মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
বিশাল বাঁশ বাগান। পাশেই বাঘিল বিল। সঙ্গে আকাশমনি গাছের বাগানে দুই গাছের সঙ্গে টানা দিয়ে বেঁধে রাখা এক কিশোর। তার মুখে ভুবন ভুলানো হাসি, কিন্তু নিঃশব্দ। কিশোরটি ছোট করে লাফাচ্ছে। মাঝে মধ্যে স্বাভাবিক কথাবার্তা বলছে। ছোট শিশুকে আদর করার জন্য কাছে ডাকছে। কখনো দুপায়ে ভর করে মাটিতে বসছে।
নির্ভয়ে দুই বছরের একটি শিশু ওর কাছে গিয়ে বসল। কী আনন্দ ওর চোখে মুখে! ঊরুর ওপর ভর করে বসলেও আদর করার উপায় নেই। কারণ দুই গাছের সঙ্গে দুই হাত বাঁধা। মুহূর্তেই মুখটা বিবর্ণ হয়ে গেল। অসহায়ত্বের ছাপ চোখে মুখে। মিনিটখানেক পরেই শিশুটি উঠে গেলে আবার দাঁড়িয়ে লাফাতে থাকে কিশোরটি। বলতে থাকে আসো আসো...।
পাশে মা-বোন প্রতিবেশী অপলক চোখে দেখছেন। কয়েক কদম এগিয়ে কিশোরটির মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করলেন মা রাজিয়া বেগম।
এমন করুণ দৃশ্য দেখা গেল টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরশহরের গোপীনাথপুর এলাকায়।
জানা যায়, ১৫ বছর বয়সী আকিবের বাবা মারা গেছেন প্রায় চার বছর আগে। বাবা হারানোর অল্পকদিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয় আকিব। আবোলতাবোল বকতে থাকে। প্রতিবেশীরা বলেন, আকিবের মা বাড়ির সঙ্গে উলুর টিকর (উইপোকার ঢিপি) ভেঙেছেন বলে ছেলেকে জিনে ধরেছে।
সবার কথা মতো কবিরাজের কাছে চিকিৎসা করানো হয়। কোনো ফল হয়নি। গ্রাম্য চিকিৎসকের চিকিৎসাও করানো হয়েছে। এরই মাঝে হার্টঅ্যাটাক করে মারা যান আকিবের বাবা রাজিব হোসেন। একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে আচমকা হারিয়ে মহাসমুদ্রে পড়ে পরিবারটি।
আয়ের পথ বন্ধ, ফলে বন্ধ হয়ে যায় আকিবের চিকিৎসাও। বাধ্য হয়ে রাজিয়া বেগম তাঁর বড় ভাই সোলায়মানের কাছে সন্তানসহ আশ্রয় নেন। সেখানেই এখন তাদের বসবাস। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে আকিব তৃতীয়। অর্থাভাবে স্কুলে যেতে পারেনি কখনো। ছোট মেয়ে আয়শা কিছুদিন ধরে মাদ্রাসায় যাচ্ছে।
আকিবের বড়ভাই আরিফের আয়ের ওপর নির্ভরশীল রাজিয়া বেগমের পরিবার। সে কাজ করে মধুপুর শহরের একটি দোকানে। প্রতিদিন দুশ টাকা মাইনে পায়। আকিবের মা তাই দিয়ে সংসার চালান আর মানসিকভাবে অসুস্থ সন্তানের দেখাশোনা করেন।
আকিবের মা রাজিয়া বেগম বলেন, ‘বাবা আমি কী দিয়া পোলার চিকিৎসা করামু। টেকা পামু কনে। চার বছর আগে অর বাপ মইরা গেছে। অহন বড় পোলা দোকানে কাম করে। দিনে দুশ টেকা পায়। তাই দিয়া চলে পাঁচজনের সংসার। এক মেয়ার বয়স ২০। আরেকটা বাড়ির বোগলে (পাশে) মাদ্রাসায় পড়ে। ছোট পোলা বাপ মরার পর পাগল অইছে। আবোলতাবোল করে। রাগ উঠলে আমগরে খামছায়। আমি কাছে থাকলে বালাই থাকে। না থাকলেই অবস্থা খারাপ অইয়া যায়। আমি কামে গেলে বা দোকানে গেলে গাছে বাইন্দা থুইয়া যাওন ছাড়া আমার আর কিছুই করার নাই।’
