নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীতে শুরু হতে যাচ্ছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে তল্লাশিচৌকি বসিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শুক্রবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের বসিলা ব্রিজের প্রবেশমুখে ওয়াশপুর এলাকায় দেখা গেল ভিন্ন চিত্র।
ইটবোঝাই ট্রাক দিয়ে রাস্তা আটকে চলছে পুলিশের তল্লাশি। ফলে আশপাশের এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকামুখী যাত্রী ও পরিবহনচালকেরা।
পুলিশ বলছে, গাড়ি ঘোরাতে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ট্রাকচালক বলছেন, পুলিশ গাড়ি আটকে দিয়ে অজানা কারণে বসিয়ে রাখা হয়েছে তাঁকে।
রাস্তায় ট্রাক আড়াআড়ি রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরির বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ দাবি করেন, ‘ইটবোঝাই ট্রাকগুলো এখানে এসে নষ্ট হয়ে গেছে। তবে মানুষের যাতায়াতের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
রাস্তার মাঝখানে এসে আড়াআড়িভাবে দুটি ট্রাক কীভাবে নষ্ট হয়ে গেল এবং কখন তা নষ্ট হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
তবে এ ঘটনায় ট্রাকচালক মাহামুদের দাবি ভিন্ন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, সাভারের সলমাসি থেকে ইট নিয়ে মোহাম্মদপুর মেট্রো হাউজিং এলাকায় যাচ্ছিলেন। সকাল ৯টার দিকে বসিলা ব্রিজের প্রবেশমুখ ওয়াশপুর এলাকায় যেতেই পুলিশ তাঁকে আটকিয়ে রাস্তার মাঝখানে আড়াআড়ি করে এক ঘণ্টার জন্য ট্রাকটি রাখতে বলে। তিনি পুলিশের কথামতোই রাস্তার মাঝখানে ট্রাকটি রেখে অপেক্ষা করতে থাকেন।
ট্রাকচালক মাহামুদ বলেন, ‘আমি এসে দেখি আমার আগে আরও একটি ট্রাক রাস্তার মাঝখানে আড়াআড়ি করে রাখা। দুই পাশ দিয়ে কোনো রকমে গাড়ি পাড় হওয়ার জন্য জায়গা রাখা হয়েছে। আমাকে এক ঘণ্টা রাস্তা আটকে রাখার জন্য বললেও এখন তিন ঘণ্টার বেশি হয়ে গেছে, কিন্তু পুলিশ এখনো আমাদের যেতে দিচ্ছে না।’
এদিকে রাস্তার মাঝখানে আড়াআড়িভাবে ট্রাক রেখে রাস্তা বন্ধ করে পুলিশের তল্লাশিতে পথচারীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তাঁরা।
কলাতিয়া এলাকা থেকে আসা শাহনাজ বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে যাব। সেখানে আমার বড় মেয়ে ভর্তি আছে। কলাতিয়া থেকে সিএনজি অটোরিকশায় উঠে এখানে এসে দেখি, রাস্তার মাঝখানে ট্রাক রেখে পুলিশ তল্লাশি করছে। তাদের নানা রকম প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে আমি বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে গেছি। পুলিশের এই হয়রানিমূলক তল্লাশির কারণে আমি সময়মতো হাসপাতালে যেতে পারব না।’
শাহনাজের মতো কেরানীগঞ্জের কোনাখোলার বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমি কোনাখোলা থেকে জরুরি কাজে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে যাব। এখানে আসার পর পুলিশ গাড়ি থেকে নামিয়ে কোথায় যাব, কার কাছে যাব, কেন বাসা থেকে বের হলাম। এমন নানা রকম প্রশ্ন করে আমাকে হয়রানি করেছে। পাশাপাশি, রাস্তার মাঝখানে ট্রাক আড়াআড়ি করে রেখে রাস্তা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। এমন ভোগান্তি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
তাদের মতো এমন বেশ কয়েকজন পথচারী রাস্তার ওপর ট্রাক রেখে পুলিশের এমন তল্লাশির নামে ‘হয়রানির’ অভিযোগ করেন।
এ ছাড়া রাজধানীর অন্যতম প্রবেশমুখ গাবতলীতে গিয়ে পুলিশের বাড়তি উপস্থিতি দেখা যায়নি। দারুসসালাম থানার একটি টহল টিম থাকলেও তারা কোনো গাড়ি কিংবা যাত্রীদের তল্লাশি করছে না। তবে ঢাকার অদূরে আমিনবাজার এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখানে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকায় আসা পরিবহন ও যাত্রীদের চেক করছেন পুলিশ সদস্যরা।
গণ পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় প্রবেশ করছেন। প্রতিটি গাড়ির সামনে শান্তি সমাবেশের ব্যানার ও পোস্টার লাগিয়ে শত শত গাড়ি বায়তুল মোকাররমের উদ্দেশে ঢাকায় প্রবেশ করছে।
এদিকে ঢাকার প্রবেশমুখে তল্লাশির বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার এস এম হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এমন তল্লাশি। বড় দুটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশ, পাশাপাশি ছোট ছোট বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের সমাবেশ রয়েছে। তাই জনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, আনসারসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। চারদিকেই আমাদের কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। আশা করছি কোনো ধরনের সমস্যা তৈরি হবে না।’
রাজধানীতে শুরু হতে যাচ্ছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে তল্লাশিচৌকি বসিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শুক্রবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের বসিলা ব্রিজের প্রবেশমুখে ওয়াশপুর এলাকায় দেখা গেল ভিন্ন চিত্র।
ইটবোঝাই ট্রাক দিয়ে রাস্তা আটকে চলছে পুলিশের তল্লাশি। ফলে আশপাশের এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকামুখী যাত্রী ও পরিবহনচালকেরা।
পুলিশ বলছে, গাড়ি ঘোরাতে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ট্রাকচালক বলছেন, পুলিশ গাড়ি আটকে দিয়ে অজানা কারণে বসিয়ে রাখা হয়েছে তাঁকে।
রাস্তায় ট্রাক আড়াআড়ি রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরির বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ দাবি করেন, ‘ইটবোঝাই ট্রাকগুলো এখানে এসে নষ্ট হয়ে গেছে। তবে মানুষের যাতায়াতের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
রাস্তার মাঝখানে এসে আড়াআড়িভাবে দুটি ট্রাক কীভাবে নষ্ট হয়ে গেল এবং কখন তা নষ্ট হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
তবে এ ঘটনায় ট্রাকচালক মাহামুদের দাবি ভিন্ন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, সাভারের সলমাসি থেকে ইট নিয়ে মোহাম্মদপুর মেট্রো হাউজিং এলাকায় যাচ্ছিলেন। সকাল ৯টার দিকে বসিলা ব্রিজের প্রবেশমুখ ওয়াশপুর এলাকায় যেতেই পুলিশ তাঁকে আটকিয়ে রাস্তার মাঝখানে আড়াআড়ি করে এক ঘণ্টার জন্য ট্রাকটি রাখতে বলে। তিনি পুলিশের কথামতোই রাস্তার মাঝখানে ট্রাকটি রেখে অপেক্ষা করতে থাকেন।
ট্রাকচালক মাহামুদ বলেন, ‘আমি এসে দেখি আমার আগে আরও একটি ট্রাক রাস্তার মাঝখানে আড়াআড়ি করে রাখা। দুই পাশ দিয়ে কোনো রকমে গাড়ি পাড় হওয়ার জন্য জায়গা রাখা হয়েছে। আমাকে এক ঘণ্টা রাস্তা আটকে রাখার জন্য বললেও এখন তিন ঘণ্টার বেশি হয়ে গেছে, কিন্তু পুলিশ এখনো আমাদের যেতে দিচ্ছে না।’
এদিকে রাস্তার মাঝখানে আড়াআড়িভাবে ট্রাক রেখে রাস্তা বন্ধ করে পুলিশের তল্লাশিতে পথচারীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তাঁরা।
কলাতিয়া এলাকা থেকে আসা শাহনাজ বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে যাব। সেখানে আমার বড় মেয়ে ভর্তি আছে। কলাতিয়া থেকে সিএনজি অটোরিকশায় উঠে এখানে এসে দেখি, রাস্তার মাঝখানে ট্রাক রেখে পুলিশ তল্লাশি করছে। তাদের নানা রকম প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে আমি বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে গেছি। পুলিশের এই হয়রানিমূলক তল্লাশির কারণে আমি সময়মতো হাসপাতালে যেতে পারব না।’
শাহনাজের মতো কেরানীগঞ্জের কোনাখোলার বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমি কোনাখোলা থেকে জরুরি কাজে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে যাব। এখানে আসার পর পুলিশ গাড়ি থেকে নামিয়ে কোথায় যাব, কার কাছে যাব, কেন বাসা থেকে বের হলাম। এমন নানা রকম প্রশ্ন করে আমাকে হয়রানি করেছে। পাশাপাশি, রাস্তার মাঝখানে ট্রাক আড়াআড়ি করে রেখে রাস্তা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। এমন ভোগান্তি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
তাদের মতো এমন বেশ কয়েকজন পথচারী রাস্তার ওপর ট্রাক রেখে পুলিশের এমন তল্লাশির নামে ‘হয়রানির’ অভিযোগ করেন।
এ ছাড়া রাজধানীর অন্যতম প্রবেশমুখ গাবতলীতে গিয়ে পুলিশের বাড়তি উপস্থিতি দেখা যায়নি। দারুসসালাম থানার একটি টহল টিম থাকলেও তারা কোনো গাড়ি কিংবা যাত্রীদের তল্লাশি করছে না। তবে ঢাকার অদূরে আমিনবাজার এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখানে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকায় আসা পরিবহন ও যাত্রীদের চেক করছেন পুলিশ সদস্যরা।
গণ পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় প্রবেশ করছেন। প্রতিটি গাড়ির সামনে শান্তি সমাবেশের ব্যানার ও পোস্টার লাগিয়ে শত শত গাড়ি বায়তুল মোকাররমের উদ্দেশে ঢাকায় প্রবেশ করছে।
এদিকে ঢাকার প্রবেশমুখে তল্লাশির বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার এস এম হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এমন তল্লাশি। বড় দুটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশ, পাশাপাশি ছোট ছোট বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের সমাবেশ রয়েছে। তাই জনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, আনসারসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। চারদিকেই আমাদের কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। আশা করছি কোনো ধরনের সমস্যা তৈরি হবে না।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৪ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৬ ঘণ্টা আগে