কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
১৫ বছর পর দেশে ফিরে বাঙালির সবচেয়ে বড় প্রাণের মেলায় যুক্ত হতে অনেক সকালেই শাহবাগে এসেছেন মৈনাক সরকার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহধর্মিণী লতারাণী সরকার। বয়সের কারণে পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার ভিড় এড়িয়ে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়েই দেখেছেন শোভাযাত্রা। এরপর টিএসসি চত্বরে বসে তাঁরা দুজনই চারদিকের রং আর তারুণ্যকে দেখে বারবার ফিরে গেছেন নিজেদের পুরোনো স্মৃতিতে।
মৈনাক সরকার বলেন, ‘১৫ বছর পর দেশে ফিরেছি। দেশের বাইরে বাঙালি কমিউনিটি পয়লা বৈশাখ পালন করে, কিন্তু দেশ তো দেশই। এই যে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এত মানুষ, এত আনন্দ, এখানে এমন একটা ভালো লাগা আর আবহ আছে, যা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।’
লতারাণী বলেন, ‘বাংলা বছরের এই প্রথম দিনে আমাদের একটাই চাওয়া, সব অসুখ, অমঙ্গল কাটিয়ে উঠুক বিশ্ব। এই নতুন বছর শুধু বাঙালি নয়, সব মানুষের জীবনেই মঙ্গল বয়ে আনুক।’
সরেজমিনে শাহবাগ, রমনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই ধীরে ধীরে এসব এলাকা মুখর হয়ে উঠছিল নবীন-প্রবীণ, শিশু-কিশোর আর দেশি-বিদেশি মানুষের ভিড়ে। এই ভিড়ের প্রতিটি মানুষের মধ্যে ফুটে আছে বাঙালির ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি। এই ভিড়ে কোনো মানুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। কেউ এসেছেন মঙ্গল শোভাযাত্রায় আনন্দ করতে, কেউ এসেছেন ছায়ানটের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান উপভোগ করতে। বাবা-মায়ের হাত ধরে নানান বয়সের শিশুরা রঙিন বসনে ঘোরাফেরা করছে।
১২ বছরের অনামিকা মায়ের হাত ধরে এসেছে মঙ্গল শোভাযাত্রার রঙিন পাখিটিকে দেখতে, যা বাঙালির ঐতিহ্যকে ধারণ করে মঙ্গলবার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে হাজার প্রাণের মাঝে। অনামিকা ভালো করে হাঁটতে পারে না।
অনামিকার মা জানান, অনামিকা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু। বয়স বেড়ে গেলেও বুদ্ধির দিক থেকে অনামিকা সেই ৭ বছরের শিশুটিই রয়ে গেছে। পয়লা বৈশাখের ঐতিহ্যকে ধারণ করতে কিংবা এই বৈশাখের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে তুলতে কোনো আলাদা মানুষ হতে হয় না।
অনামিকার মা বলেন, ‘আমি জানি আমার মেয়েটা স্বাভাবিক নয়। কিন্তু আমি তাকে একটি স্বাভাবিক জীবন দিতে চাই। বৈশাখ আমাদের ঐতিহ্য। আমি চাই আমার অন্যান্য ছেলেমেয়ের মতো আমার এই মেয়েটাও বৈশাখকে উদ্যাপন করতে শিখুক।’
পরিবারকে নিয়ে বৈশাখ উদ্যাপনের উদ্দেশে এসেছেন আনিসুল ইসলাম। তাঁর মেয়েকে পরিয়েছেন লাল রঙের ‘এসো হে বৈশাখ’ লেখা শাড়ি। শাড়ি সামলে হাঁটতে কষ্ট হচ্ছিল মেয়ের। তাই মেয়েকে কোলে নিয়ে হাঁটছিলেন আনিসুল ইসলাম।
আনিসুল বলেন, ‘এবারের বৈশাখে মানুষের মধ্যে সেই আগের আনন্দটা দেখতে পাচ্ছি। খুব ভালো লাগছে। মাঝের বৈশাখে বের হতে পারিনি, তাই এবার সকাল সকালই বেরিয়েছি। এই উৎসবটা আসলেই আলাদা, অন্যরকম। রমজানের কারণে পান্তাটা এবার হচ্ছে না, তবুও বৈশাখ সেই চিরচেনা রূপে ফিরে এসেছে। আশা করব, সবাই নতুন বছরে পুরোনো সব ব্যর্থতা, রোগ, শোক কাটিয়ে উঠতে পারব।’
এদিকে উৎসব উপলক্ষে চলছে হরেক রকম জিনিসের বেচাকেনা। সাভার থেকে নাসির এসেছেন ফুলের মুকুট, কাঠের পুতুল, কাঠের একতারা আর খোল নিয়ে। নাসিরের কাছে ভিড় করছেন অনেকেই। কেউ কিনছেন, কেউ দেখছেন আবার কেউ ছবি তুলছেন। কোনোটাতেই না নেই নাসিরের। হাসিমুখে কথা বলছেন ক্রেতাদের সঙ্গে। নববর্ষের শুভেচ্ছাও জানাচ্ছেন।
নাসির বলেন, ‘বেচাকেনার উদ্দেশেই আমি আইছি। দেখি কেমন বেচাবিক্রি হয়। কিন্তু তেমন বিক্রি না হইলেও মনে কোনো কষ্ট হইব না আইজকা। সবাই আইজকা আনন্দ করতে আইছে। তাদের আনন্দ দেইখা আমারও ভালোই লাগতাছে।’
১৫ বছর পর দেশে ফিরে বাঙালির সবচেয়ে বড় প্রাণের মেলায় যুক্ত হতে অনেক সকালেই শাহবাগে এসেছেন মৈনাক সরকার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহধর্মিণী লতারাণী সরকার। বয়সের কারণে পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার ভিড় এড়িয়ে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়েই দেখেছেন শোভাযাত্রা। এরপর টিএসসি চত্বরে বসে তাঁরা দুজনই চারদিকের রং আর তারুণ্যকে দেখে বারবার ফিরে গেছেন নিজেদের পুরোনো স্মৃতিতে।
মৈনাক সরকার বলেন, ‘১৫ বছর পর দেশে ফিরেছি। দেশের বাইরে বাঙালি কমিউনিটি পয়লা বৈশাখ পালন করে, কিন্তু দেশ তো দেশই। এই যে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এত মানুষ, এত আনন্দ, এখানে এমন একটা ভালো লাগা আর আবহ আছে, যা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।’
লতারাণী বলেন, ‘বাংলা বছরের এই প্রথম দিনে আমাদের একটাই চাওয়া, সব অসুখ, অমঙ্গল কাটিয়ে উঠুক বিশ্ব। এই নতুন বছর শুধু বাঙালি নয়, সব মানুষের জীবনেই মঙ্গল বয়ে আনুক।’
সরেজমিনে শাহবাগ, রমনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই ধীরে ধীরে এসব এলাকা মুখর হয়ে উঠছিল নবীন-প্রবীণ, শিশু-কিশোর আর দেশি-বিদেশি মানুষের ভিড়ে। এই ভিড়ের প্রতিটি মানুষের মধ্যে ফুটে আছে বাঙালির ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি। এই ভিড়ে কোনো মানুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। কেউ এসেছেন মঙ্গল শোভাযাত্রায় আনন্দ করতে, কেউ এসেছেন ছায়ানটের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান উপভোগ করতে। বাবা-মায়ের হাত ধরে নানান বয়সের শিশুরা রঙিন বসনে ঘোরাফেরা করছে।
১২ বছরের অনামিকা মায়ের হাত ধরে এসেছে মঙ্গল শোভাযাত্রার রঙিন পাখিটিকে দেখতে, যা বাঙালির ঐতিহ্যকে ধারণ করে মঙ্গলবার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে হাজার প্রাণের মাঝে। অনামিকা ভালো করে হাঁটতে পারে না।
অনামিকার মা জানান, অনামিকা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু। বয়স বেড়ে গেলেও বুদ্ধির দিক থেকে অনামিকা সেই ৭ বছরের শিশুটিই রয়ে গেছে। পয়লা বৈশাখের ঐতিহ্যকে ধারণ করতে কিংবা এই বৈশাখের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে তুলতে কোনো আলাদা মানুষ হতে হয় না।
অনামিকার মা বলেন, ‘আমি জানি আমার মেয়েটা স্বাভাবিক নয়। কিন্তু আমি তাকে একটি স্বাভাবিক জীবন দিতে চাই। বৈশাখ আমাদের ঐতিহ্য। আমি চাই আমার অন্যান্য ছেলেমেয়ের মতো আমার এই মেয়েটাও বৈশাখকে উদ্যাপন করতে শিখুক।’
পরিবারকে নিয়ে বৈশাখ উদ্যাপনের উদ্দেশে এসেছেন আনিসুল ইসলাম। তাঁর মেয়েকে পরিয়েছেন লাল রঙের ‘এসো হে বৈশাখ’ লেখা শাড়ি। শাড়ি সামলে হাঁটতে কষ্ট হচ্ছিল মেয়ের। তাই মেয়েকে কোলে নিয়ে হাঁটছিলেন আনিসুল ইসলাম।
আনিসুল বলেন, ‘এবারের বৈশাখে মানুষের মধ্যে সেই আগের আনন্দটা দেখতে পাচ্ছি। খুব ভালো লাগছে। মাঝের বৈশাখে বের হতে পারিনি, তাই এবার সকাল সকালই বেরিয়েছি। এই উৎসবটা আসলেই আলাদা, অন্যরকম। রমজানের কারণে পান্তাটা এবার হচ্ছে না, তবুও বৈশাখ সেই চিরচেনা রূপে ফিরে এসেছে। আশা করব, সবাই নতুন বছরে পুরোনো সব ব্যর্থতা, রোগ, শোক কাটিয়ে উঠতে পারব।’
এদিকে উৎসব উপলক্ষে চলছে হরেক রকম জিনিসের বেচাকেনা। সাভার থেকে নাসির এসেছেন ফুলের মুকুট, কাঠের পুতুল, কাঠের একতারা আর খোল নিয়ে। নাসিরের কাছে ভিড় করছেন অনেকেই। কেউ কিনছেন, কেউ দেখছেন আবার কেউ ছবি তুলছেন। কোনোটাতেই না নেই নাসিরের। হাসিমুখে কথা বলছেন ক্রেতাদের সঙ্গে। নববর্ষের শুভেচ্ছাও জানাচ্ছেন।
নাসির বলেন, ‘বেচাকেনার উদ্দেশেই আমি আইছি। দেখি কেমন বেচাবিক্রি হয়। কিন্তু তেমন বিক্রি না হইলেও মনে কোনো কষ্ট হইব না আইজকা। সবাই আইজকা আনন্দ করতে আইছে। তাদের আনন্দ দেইখা আমারও ভালোই লাগতাছে।’
রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় ছুরিকাঘাতে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এ কে এম আব্দুর রশিদকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজারীবাগ মডেল থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রিপন মিয়াকে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জ শহরের রহমতগঞ্জে ছয়টি পিকআপ ভ্যানে চাঁদা চাইলে তাঁকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবিশ্বের একমাত্র স্বীকৃত উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বিমানে স্থাপিত উড়ন্ত হাসপাতালটি চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিশেষায়িত হাসপাতালটি চক্ষুরোগসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে ১৮ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে অবস্থান করবে...
২ ঘণ্টা আগে২০২৩ সালের ২২ আগস্ট সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক কাটাগাঙ্গের এ লোহার সেতু ভেঙে নদীতে ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ট্রাকচালক ওমর ফারুক ও চালকের সহকারী জাকির হোসেন কলিন্স নিহত হয়েছিলেন। এরপর সপ্তাহখানেক সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকার পর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি আবারও জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়...
২ ঘণ্টা আগে