নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চাকরিচ্যুত দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনকে অপসারণ এবং পাল্টাপাল্টি অভিযোগের স্বাধীন অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে ১০ আইনজীবীর করা রিট আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার এই বিষয়ে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, যেভাবে আবেদনের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির শুনানি করছেন তাতে সন্দেহ হচ্ছে, তিনি কী ১০ আবেদনকারীদের না শরীফের আইনজীবী। কারণ বারবার আবেদনে শরীফ ঢুকে যাচ্ছে।
আবেদনের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘শরীফের পক্ষে-বিপক্ষে আমার কোনো বক্তব্য নেই। তাকে বদলি বা অপসারণ করলে আমার কিছু আসে যায় না। কিন্তু যখন দেখি ‘দুর্নীতির তদন্তে নেমে বিপদে’—তখন আসে যায়। আদালত বলেন, শরীফ তো আসতে পারত। শিশির মনির বলেন, আমরা তো আসতে পারি। আমরা এসে কি ভুল করলাম। কমিশনের দুর্নাম হলে আমিও সংক্ষুব্ধ হই, আমি আসতে পারি। কারণ দুদক পাবলিক প্রতিষ্ঠান।
খুরশীদ আলম খান বলেন, শরীফের ঘটনা দুদকের অভ্যন্তরীণ বিষয়। শরীফ সংক্ষুব্ধ হলে আদালতে আসতে পারে। তারা (১০ আইনজীবী) আসতে পারেন না। তাদের লুকাসস্ট্যান্ডি (আইনগত এখতিয়ার) নেই। এ ছাড়া দুদকের আদেশের বিরুদ্ধে শরীফ রিভিউ আবেদন করেছে। সেটা বিচারাধীন। তাই এই রিট খারিজ করার আরজি জানাচ্ছি। আজকে শরীফের ইস্যুতে আদেশ দিলে অন্য তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তার (শরীফ) অপসারণ ঠেকানোর জন্য তৃতীয় পক্ষ আদালতে এসেছে।
এ সময় শিশির মনির বলেন, কমিশনে শরীফের করা আবেদনের সঙ্গে এই রিটের কোনো সম্পর্ক নেই।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, দুদকের এই বিষয়টি নিয়ে অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কি অপরাধে শরীফকে অপসারণ করা হয়েছে, সেটা জানানো হয়নি। শরীফের বক্তব্য শোনা দরকার। তাঁকে তলব করা হোক। এই রিটের পর বলা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা। রিট না হলে আমরা কিছুই জানতাম না।
এ সময় দুদকের আইনজীবী বলেন, শরীফকে ডাকলে তো তার আবেদন হয়ে যাবে। সেটা দরকার নেই।
আদালত সবার বক্তব্য শুনে আগামী মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করে দেন।
শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে দুদক কার্যালয়। এরপর শরীফ উদ্দিনের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত পাল্টাপাল্টি অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন ১০ আইনজীবী। রিটকারী আইনজীবীরা হলেন—মোহাম্মদ শিশির মনির, রেজওয়ানা ফেরদৌস, জামিলুর রহমান খান, উত্তম কুমার বণিক, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. তারেকুল ইসলাম, আহমেদ আবদুল্লাহ খান, সৈয়দ মোহাম্মদ রায়হান, মো. সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নোয়াব আলী।
তার আগে শরীফ উদ্দিনের জীবনের নিরাপত্তা ও ঘটনার তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে চিঠি পাঠান ওই ১০ আইনজীবী। সেই সঙ্গে চিঠি দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকেও। পরে ওই চিঠির বিষয়টি আদালতে তুলে ধরেন আইনজীবী শিশির মনির। তখন আদালত তাকে বলেন, ‘আমাদের মাধ্যমে সুয়োমোটো না করে আপনি আবেদন নিয়ে আসতে পারেন, যদি আপনি প্রকৃত অর্থে দুদকের ওই কার্যক্রম নিয়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন। কীভাবে সংক্ষুব্ধ হলেন ব্যাখ্যা দিয়ে আসুন।’ পরে সে অনুযায়ী রিট করা হয়।
চাকরিচ্যুত দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনকে অপসারণ এবং পাল্টাপাল্টি অভিযোগের স্বাধীন অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে ১০ আইনজীবীর করা রিট আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার এই বিষয়ে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, যেভাবে আবেদনের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির শুনানি করছেন তাতে সন্দেহ হচ্ছে, তিনি কী ১০ আবেদনকারীদের না শরীফের আইনজীবী। কারণ বারবার আবেদনে শরীফ ঢুকে যাচ্ছে।