রাজিয়া বেগম বলেন, ‘মাইনসে কয় জিনে আছর করছে। ভূতে ধরছে। কয়েক কবিরাজের কাছে গেলাম, কিছুই অয় না। ডাক্তারের কাছে যামু টেকা পামু কই? বুকে পাত্থর বাইন্দা থাকি। চোখের পানি অহন আর আহে না। ভাইয়ের বাড়িত থাকি। জানি না ভাইগ্যে কী আছে!’ বুকভরা কষ্ট নিয়ে একদমে কথাগুলো বলেন মধুপুর পৌরশহরের গোবুদিয়া গ্রামের স্বামীহারা রাজিয়া বেওয়া।
রাজিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘কমিশনারের কাছে ঘুইরাও প্রতিবন্ধী কার্ড পাই নাই। আমারে বিধবা ভাতা দিব কইছে। অহনতুরি খবর নাই। মাইনসে টেকা পাইলেও আমি পাই নাই।’
প্রতিবেশী শাহিন মিয়া বলেন, ‘চিকিৎসার অভাবে আকিব আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। যদি সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় তাহলে আকিব স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। এ জন্য প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা বা উদারমনা মানুষের সহযোগিতা।’
বিশাল বাঁশ বাগান। পাশেই বাঘিল বিল। সঙ্গে আকাশমনি গাছের বাগানে দুই গাছের সঙ্গে টানা দিয়ে বেঁধে রাখা এক কিশোর। তার মুখে ভুবন ভুলানো হাসি, কিন্তু নিঃশব্দ। কিশোরটি ছোট করে লাফাচ্ছে। মাঝে মধ্যে স্বাভাবিক কথাবার্তা বলছে। ছোট শিশুকে আদর করার জন্য কাছে ডাকছে। কখনো দুপায়ে ভর করে মাটিতে বসছে।
নির্ভয়ে দুই বছরের একটি শিশু ওর কাছে গিয়ে বসল। কী আনন্দ ওর চোখে মুখে! ঊরুর ওপর ভর করে বসলেও আদর করার উপায় নেই। কারণ দুই গাছের সঙ্গে দুই হাত বাঁধা। মুহূর্তেই মুখটা বিবর্ণ হয়ে গেল। অসহায়ত্বের ছাপ চোখে মুখে। মিনিটখানেক পরেই শিশুটি উঠে গেলে আবার দাঁড়িয়ে লাফাতে থাকে কিশোরটি। বলতে থাকে আসো আসো...।
পাশে মা-বোন প্রতিবেশী অপলক চোখে দেখছেন। কয়েক কদম এগিয়ে কিশোরটির মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করলেন মা রাজিয়া বেগম।
এমন করুণ দৃশ্য দেখা গেল টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরশহরের গোপীনাথপুর এলাকায়।
জানা যায়, ১৫ বছর বয়সী আকিবের বাবা মারা গেছেন প্রায় চার বছর আগে। বাবা হারানোর অল্পকদিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয় আকিব। আবোলতাবোল বকতে থাকে। প্রতিবেশীরা বলেন, আকিবের মা বাড়ির সঙ্গে উলুর টিকর (উইপোকার ঢিপি) ভেঙেছেন বলে ছেলেকে জিনে ধরেছে।
সবার কথা মতো কবিরাজের কাছে চিকিৎসা করানো হয়। কোনো ফল হয়নি। গ্রাম্য চিকিৎসকের চিকিৎসাও করানো হয়েছে। এরই মাঝে হার্টঅ্যাটাক করে মারা যান আকিবের বাবা রাজিব হোসেন। একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে আচমকা হারিয়ে মহাসমুদ্রে পড়ে পরিবারটি।
আয়ের পথ বন্ধ, ফলে বন্ধ হয়ে যায় আকিবের চিকিৎসাও। বাধ্য হয়ে রাজিয়া বেগম তাঁর বড় ভাই সোলায়মানের কাছে সন্তানসহ আশ্রয় নেন। সেখানেই এখন তাদের বসবাস। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে আকিব তৃতীয়। অর্থাভাবে স্কুলে যেতে পারেনি কখনো। ছোট মেয়ে আয়শা কিছুদিন ধরে মাদ্রাসায় যাচ্ছে।
আকিবের বড়ভাই আরিফের আয়ের ওপর নির্ভরশীল রাজিয়া বেগমের পরিবার। সে কাজ করে মধুপুর শহরের একটি দোকানে। প্রতিদিন দুশ টাকা মাইনে পায়। আকিবের মা তাই দিয়ে সংসার চালান আর মানসিকভাবে অসুস্থ সন্তানের দেখাশোনা করেন।
আকিবের মা রাজিয়া বেগম বলেন, ‘বাবা আমি কী দিয়া পোলার চিকিৎসা করামু। টেকা পামু কনে। চার বছর আগে অর বাপ মইরা গেছে। অহন বড় পোলা দোকানে কাম করে। দিনে দুশ টেকা পায়। তাই দিয়া চলে পাঁচজনের সংসার। এক মেয়ার বয়স ২০। আরেকটা বাড়ির বোগলে (পাশে) মাদ্রাসায় পড়ে। ছোট পোলা বাপ মরার পর পাগল অইছে। আবোলতাবোল করে। রাগ উঠলে আমগরে খামছায়। আমি কাছে থাকলে বালাই থাকে। না থাকলেই অবস্থা খারাপ অইয়া যায়। আমি কামে গেলে বা দোকানে গেলে গাছে বাইন্দা থুইয়া যাওন ছাড়া আমার আর কিছুই করার নাই।’
রাজিয়া বেগম বলেন, ‘মাইনসে কয় জিনে আছর করছে। ভূতে ধরছে। কয়েক কবিরাজের কাছে গেলাম, কিছুই অয় না। ডাক্তারের কাছে যামু টেকা পামু কই? বুকে পাত্থর বাইন্দা থাকি। চোখের পানি অহন আর আহে না। ভাইয়ের বাড়িত থাকি। জানি না ভাইগ্যে কী আছে!’ বুকভরা কষ্ট নিয়ে একদমে কথাগুলো বলেন মধুপুর পৌরশহরের গোবুদিয়া গ্রামের স্বামীহারা রাজিয়া বেওয়া।
রাজিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘কমিশনারের কাছে ঘুইরাও প্রতিবন্ধী কার্ড পাই নাই। আমারে বিধবা ভাতা দিব কইছে। অহনতুরি খবর নাই। মাইনসে টেকা পাইলেও আমি পাই নাই।’
প্রতিবেশী শাহিন মিয়া বলেন, ‘চিকিৎসার অভাবে আকিব আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। যদি সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় তাহলে আকিব স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। এ জন্য প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা বা উদারমনা মানুষের সহযোগিতা।’
রাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার জগতি রেলস্টেশনে আন্তনগর ট্রেন থামানো, স্টেশন আধুনিকায়নসহ ছয় দফা দাবিতে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের মিঠাপুকুরে জামাই-শ্বশুরের বিবাদ থামাতে গিয়ে সোহান আহমেদ (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাইকান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সোহান ওই গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেশেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন দিয়ে এরশাদুল হক নামে এক যুবকের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। আজ শুক্রবার দুপুরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও দুই দেশের পুলিশের উপস্থিতিতে ওই লাশ হস্তান্তর করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে