নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্রদলের নেতারা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হল দখলের ষড়যন্ত্র করছিলেন বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
আজ সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডিবি পুলিশের অস্ত্র উদ্ধার টিম অভিযান চালিয়ে ছাত্রদলের তিন নেতার কাছ থেকে চারটি অস্ত্র উদ্ধার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা ফেসবুকে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, কথোপকথন করেছে। এসবের ছবি আমাদের কাছে রয়েছে। কোন কোন অস্ত্র কোথায় তাঁরা ব্যবহার করবেন, সে তথ্যও রয়েছে। তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হল দখল করতে চেয়েছিলেন।’
ডিবির প্রধান আরও বলেন, ‘কোনো দলের নেতা বা কর্মীকে গ্রেপ্তার করা আমাদের উদ্দেশ্য না। তবে যারা চোরাকারবারি, সন্ত্রাসী, মাদক কারবার, অস্ত্র ব্যবসা করবে তাদের বিরুদ্ধেই আমাদের অভিযান। যদিও অনেকেই বলার চেষ্টা করছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এটা রাজনৈতিক কথাবার্তা।’
অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বরং ছাত্রদলের ওই সাত কেন্দ্রীয় নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন ডিবির প্রধান হারুন।
হারুন বলেন, ‘ছাত্রদলের গ্রেপ্তার নেতারা যে ১১টি অস্ত্র কেনার জন্য অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছে অর্ডার করেছেন, সেটি প্রমাণিত। গ্রেপ্তার ছাত্রদলের সাত নেতাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছি, তাঁরা ১১টি অস্ত্র অর্ডার করেছেন। এর মধ্যে আমরা মাত্র চারটি উদ্ধার করতে পেরেছি। বাকিগুলো উদ্ধার করে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা অনেকের নাম পেয়েছি। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’
১১টি অস্ত্র অনলাইনে বুকিং দেওয়া হয়েছিল দাবি করে ডিবির প্রধান বলেন, ‘বুকিংয়ের ছবি পুলিশের কাছে রয়েছে। ১১টি অস্ত্র যাঁদের কাছ থেকে তাঁরা সংগ্রহ করেছেন, তাঁদের নামও আমরা জেনেছি। অস্ত্রগুলো কোথায় এবং কী কাজে তাঁরা ব্যবহার করবে, সেগুলো আমরা জেনেছি। তবে তা আমরা এখনই বলছি না। আগে বাকি লোকদের গ্রেপ্তার করতে হবে। কক্সবাজার টেকনাফের নাম জেনেছি। এসব যাচাই করা হচ্ছে।’
১৮ আগস্ট রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক জিসানকে মোবাইল ফোনে না পেয়ে তাঁর বাসায় গিয়েছিলেন সংগঠনের পাঁচ নেতা। এর পর থেকে তাঁরা নিখোঁজ ছিলেন। বিএনপি ও পরিবার থেকে শুরু থেকে দাবি করা হয়, তাঁদের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। তবে এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো তথ্য দিচ্ছিল না।
পরে ২০ আগস্ট তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৬টি গুলিসহ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ছয় নেতাকে লালবাগ থানায় গ্রেপ্তার দেখায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। ডিবি দাবি করে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসান ও মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করেছিলেন। এর দুই দিন পর হাতিরপুল থেকে আরেকটি বিদেশি অস্ত্র ও ককটেলসহ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক সহসভাপতি আবুল হাচান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
এই তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি। ডিবি বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতার করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হল দখলে সংগৃহীত অস্ত্র ব্যবহার করা হবে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের এমন প্রমাণও পেয়েছে বলে দাবি ডিবির।
গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
ছাত্রদলের নেতারা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হল দখলের ষড়যন্ত্র করছিলেন বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
আজ সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডিবি পুলিশের অস্ত্র উদ্ধার টিম অভিযান চালিয়ে ছাত্রদলের তিন নেতার কাছ থেকে চারটি অস্ত্র উদ্ধার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা ফেসবুকে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, কথোপকথন করেছে। এসবের ছবি আমাদের কাছে রয়েছে। কোন কোন অস্ত্র কোথায় তাঁরা ব্যবহার করবেন, সে তথ্যও রয়েছে। তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হল দখল করতে চেয়েছিলেন।’
