নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গান, কবিতা আর স্মৃতিচারণ করে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল মহলানবীশকে স্মরণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১, কেন্দ্রীয় নারী কমিটির আয়োজনে এই স্মরণসভা করা হয়।
এ সময় বুলবুল মহলানবীশের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গান ও কবিতা পরিবেশন করেন তাঁর বন্ধু ও সহযোদ্ধারা।
স্মরণসভায় আলোচকেরা বলেন, বুলবুল মহলানবীশ বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। একাধারে কবি ও লেখক, সংগীত, নাট্য ও আবৃত্তিশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছিলেন। তিনি টেলিভিশন-বেতার-মঞ্চে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিবিষয়ক বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করতেন। দক্ষ সংগঠক ও একজন জীবনমুখী মানুষ ছিলেন তিনি।
স্মরণসভায় বুলবুল মহলানবীশের স্বামী সরিত কুমার লালা বলেন, ‘বুলবুলের সঙ্গে আমার বিবাহিত জীবন কেটেছে ৫৩ বছর। পরিচয় তারও দুই বছর আগে। তার সঙ্গে আমার ৫৫ বছরের স্মৃতির ভার। বুলবুল ছিল প্রচণ্ড জীবনমুখী, সে মানুষকে ভালোবাসত, তার প্রতিদানও পেয়েছে। একটা পূর্ণ জীবন সে যাপন করতে চেয়েছিল। কোনো রকমে বেঁচে থাকা—এটা তার ধাঁচে ছিল না। মৃত্যুর আগের দুই বছর কিন্তু সেই জীবন সে যাপন করতে পারেনি। সে বেঁচে ছিল, কিন্তু অসুস্থতার কারণে মানসিকভাবে খুব বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। আজকে তাকে নিয়ে স্মরণসভা করে আপনারা ভালোবাসার প্রকাশ করেছেন।’
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১-এর কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব হারুন হাবীব বলেন, ‘বুলবুল মহলানবীশ সংস্কৃতিমনা, অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এখন দেশে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি আবার মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে।’
বুলবুল মহলানবীশের সঙ্গে ছাত্র সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন, টেলিভিশনে অনুষ্ঠান পরিচালনার স্মৃতিচারণ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক ম. হামিদ। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১, কেন্দ্রীয় নারী কমিটির সভাপতি লায়লা হাসানের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন শব্দসৈনিক মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল আলম, অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি নূহ-উল-আলম লেনিন, স্বাধীন বাংলা বেতারকর্মী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন খান, কণ্ঠশিল্পী হাসান মাহমুদ, কবি মোহন রায়হান, ঝর্ণা রহমান প্রমুখ।
বুলবুল মহলানবীশ ১৯৫৩ সালের ১০ মার্চ বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। স্নাতক ও মাস্টার্স করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দেশে-বিদেশে শিক্ষকতা করেছেন দীর্ঘদিন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কলকাতার বালিগঞ্জের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয় ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ গানটি। বাঙালির বিজয়ের ঐতিহাসিক ক্ষণে কালজয়ী গানটিতে কণ্ঠ দেওয়া শিল্পীদের অন্যতম বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল মহলানবীশ। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন। চলতি বছরের ১৪ জুলাই অসুস্থতাজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়।
গান, কবিতা আর স্মৃতিচারণ করে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল মহলানবীশকে স্মরণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১, কেন্দ্রীয় নারী কমিটির আয়োজনে এই স্মরণসভা করা হয়।
এ সময় বুলবুল মহলানবীশের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গান ও কবিতা পরিবেশন করেন তাঁর বন্ধু ও সহযোদ্ধারা।
স্মরণসভায় আলোচকেরা বলেন, বুলবুল মহলানবীশ বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। একাধারে কবি ও লেখক, সংগীত, নাট্য ও আবৃত্তিশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছিলেন। তিনি টেলিভিশন-বেতার-মঞ্চে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিবিষয়ক বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করতেন। দক্ষ সংগঠক ও একজন জীবনমুখী মানুষ ছিলেন তিনি।
স্মরণসভায় বুলবুল মহলানবীশের স্বামী সরিত কুমার লালা বলেন, ‘বুলবুলের সঙ্গে আমার বিবাহিত জীবন কেটেছে ৫৩ বছর। পরিচয় তারও দুই বছর আগে। তার সঙ্গে আমার ৫৫ বছরের স্মৃতির ভার। বুলবুল ছিল প্রচণ্ড জীবনমুখী, সে মানুষকে ভালোবাসত, তার প্রতিদানও পেয়েছে। একটা পূর্ণ জীবন সে যাপন করতে চেয়েছিল। কোনো রকমে বেঁচে থাকা—এটা তার ধাঁচে ছিল না। মৃত্যুর আগের দুই বছর কিন্তু সেই জীবন সে যাপন করতে পারেনি। সে বেঁচে ছিল, কিন্তু অসুস্থতার কারণে মানসিকভাবে খুব বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। আজকে তাকে নিয়ে স্মরণসভা করে আপনারা ভালোবাসার প্রকাশ করেছেন।’
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১-এর কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব হারুন হাবীব বলেন, ‘বুলবুল মহলানবীশ সংস্কৃতিমনা, অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এখন দেশে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি আবার মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে।’
বুলবুল মহলানবীশের সঙ্গে ছাত্র সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন, টেলিভিশনে অনুষ্ঠান পরিচালনার স্মৃতিচারণ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক ম. হামিদ। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১, কেন্দ্রীয় নারী কমিটির সভাপতি লায়লা হাসানের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন শব্দসৈনিক মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল আলম, অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি নূহ-উল-আলম লেনিন, স্বাধীন বাংলা বেতারকর্মী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন খান, কণ্ঠশিল্পী হাসান মাহমুদ, কবি মোহন রায়হান, ঝর্ণা রহমান প্রমুখ।
বুলবুল মহলানবীশ ১৯৫৩ সালের ১০ মার্চ বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। স্নাতক ও মাস্টার্স করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দেশে-বিদেশে শিক্ষকতা করেছেন দীর্ঘদিন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কলকাতার বালিগঞ্জের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয় ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ গানটি। বাঙালির বিজয়ের ঐতিহাসিক ক্ষণে কালজয়ী গানটিতে কণ্ঠ দেওয়া শিল্পীদের অন্যতম বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল মহলানবীশ। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন। চলতি বছরের ১৪ জুলাই অসুস্থতাজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
১৪ মিনিট আগেআজ শুক্রবার সকাল থেকে মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়েছে সাদপন্থীরা। সকাল থেকে মসজিদে প্রবেশ করেন শত শত সাদপন্থী। তাঁদের লক্ষ্য, লাখো মুসল্লির সমাগমে জুমার নামাজ আদায় করে নিজেদের অবস্থান ও শক্তি জানান দেওয়া। জমায়েতের চাপে আশপাশে সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
২৪ মিনিট আগেবাড়ির আঙিনায় বেড়া দেওয়া নিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় শ্যালকের শাবলের আঘাতে দুলাভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পৌরশহরের কালিনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
৩৬ মিনিট আগেগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দোকানে সিগারেট না পেয়ে ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতা-কর্মীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের চৌমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগে