কিশোরগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৩৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এ সংখ্যা পাওয়া যায়। জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিভিল সার্জন জানান, জেলার একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয় এবং বাড়িতে মৃত্যু হয় একজনের। 

ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, জেলায় নতুন শনাক্তের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩০, হোসেনপুর উপজেলায় ২৩, করিমগঞ্জ উপজেলায় চার, তাড়াইল উপজেলায় পাঁচ, পাকুন্দিয়া উপজেলায় সাত, কটিয়াদী উপজেলায় ২৪, কুলিয়ারচর উপজেলায় এক, ভৈরব উপজেলায় নয়, নিকলী উপজেলায় এক ও বাজিতপুর উপজেলায় তিনজন রয়েছেন। 

কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বর্তমানে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া মোট রোগীর সংখ্যা ১৩৪; যাদের মধ্যে ১০ জন আইসিইউতে রয়েছেন। 

বর্তমানে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ১ হাজার ৭৩৫ জন। তাঁদের মধ্যে ৫৮ জন হাসপাতালে ও ১ হাজার ৬৭৭ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।

জেলায় বর্তমানে করোনা আক্রান্ত ১ হাজার ৭৩৫ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৭৭৪, হোসেনপুর উপজেলায় ১১৯, করিমগঞ্জ উপজেলায় ৫৩, তাড়াইল উপজেলায় ৪১, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ১৬২, কটিয়াদী উপজেলায় ২২১, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৪৩, ভৈরব উপজেলায় ১৭৪, নিকলী উপজেলায় ১৭, বাজিতপুর উপজেলায় ৭৪, ইটনা উপজেলায় ৩১, মিঠামইন উপজেলায় ২২ ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় চারজন রয়েছেন।

জেলায় মোট মৃত্যু ১৩২ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৪৭, হোসেনপুর উপজেলায় পাঁচ, করিমগঞ্জ উপজেলায় নয়, তাড়াইল উপজেলায় পাঁচ, পাকুন্দিয়া উপজেলায় সাত, কটিয়াদী উপজেলায় আট, কুলিয়ারচর উপজেলায় ছয়, ভৈরব উপজেলায় ২৮, নিকলী উপজেলায় ছয়, বাজিতপুর উপজেলায় নয়, ইটনা উপজেলায় এক ও মিঠামইন উপজেলায় একজন রয়েছেন। জেলার একমাত্র অষ্টগ্রাম উপজেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যু নেই। 

এ সময় পর্যন্ত জেলায় মোট শনাক্ত ৭ হাজার ৯৩৬, সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৬৯ এবং মারা গেছেন ১৩২ জন।