ডিবির প্রধান আরও বলেন, ‘কোনো দলের নেতা বা কর্মীকে গ্রেপ্তার করা আমাদের উদ্দেশ্য না। তবে যারা চোরাকারবারি, সন্ত্রাসী, মাদক কারবার, অস্ত্র ব্যবসা করবে তাদের বিরুদ্ধেই আমাদের অভিযান। যদিও অনেকেই বলার চেষ্টা করছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এটা রাজনৈতিক কথাবার্তা।’
অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বরং ছাত্রদলের ওই সাত কেন্দ্রীয় নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন ডিবির প্রধান হারুন।
হারুন বলেন, ‘ছাত্রদলের গ্রেপ্তার নেতারা যে ১১টি অস্ত্র কেনার জন্য অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছে অর্ডার করেছেন, সেটি প্রমাণিত। গ্রেপ্তার ছাত্রদলের সাত নেতাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছি, তাঁরা ১১টি অস্ত্র অর্ডার করেছেন। এর মধ্যে আমরা মাত্র চারটি উদ্ধার করতে পেরেছি। বাকিগুলো উদ্ধার করে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা অনেকের নাম পেয়েছি। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’
১১টি অস্ত্র অনলাইনে বুকিং দেওয়া হয়েছিল দাবি করে ডিবির প্রধান বলেন, ‘বুকিংয়ের ছবি পুলিশের কাছে রয়েছে। ১১টি অস্ত্র যাঁদের কাছ থেকে তাঁরা সংগ্রহ করেছেন, তাঁদের নামও আমরা জেনেছি। অস্ত্রগুলো কোথায় এবং কী কাজে তাঁরা ব্যবহার করবে, সেগুলো আমরা জেনেছি। তবে তা আমরা এখনই বলছি না। আগে বাকি লোকদের গ্রেপ্তার করতে হবে। কক্সবাজার টেকনাফের নাম জেনেছি। এসব যাচাই করা হচ্ছে।’
১৮ আগস্ট রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক জিসানকে মোবাইল ফোনে না পেয়ে তাঁর বাসায় গিয়েছিলেন সংগঠনের পাঁচ নেতা। এর পর থেকে তাঁরা নিখোঁজ ছিলেন। বিএনপি ও পরিবার থেকে শুরু থেকে দাবি করা হয়, তাঁদের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। তবে এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো তথ্য দিচ্ছিল না।
পরে ২০ আগস্ট তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৬টি গুলিসহ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ছয় নেতাকে লালবাগ থানায় গ্রেপ্তার দেখায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। ডিবি দাবি করে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসান ও মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করেছিলেন। এর দুই দিন পর হাতিরপুল থেকে আরেকটি বিদেশি অস্ত্র ও ককটেলসহ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক সহসভাপতি আবুল হাচান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
এই তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি। ডিবি বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতার করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হল দখলে সংগৃহীত অস্ত্র ব্যবহার করা হবে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের এমন প্রমাণও পেয়েছে বলে দাবি ডিবির।
গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লুৎফল আমিন চৌধুরী বলেন, ‘আমি মাছের প্রজেক্ট দেখতে যাচ্ছিলাম। আজমপুর রেলওয়ে কলোনি মসজিদের সামনে দুজনকে ধস্তাধস্তি করতে দেখে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করি। কিছুক্ষণ পর আরও ৪-৫ জন যুবক এসে স্বাধীনকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে স্বপন স্বাধীনকে লম্বা ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে। বিষয়টি তাৎক্
৪৩ মিনিট আগেআওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনার ওপর এত ভরসা করত, কিন্তু তাদের খোলা মাঠে রেখে ভয়ে হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার রাশ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এসব কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম
১ ঘণ্টা আগেতিন ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের ‘অযোগ্য’ বলছে একটি পক্ষ। আরেক পক্ষের অভিযোগ, আহ্বায়ক কমিটিতে এখন ‘ভূমিদস্যু’ ও ‘চাঁদাবাজদের’ দৌরাত্ম্য। তাই আলাদা হয়েছেন তাঁরা। তবে নগর বিএনপির আহ্বায়ক বলছেন, দ্বন্দ্ব-বিভাজনের কথা তাঁর জানা নেই।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর আজিমপুরে অপহৃত শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার রাতেই তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
২ ঘণ্টা আগে