক চিকিৎসক ডা. মুরাদ হাসপাতাল প্রশাসনকে বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ রিপোর্ট করার প্রয়োজন নেই।
শাযরেহ হক আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি মনে করেন ১১ জন আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিগণ পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে তাঁদের স্থাবর-অস্থাবর, সম্পত্তির ওয়ারিশ থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে তাঁর বড় ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে বিষ প্রয়োগ বা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে, যা আসামিদের আচরণে প্রকাশ পেয়েছে।
জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পত্তি আত্মসাতের তিন মামলা
হত্যা মামলা দায়ের করার আগে আগে সম্পত্তিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। প্রত্যেক মামলায় সিমিন রহমানকে আসামি করা হয়। লতিফুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজ রহমানকে দুটি মামলায় আসামি করা হয়। সিমিন রহমানের ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেনকে একটি মামলায় আসামি করা হয়।
এ ছাড়া ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। তারা হলেন—গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সেক্রেটারি) আবু ইউসূফ মো. সিদ্দিক।
ট্রান্সকমের পাঁচ কর্মকর্তার মধ্যে দুজন ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া ও কামরুল হাসানকে তিনটি মামলাতেই আসামি করা হয়। অপর তিন কর্মকর্তাকে একটি করে মামলায় আসামি করা হয়।
মামলাগুলোতে প্রয়াত লতিফুর রহমানের এবং আরশাদ অলিউর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে অবৈধভাবে ট্রান্সকম গ্রুপের শেয়ার স্থানান্তর, লতিফুর রহমানের টাকা বেআইনিভাবে এক হিসাব থেকে অন্য হিসাবে স্থানান্তর করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রিপন মিয়াকে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জ শহরের রহমতগঞ্জে ছয়টি পিকআপ ভ্যানে চাঁদা চাইলে তাঁকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
২৫ মিনিট আগেবিশ্বের একমাত্র স্বীকৃত উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বিমানে স্থাপিত উড়ন্ত হাসপাতালটি চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিশেষায়িত হাসপাতালটি চক্ষুরোগসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে ১৮ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে অবস্থান করবে...
১ ঘণ্টা আগে২০২৩ সালের ২২ আগস্ট সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক কাটাগাঙ্গের এ লোহার সেতু ভেঙে নদীতে ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ট্রাকচালক ওমর ফারুক ও চালকের সহকারী জাকির হোসেন কলিন্স নিহত হয়েছিলেন। এরপর সপ্তাহখানেক সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকার পর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি আবারও জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়...
১ ঘণ্টা আগেফেনীর পরশুরামে কলেজছাত্র এমরান হোসেন রিফাত হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে