প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আমাদের মূল বার্তা হচ্ছে, যেকোনো মূল্যে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা। যেকোনো প্রকারে নিশ্চিত করতে হবে, ভোটাররা যাঁরা ভোট দিতে চাইছেন, তাঁরা ভোট দিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন না। তাঁরা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারছেন এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করবেন প্রশাসনের যাঁরা আছেন, এটা তাঁদের দায়িত্ব।’
আজ মঙ্গলবার রংপুর শিল্পকলা একাডেমিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ভোটকেন্দ্রে মিডিয়াকে বাধা দেওয়া হবে না জানিয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘মিডিয়াকে কোনোভাবে বাধা দেওয়া যাবে না। স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হবে ভিজিবিলিটির মাধ্যমে। মিডিয়া যে বক্তব্যগুলো নেবে, ভিডিও, ছবিগুলো তুলবে সেগুলো সারা দেশে প্রচার হবে। প্রচার হলে দেশের জনগণ দেখতে পারবে।’
তিনি বলেন, ভোটারেরা যদি বলেন যে অত্যন্ত সুন্দরভাবে ভোট দিতে পেরেছেন, তাহলে ভোট স্বচ্ছ হবে। আর যদি ভোটকেন্দ্রের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে বলেন, ভোট দিতে পারিনি, বিশৃঙ্খলা–তাহলে ভোট প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।
এবার শুধু একটি কেন্দ্র সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা একটা কেন্দ্রকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করতে পারি। কিন্তু ৩০০ আসনে চার লাখ সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব না। সবার উপস্থিতিতে ভোট পোলিং অনুষ্ঠিত হবে।
‘কোনোভাবেই ভোটারকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে যাবেন। ভোটকেন্দ্রের ভেতরের পরিবেশটা অনুকূল থাকবে। কোনো পেশিশক্তির ব্যবহার ওখানে থাকবে না, জোর-জবরদস্তি থাকবে না। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেবেন।’
এর আগে সিইসি প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীসহ আঞ্চলিক জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।