মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘বাংলার মানুষ যখন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, বাক স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকারের জন্য রাজপথে নামে, তখনই আওয়ামী লীগের প্রতিরোধ? প্রতিরোধ যদি আপনারা করেন, সেই প্রতিরোধের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ হবে। প্রতিরোধের নামে আমাদের ওপর অত্যাচার চালাবেন, এটা আমরা সহ্য করব না। এ ব্যাপারে কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের জয়নগর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সমাবেশের আয়োজন করে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কবরস্থানে পাঠানোর’ হুমকির অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল সাইদ চাঁদকে গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাওয়ায় তারা এখন আবোল-তাবোল কথাবার্তা বলছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দেওয়া হবে। এটা কী হত্যার হুমকি নয়? ফজলে নূর তাপস বলেছেন, যেসব সুশীল সমাজের প্রতিনিধি তাঁদের বুদ্ধি দিতে যাবেন, তাঁদের বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেবেন! এটা কী হত্যার হুমকি নয়? এতে কয়জন গ্রেপ্তার হয়েছে?’
ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএনপি কোনো সভা-সমাবেশ করলে তার পাশেই আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখন আর শান্তি সমাবেশ নয়, এখন তারা প্রতিরোধ সভা করবেন। কিসের প্রতিরোধ! আমরা তো একাত্তরে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম। আমরা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম। আপনারা কিসের প্রতিরোধ করবেন? বাংলার মানুষ যখন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, বাক স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকারের জন্য রাজপথে নামে, তখনই আপনারা প্রতিরোধ? প্রতিরোধ যদি আপনারা করেন, সেই প্রতিরোধের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির অন্যায়ের প্রতিরোধ করেন তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা যখন জনগণের ভোট অধিকার, কথা বলার অধিকার আদায়ের জন্য মিটিং মিছিল করব, আর প্রতিরোধের নামে আমাদের ওপর অত্যাচার চালাবেন, এটা আমরা সহ্য করব না।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘আজকে কথা বলা ও শোনার অধিকার নেই। আমাদের মিছিল-মিটিং করার অধিকার নেই। দেশের টাকা-পয়সা লুট হয়ে যাবে, আমরা বসে বসে তামাশা দেখব? দেশের জনগণ ১৪ বছর এই তামাশা দেখেছে। দেশের জনগণ আর এই তামাশা দেখতে চায় না। ভোটের মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে দেশের জনগণ এই সরকারের পতন দেখতে চায়।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘বিএনপি যেখানে সভা করার স্থান চায়, আওয়ামী লীগ সেখানেই সভা করে। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে এখন বিএনপির সভা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের পতন কখন হবে সারা দেশের মানুষ এখন অপেক্ষার দিন গুনছে। আওয়ামী লীগের অত্যাচারে সারা দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।’
বিএনপির সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আজকে যে শিশু জন্মগ্রহণ করেছে, সেই শিশুটির মাথায় লক্ষাধিক টাকা ঋণ। দেশের প্রতিটি মানুষেরই সমপরিমাণ অর্থ ঋণ। এই ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বাংলাদেশের মানুষ আজ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে।’
বর্তমান সরকার শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের কথা তুলে ধরে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কামাল সাহেব বললেন, জনগণ বাজারে গিয়ে কাঁদে, জনগণের এই সমস্ত দুর্দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র রাস্তা হলো এই সরকারের বিদায়।’
জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে এ জনসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক আইনজীবী আবদুস সালাম আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরতাজ আলম বাহার, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন, সদস্যসচিব তুহিনুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. জিন্নাহ খান প্রমুখ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘বাংলার মানুষ যখন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, বাক স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকারের জন্য রাজপথে নামে, তখনই আওয়ামী লীগের প্রতিরোধ? প্রতিরোধ যদি আপনারা করেন, সেই প্রতিরোধের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ হবে। প্রতিরোধের নামে আমাদের ওপর অত্যাচার চালাবেন, এটা আমরা সহ্য করব না। এ ব্যাপারে কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের জয়নগর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সমাবেশের আয়োজন করে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কবরস্থানে পাঠানোর’ হুমকির অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল সাইদ চাঁদকে গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাওয়ায় তারা এখন আবোল-তাবোল কথাবার্তা বলছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দেওয়া হবে। এটা কী হত্যার হুমকি নয়? ফজলে নূর তাপস বলেছেন, যেসব সুশীল সমাজের প্রতিনিধি তাঁদের বুদ্ধি দিতে যাবেন, তাঁদের বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেবেন! এটা কী হত্যার হুমকি নয়? এতে কয়জন গ্রেপ্তার হয়েছে?’
ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএনপি কোনো সভা-সমাবেশ করলে তার পাশেই আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখন আর শান্তি সমাবেশ নয়, এখন তারা প্রতিরোধ সভা করবেন। কিসের প্রতিরোধ! আমরা তো একাত্তরে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম। আমরা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম। আপনারা কিসের প্রতিরোধ করবেন? বাংলার মানুষ যখন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, বাক স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকারের জন্য রাজপথে নামে, তখনই আপনারা প্রতিরোধ? প্রতিরোধ যদি আপনারা করেন, সেই প্রতিরোধের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির অন্যায়ের প্রতিরোধ করেন তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা যখন জনগণের ভোট অধিকার, কথা বলার অধিকার আদায়ের জন্য মিটিং মিছিল করব, আর প্রতিরোধের নামে আমাদের ওপর অত্যাচার চালাবেন, এটা আমরা সহ্য করব না।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘আজকে কথা বলা ও শোনার অধিকার নেই। আমাদের মিছিল-মিটিং করার অধিকার নেই। দেশের টাকা-পয়সা লুট হয়ে যাবে, আমরা বসে বসে তামাশা দেখব? দেশের জনগণ ১৪ বছর এই তামাশা দেখেছে। দেশের জনগণ আর এই তামাশা দেখতে চায় না। ভোটের মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে দেশের জনগণ এই সরকারের পতন দেখতে চায়।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘বিএনপি যেখানে সভা করার স্থান চায়, আওয়ামী লীগ সেখানেই সভা করে। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে এখন বিএনপির সভা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের পতন কখন হবে সারা দেশের মানুষ এখন অপেক্ষার দিন গুনছে। আওয়ামী লীগের অত্যাচারে সারা দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।’
বিএনপির সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আজকে যে শিশু জন্মগ্রহণ করেছে, সেই শিশুটির মাথায় লক্ষাধিক টাকা ঋণ। দেশের প্রতিটি মানুষেরই সমপরিমাণ অর্থ ঋণ। এই ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বাংলাদেশের মানুষ আজ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে।’
বর্তমান সরকার শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের কথা তুলে ধরে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কামাল সাহেব বললেন, জনগণ বাজারে গিয়ে কাঁদে, জনগণের এই সমস্ত দুর্দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র রাস্তা হলো এই সরকারের বিদায়।’
জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে এ জনসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক আইনজীবী আবদুস সালাম আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরতাজ আলম বাহার, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন, সদস্যসচিব তুহিনুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. জিন্নাহ খান প্রমুখ।
রাজশাহীতে বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে উপজেলার অভয়া-কামারপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগেপ্রায় তিন মাস পর গাজীপুরের শ্রীপুরের সাফারি পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পুরোনো নাম বদলে নতুন নাম ধারণ করা সাফারি পার্ক গাজীপুরে আজ শুক্রবার ছুটির দিনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যাপক ভাঙচুরের পর পার্কটি বন্ধ রাখা হয়।
১৯ মিনিট আগেপটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ২০০ বছর ধরে চলে আসা রাস উৎসবে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তীর্থযাত্রীদের ঢল নেমেছে। পুণ্যার্থীদের আগমনে ভরপুর কুয়াকাটার রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের প্রাঙ্গণসহ কুয়াকাটার আশপাশ।
৩৬ মিনিট আগেখুলনায় অগ্নিকাণ্ডে একটি পাটের বস্তার গোডাউনসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বড় বাজারের বার্মাশীল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে