সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘিরে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। ছয়টি আসনে সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির সাত আত্মীয়সহ অন্তত ৬৭ জন দলীয় প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে যোগাযোগ রক্ষাসহ নানাভাবে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। ছয়টি আসনে দলের প্রার্থী কারা হচ্ছেন, সেই আলোচনা চলছে সংসদীয় আসনগুলোর সাধারণ মানুষের মাঝেও।
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের বড় ছেলে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রভাব বরাবরই তুঙ্গে ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর আসনটিতে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। তবে এবার তাঁর আপন বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু মনোনয়ন দৌড়ে থাকায় বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁকে।
সৈয়দ পরিবারের বাইরে প্রভাবশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী মশিউর রহমান হুমায়ুন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী। ২০১৮ সালের পর কিশোরগঞ্জের রাজনীতিতে সরব হন তিনি। সদর ও হোসেনপুর উপজেলার রাজনীতিতে তাঁর আধিপত্য বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের সুবিধা বাড়িয়ে নিজেকে জনপ্রিয় করেছেন মশিউর। চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করেছেন কয়েক হাজার মানুষের। এ ছাড়া এ আসনে সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিনসহ মোট ১১ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ। পাকুন্দিয়া উপজেলায় সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন ও বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের মধ্যে কোন্দল বহু দিন ধরেই বেশ আলোচনায়। স্থানীয়রা এ ধরনের কোন্দলকে বলেন ‘হাইজের মাইর’। এই ঘটনা জেলাবাসীর হাসির খোরাক জুগিয়েছে এত দিন।
কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যের মনোনয়ন কোন্দল নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ১৪ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পাওয়া গেছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জনের মনোনয়ন ফরম নেওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলের নেতা-কর্মীদেরই ভাবাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসন রামের রাজত্ব নাকি রাবণের রাজত্ব তা বলা মুশকিল! তবে এ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর রাজত্বে বহুদিন ধরে কোণঠাসা আওয়ামী লীগ। এ আসনে একচ্ছত্র আধিপত্য চুন্নুর। চুন্নুর রাজনৈতিক কৌশলের কারণে এ আসন থেকে তাঁর এপিএস বাবলুসহ আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ সংখ্যক—২১ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এই আসনে সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের শ্যালক চিকিৎসক আ ন ম নৌশাদ খানও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-অষ্টগ্রাম-মিঠামইন) আসনে টানা সাতবারের এমপি ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধীদলীয় সংসদ উপনেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আসনটিতে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। পরে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন।
বাবার রাজনীতির উত্তরাধিকারে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক দলটির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ আসনে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি ছাড়াও ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী মো. আবদুল হামিদ দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে ক্ষমতায় থাকার ১৫ বছরে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন আফজাল। দলের ভেতরে-বাইরে তাঁকে নিয়ে রয়েছে সমালোচনা। তিনি ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ। তাঁদের অভিযোগ, এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বাজিতপুরে তাঁর ভাই ও আত্মীয়দের দিয়ে রাজত্ব কায়েম করে রেখেছেন তিনি।
তবে তাঁর পিঠ বাঁচাতে একজোট হয়ে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের আরেকটি পক্ষ। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। এতে রাজনীতির মাঠ যেমন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কও ছড়িয়েছে। এবারের নির্বাচনেও আফজাল হোসেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এমপি আফজাল হোসেন ছাড়াও এই আসনে ১৫ নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের ছয়বারের এমপি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর থেকে এই আসন থেকে তাঁর ছেলে নাজমুল হাসান পাপন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এই আসনটিতে তাঁর মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিতই মনে করছেন সমর্থকেরা। এরই মধ্যে তিনি এই আসনে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন একমাত্র প্রার্থী হিসেবে। আসনটিতে আর কেউ মনোনয়ন ফরম তোলেননি।
এদিকে সাধারণ ভোটার ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিরোধী দলে থাকলেই তত্ত্বাবধায়ক ভালো, আর সরকারি দলে থাকলেই সেটি খারাপ—এই হলো দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান। নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে প্রধান দুই দল ঐকমত্যে পৌঁছাতে এখন পর্যন্ত ব্যর্থ। এই অনৈক্যের কারণে নির্বাচনে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনতা তৈরি হয়েছে, তাতে ভোটকেন্দ্রে আর যেতে চান না ভোটাররা। এটিই বর্তমান রাজনীতির বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, শত ফুল ফুটতে দাও। তাই সবাই মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিয়েছেন। তবে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, জেলা আওয়ামী লীগের সব নেতৃবৃন্দ তাঁর পক্ষেই কাজ করবেন।’
কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘিরে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। ছয়টি আসনে সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির সাত আত্মীয়সহ অন্তত ৬৭ জন দলীয় প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে যোগাযোগ রক্ষাসহ নানাভাবে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। ছয়টি আসনে দলের প্রার্থী কারা হচ্ছেন, সেই আলোচনা চলছে সংসদীয় আসনগুলোর সাধারণ মানুষের মাঝেও।
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের বড় ছেলে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রভাব বরাবরই তুঙ্গে ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর আসনটিতে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। তবে এবার তাঁর আপন বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু মনোনয়ন দৌড়ে থাকায় বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁকে।
সৈয়দ পরিবারের বাইরে প্রভাবশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী মশিউর রহমান হুমায়ুন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী। ২০১৮ সালের পর কিশোরগঞ্জের রাজনীতিতে সরব হন তিনি। সদর ও হোসেনপুর উপজেলার রাজনীতিতে তাঁর আধিপত্য বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের সুবিধা বাড়িয়ে নিজেকে জনপ্রিয় করেছেন মশিউর। চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করেছেন কয়েক হাজার মানুষের। এ ছাড়া এ আসনে সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিনসহ মোট ১১ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ। পাকুন্দিয়া উপজেলায় সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন ও বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের মধ্যে কোন্দল বহু দিন ধরেই বেশ আলোচনায়। স্থানীয়রা এ ধরনের কোন্দলকে বলেন ‘হাইজের মাইর’। এই ঘটনা জেলাবাসীর হাসির খোরাক জুগিয়েছে এত দিন।
কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যের মনোনয়ন কোন্দল নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ১৪ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পাওয়া গেছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জনের মনোনয়ন ফরম নেওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলের নেতা-কর্মীদেরই ভাবাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসন রামের রাজত্ব নাকি রাবণের রাজত্ব তা বলা মুশকিল! তবে এ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর রাজত্বে বহুদিন ধরে কোণঠাসা আওয়ামী লীগ। এ আসনে একচ্ছত্র আধিপত্য চুন্নুর। চুন্নুর রাজনৈতিক কৌশলের কারণে এ আসন থেকে তাঁর এপিএস বাবলুসহ আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ সংখ্যক—২১ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এই আসনে সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের শ্যালক চিকিৎসক আ ন ম নৌশাদ খানও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-অষ্টগ্রাম-মিঠামইন) আসনে টানা সাতবারের এমপি ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধীদলীয় সংসদ উপনেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আসনটিতে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। পরে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন।
বাবার রাজনীতির উত্তরাধিকারে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক দলটির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ আসনে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি ছাড়াও ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী মো. আবদুল হামিদ দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে ক্ষমতায় থাকার ১৫ বছরে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন আফজাল। দলের ভেতরে-বাইরে তাঁকে নিয়ে রয়েছে সমালোচনা। তিনি ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ। তাঁদের অভিযোগ, এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বাজিতপুরে তাঁর ভাই ও আত্মীয়দের দিয়ে রাজত্ব কায়েম করে রেখেছেন তিনি।
তবে তাঁর পিঠ বাঁচাতে একজোট হয়ে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের আরেকটি পক্ষ। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। এতে রাজনীতির মাঠ যেমন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কও ছড়িয়েছে। এবারের নির্বাচনেও আফজাল হোসেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এমপি আফজাল হোসেন ছাড়াও এই আসনে ১৫ নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের ছয়বারের এমপি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর থেকে এই আসন থেকে তাঁর ছেলে নাজমুল হাসান পাপন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এই আসনটিতে তাঁর মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিতই মনে করছেন সমর্থকেরা। এরই মধ্যে তিনি এই আসনে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন একমাত্র প্রার্থী হিসেবে। আসনটিতে আর কেউ মনোনয়ন ফরম তোলেননি।
এদিকে সাধারণ ভোটার ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিরোধী দলে থাকলেই তত্ত্বাবধায়ক ভালো, আর সরকারি দলে থাকলেই সেটি খারাপ—এই হলো দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান। নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে প্রধান দুই দল ঐকমত্যে পৌঁছাতে এখন পর্যন্ত ব্যর্থ। এই অনৈক্যের কারণে নির্বাচনে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনতা তৈরি হয়েছে, তাতে ভোটকেন্দ্রে আর যেতে চান না ভোটাররা। এটিই বর্তমান রাজনীতির বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, শত ফুল ফুটতে দাও। তাই সবাই মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিয়েছেন। তবে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাঁকে মনোনয়ন দেবেন, জেলা আওয়ামী লীগের সব নেতৃবৃন্দ তাঁর পক্ষেই কাজ করবেন।’
তিন ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের ‘অযোগ্য’ বলছে একটি পক্ষ। আরেক পক্ষের অভিযোগ, আহ্বায়ক কমিটিতে এখন ‘ভূমিদস্যু’ ও ‘চাঁদাবাজদের’ দৌরাত্ম্য। তাই আলাদা হয়েছেন তাঁরা। তবে নগর বিএনপির আহ্বায়ক বলছেন, দ্বন্দ্ব-বিভাজনের কথা তাঁর জানা নেই।
২৯ মিনিট আগেরাজধানীর আজিমপুরে অপহৃত শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার রাতেই তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
১ ঘণ্টা আগেনিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৯ ঘণ্টা আগে