আবেদনের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘শরীফের পক্ষে-বিপক্ষে আমার কোনো বক্তব্য নেই। তাকে বদলি বা অপসারণ করলে আমার কিছু আসে যায় না। কিন্তু যখন দেখি ‘দুর্নীতির তদন্তে নেমে বিপদে’—তখন আসে যায়। আদালত বলেন, শরীফ তো আসতে পারত। শিশির মনির বলেন, আমরা তো আসতে পারি। আমরা এসে কি ভুল করলাম। কমিশনের দুর্নাম হলে আমিও সংক্ষুব্ধ হই, আমি আসতে পারি। কারণ দুদক পাবলিক প্রতিষ্ঠান।
খুরশীদ আলম খান বলেন, শরীফের ঘটনা দুদকের অভ্যন্তরীণ বিষয়। শরীফ সংক্ষুব্ধ হলে আদালতে আসতে পারে। তারা (১০ আইনজীবী) আসতে পারেন না। তাদের লুকাসস্ট্যান্ডি (আইনগত এখতিয়ার) নেই। এ ছাড়া দুদকের আদেশের বিরুদ্ধে শরীফ রিভিউ আবেদন করেছে। সেটা বিচারাধীন। তাই এই রিট খারিজ করার আরজি জানাচ্ছি। আজকে শরীফের ইস্যুতে আদেশ দিলে অন্য তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তার (শরীফ) অপসারণ ঠেকানোর জন্য তৃতীয় পক্ষ আদালতে এসেছে।
এ সময় শিশির মনির বলেন, কমিশনে শরীফের করা আবেদনের সঙ্গে এই রিটের কোনো সম্পর্ক নেই।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, দুদকের এই বিষয়টি নিয়ে অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কি অপরাধে শরীফকে অপসারণ করা হয়েছে, সেটা জানানো হয়নি। শরীফের বক্তব্য শোনা দরকার। তাঁকে তলব করা হোক। এই রিটের পর বলা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা। রিট না হলে আমরা কিছুই জানতাম না।
এ সময় দুদকের আইনজীবী বলেন, শরীফকে ডাকলে তো তার আবেদন হয়ে যাবে। সেটা দরকার নেই।
আদালত সবার বক্তব্য শুনে আগামী মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করে দেন।
শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে দুদক কার্যালয়। এরপর শরীফ উদ্দিনের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত পাল্টাপাল্টি অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন ১০ আইনজীবী। রিটকারী আইনজীবীরা হলেন—মোহাম্মদ শিশির মনির, রেজওয়ানা ফেরদৌস, জামিলুর রহমান খান, উত্তম কুমার বণিক, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. তারেকুল ইসলাম, আহমেদ আবদুল্লাহ খান, সৈয়দ মোহাম্মদ রায়হান, মো. সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নোয়াব আলী।
তার আগে শরীফ উদ্দিনের জীবনের নিরাপত্তা ও ঘটনার তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে চিঠি পাঠান ওই ১০ আইনজীবী। সেই সঙ্গে চিঠি দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকেও। পরে ওই চিঠির বিষয়টি আদালতে তুলে ধরেন আইনজীবী শিশির মনির। তখন আদালত তাকে বলেন, ‘আমাদের মাধ্যমে সুয়োমোটো না করে আপনি আবেদন নিয়ে আসতে পারেন, যদি আপনি প্রকৃত অর্থে দুদকের ওই কার্যক্রম নিয়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন। কীভাবে সংক্ষুব্ধ হলেন ব্যাখ্যা দিয়ে আসুন।’ পরে সে অনুযায়ী রিট করা হয়।
দুপুরে মহাখালীতে সড়ক অবরোধের সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে হামলা করা হয়। এতে নারী–শিশুসহ অনেক যাত্রী আহত হন। এ ঘটনার পরেও চালক ট্রেনটি কমলাপুরে নিয়ে আসেন। সেই ট্রেনটি বিকেল ৫টার দিকে আবার নোয়াখালী অভিমুখে যাত্রা করে।
৩ মিনিট আগেসৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. হৃদয় ইসলাম নামের বাংলাদেশি এক যুবক মারা গেছেন। গতকাল রোববার সৌদি আরবের সময় রাত ৯টার দিকে ওই দেশের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।
১৪ মিনিট আগেবেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা হত্যার শিকার হয়েছেন তাদের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। শুধু ছাত্র-জনতা হত্যা নয়, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে যেসব হত্যার ঘটনা ঘটেছে সব হত্যার বিচার করা হবে।
২৫ মিনিট আগেসড়ক দুর্ঘটনা, মরদেহ, পুলিশ, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম বিভাগ, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগে