নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
ঢাকার সাভারে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে (১২) নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। চিকিৎসক বলছেন, শিশুর দুই পায়ে পচন ধরেছে এবং তার ফুসফুসসহ দেহের অন্য অঙ্গেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। এসব কারণে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এবং সে স্বাভাবিকভাবে মূত্র ত্যাগ করতে পারছে না।
আহত ঈশান সাভারের আমিনবাজার ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আফসার আলীর ছোট ছেলে। সে একই ইউনিয়নের পাঁচগাছিয়া জামিয়া মদীনাতুল উলুম মাদ্রাসার উর্দু বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
লেখাপড়ায় কিছুটা অমনোযোগী হওয়ায় তাকে এক বছর ধরে শিক্ষক মুফতি হোসাইন আহম্মদ দুই পায়ের হাঁটু ও হাঁটুর নিচে প্রতিদিন বেত দিয়ে আঘাত করতেন বলে ওই শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রতিনিয়ত বেত্রাঘাতের কারণে ঈশান হোসেনের দুই পায়ে পচন ধরেছে এবং এর জের ধরে তার ফুসফুসসহ দেহের অন্য অঙ্গে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে দাবি বড় বোন আফসানা আক্তার।
আফছানা আক্তার বলেন, ‘গত ৬ অক্টোবর আমার ভাই ঈশানের দুই পায়ের হাঁটুর নিচে হঠাৎ ফুলে ওঠে। ফুলে ওঠা স্থানের ব্যথা থেকে তার জ্বর হয়। প্রথমে স্থানীয়ভাবে তার চিকিৎসা করানো হয়। এতে কাজ না হয়ে বরং অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী ও ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দুই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তার দুই পায়ে অপারেশন করার পরামর্শ দেন এবং এ জন্য অনেক টাকা খরচ হবে বলে জানান। টাকার কথা চিন্তা করে আমরা প্রথমে ১২ অক্টোবর সকালে ঈশানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তা নিরসনে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
আফছানা আক্তার আরও বলেন, ‘ঢামেকে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে ওই দিন (১২ অক্টোবর) বিকেলে আমার ভাইকে রাজধানীর দারুসালাম এলাকার ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। ওই দিনই তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। আইসিইউতে ৫ দিন রাখার পর তার শ্বাসকষ্টের কিছুটা উন্নতি হলে তাকে বেডে দেওয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ২২ অক্টোবর তাকে আমরা এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করি। বর্তমানে ওই হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি রয়েছে। গত কয়েক দিনের চিকিৎসায় কিছুটা উন্নতি হলেও তার শ্বাসকষ্ট রয়েছে এবং সে স্বাভাবিক প্রস্রাব করতে পারছে না।’
ঈশান বলে, ‘হোম ওয়ার্ক না করলে এবং পড়া না পারলেই হোসাইন হুজুর আমাকে বেত দিয়ে পায়ে পেটাতেন। এভাবে প্রায় এক বছর ধরে প্রতিদিনই স্যার আমাকে পিটিয়েছেন। এ সময় তিনি আমাকে বলতেন, ‘‘তোর দাঁত উচা কেন, তুই কালো কেন’’? এসব কথা বাড়িতে বললে স্যার আমাকে পাঁচতলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিতেন। তাই ভয়ে বাড়িতে কিছু বলিনি।’
ঈশানের মা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘একজন শিক্ষক হয়ে কারণে-অকারণে আমার ছেলের ওপর যে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছেন তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানাবে। আমি ওই শিক্ষকসহ জড়িত সবার বিচার দাবি করছি।’
রোকেয়া বেগম আরও বলেন, ‘আমার স্বামী সামান্য একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। তার আয়ে আমাদের সংসার চালানোই কষ্টকর। এর মধ্যে ছেলের চিকিৎসার জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছি। মাদ্রাসা থেকে কিছু আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন আর তারা কোনো সহায়তা দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে।’
ঈশানকে মারধরের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কিনা জানতে চাইলে রোকেয়া বেগম বলেন, ‘আমরা চিন্তা ভাবনা করছি। ঈশান সুস্থ হলে তাকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুফতি হোসাইন আহম্মদ বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে সাধারণত বেত ব্যবহার করা হয় না। তবে পড়া না পারলে মাঝেমধ্যে বেত ব্যবহার করা হয়। সেই ক্ষেত্রে হাতের তালু ছড়া অন্য কোথাও আঘাত করা হয় না।’
মুফতি হোসাইন আহমদ বলেন, ‘গত ৬ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের একটি বিষয়ে লিখতে বলা হয়েছিল। ঈশানসহ কয়েকজন লিখতে পারেনি। এ জন্য তাদের দুই হাতের বাহুতে বেদ দিয়ে আঘাত করা হয়। কোনো শিক্ষার্থীর পায়ে আঘাত করা হয়নি। এরপরের দিন থেকেই ঈশান আর মাদ্রাসায় আসছে না। পরে জানতে পেরেছি সে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। হাতে আঘাতের কারণে কারও পায়ে পচন ধরতে পারে তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।’
মারধরের অভিযোগে তদন্ত কমিটি
মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব আব্দুর রহিম কাসেমী বলেন, ‘ঈশানের পরিবার থেকে শিক্ষক হোসাইন আহম্মেদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করার পর মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষাসচিব আব্দুল ওয়াহাব। তারা তদন্ত করে ঈশানের ওপর নির্যাতনের কোনো প্রমাণ পাননি।’
আব্দুর রহিম কাসেমী আরও বলেন, ‘আমি শুনেছি শ্রেণিকক্ষে না লেখার কারণে শিক্ষক হোসাইন আহমদ তার দুই বাহুতে বেত দিয়ে আঘাত করেছিলেন। এরপর দুপুরে মাদ্রাসা ছুটি হলে ঈশান সুস্থ অবস্থায় বাড়ি চলে যায়। বিকেলে আবার সে মাদ্রাসায় আসে। কিন্তু আসরের নামাজ না পড়েই দেয়াল টপকে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে যায়। সম্ভবত দেয়াল টপকে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে সে দুই পায়ে আঘাত পেয়েছিল। এ কারণে তার এ অবস্থা হতে পারে।’
আব্দুর রহিম কাসেমী আরও বলেন, ‘ঈশান অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মাদ্রাসার পক্ষ থেকে তার চিকিৎসায় যথাসাধ্য আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে। সব সময় তার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
চিকিৎসক যা বলছেন
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক মো. কাইয়ুম রিজভী বলেন, ‘ঈশানের দুই পায়ে পচন ধরেছে এবং তার ফুসফুসসহ দেহের অন্যান্য অঙ্গে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এসব কারণে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এবং সে স্বাভাবিকভাবে মূত্র ত্যাগ করতে পারছে না।’
চিকিৎসক কাইয়ুম রিজভী আরও বলেন, ‘ঈশানের দুই পায়ে অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু তার দুই পায়ের যে অবস্থা তাতে এই মুহূর্তে সেখানে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয়। অস্ত্রোপচার উপযোগী হলেই তার পায়ে অস্ত্রোপচার করা হবে।’
ঢাকার সাভারে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে (১২) নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। চিকিৎসক বলছেন, শিশুর দুই পায়ে পচন ধরেছে এবং তার ফুসফুসসহ দেহের অন্য অঙ্গেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। এসব কারণে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এবং সে স্বাভাবিকভাবে মূত্র ত্যাগ করতে পারছে না।
আহত ঈশান সাভারের আমিনবাজার ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আফসার আলীর ছোট ছেলে। সে একই ইউনিয়নের পাঁচগাছিয়া জামিয়া মদীনাতুল উলুম মাদ্রাসার উর্দু বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
লেখাপড়ায় কিছুটা অমনোযোগী হওয়ায় তাকে এক বছর ধরে শিক্ষক মুফতি হোসাইন আহম্মদ দুই পায়ের হাঁটু ও হাঁটুর নিচে প্রতিদিন বেত দিয়ে আঘাত করতেন বলে ওই শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রতিনিয়ত বেত্রাঘাতের কারণে ঈশান হোসেনের দুই পায়ে পচন ধরেছে এবং এর জের ধরে তার ফুসফুসসহ দেহের অন্য অঙ্গে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে দাবি বড় বোন আফসানা আক্তার।
আফছানা আক্তার বলেন, ‘গত ৬ অক্টোবর আমার ভাই ঈশানের দুই পায়ের হাঁটুর নিচে হঠাৎ ফুলে ওঠে। ফুলে ওঠা স্থানের ব্যথা থেকে তার জ্বর হয়। প্রথমে স্থানীয়ভাবে তার চিকিৎসা করানো হয়। এতে কাজ না হয়ে বরং অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী ও ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দুই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তার দুই পায়ে অপারেশন করার পরামর্শ দেন এবং এ জন্য অনেক টাকা খরচ হবে বলে জানান। টাকার কথা চিন্তা করে আমরা প্রথমে ১২ অক্টোবর সকালে ঈশানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তা নিরসনে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
আফছানা আক্তার আরও বলেন, ‘ঢামেকে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে ওই দিন (১২ অক্টোবর) বিকেলে আমার ভাইকে রাজধানীর দারুসালাম এলাকার ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। ওই দিনই তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। আইসিইউতে ৫ দিন রাখার পর তার শ্বাসকষ্টের কিছুটা উন্নতি হলে তাকে বেডে দেওয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ২২ অক্টোবর তাকে আমরা এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করি। বর্তমানে ওই হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি রয়েছে। গত কয়েক দিনের চিকিৎসায় কিছুটা উন্নতি হলেও তার শ্বাসকষ্ট রয়েছে এবং সে স্বাভাবিক প্রস্রাব করতে পারছে না।’
ঈশান বলে, ‘হোম ওয়ার্ক না করলে এবং পড়া না পারলেই হোসাইন হুজুর আমাকে বেত দিয়ে পায়ে পেটাতেন। এভাবে প্রায় এক বছর ধরে প্রতিদিনই স্যার আমাকে পিটিয়েছেন। এ সময় তিনি আমাকে বলতেন, ‘‘তোর দাঁত উচা কেন, তুই কালো কেন’’? এসব কথা বাড়িতে বললে স্যার আমাকে পাঁচতলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিতেন। তাই ভয়ে বাড়িতে কিছু বলিনি।’
ঈশানের মা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘একজন শিক্ষক হয়ে কারণে-অকারণে আমার ছেলের ওপর যে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছেন তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানাবে। আমি ওই শিক্ষকসহ জড়িত সবার বিচার দাবি করছি।’
রোকেয়া বেগম আরও বলেন, ‘আমার স্বামী সামান্য একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। তার আয়ে আমাদের সংসার চালানোই কষ্টকর। এর মধ্যে ছেলের চিকিৎসার জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছি। মাদ্রাসা থেকে কিছু আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন আর তারা কোনো সহায়তা দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে।’
ঈশানকে মারধরের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কিনা জানতে চাইলে রোকেয়া বেগম বলেন, ‘আমরা চিন্তা ভাবনা করছি। ঈশান সুস্থ হলে তাকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুফতি হোসাইন আহম্মদ বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে সাধারণত বেত ব্যবহার করা হয় না। তবে পড়া না পারলে মাঝেমধ্যে বেত ব্যবহার করা হয়। সেই ক্ষেত্রে হাতের তালু ছড়া অন্য কোথাও আঘাত করা হয় না।’
মুফতি হোসাইন আহমদ বলেন, ‘গত ৬ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের একটি বিষয়ে লিখতে বলা হয়েছিল। ঈশানসহ কয়েকজন লিখতে পারেনি। এ জন্য তাদের দুই হাতের বাহুতে বেদ দিয়ে আঘাত করা হয়। কোনো শিক্ষার্থীর পায়ে আঘাত করা হয়নি। এরপরের দিন থেকেই ঈশান আর মাদ্রাসায় আসছে না। পরে জানতে পেরেছি সে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। হাতে আঘাতের কারণে কারও পায়ে পচন ধরতে পারে তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।’
মারধরের অভিযোগে তদন্ত কমিটি
মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব আব্দুর রহিম কাসেমী বলেন, ‘ঈশানের পরিবার থেকে শিক্ষক হোসাইন আহম্মেদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করার পর মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষাসচিব আব্দুল ওয়াহাব। তারা তদন্ত করে ঈশানের ওপর নির্যাতনের কোনো প্রমাণ পাননি।’
আব্দুর রহিম কাসেমী আরও বলেন, ‘আমি শুনেছি শ্রেণিকক্ষে না লেখার কারণে শিক্ষক হোসাইন আহমদ তার দুই বাহুতে বেত দিয়ে আঘাত করেছিলেন। এরপর দুপুরে মাদ্রাসা ছুটি হলে ঈশান সুস্থ অবস্থায় বাড়ি চলে যায়। বিকেলে আবার সে মাদ্রাসায় আসে। কিন্তু আসরের নামাজ না পড়েই দেয়াল টপকে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে যায়। সম্ভবত দেয়াল টপকে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে সে দুই পায়ে আঘাত পেয়েছিল। এ কারণে তার এ অবস্থা হতে পারে।’
আব্দুর রহিম কাসেমী আরও বলেন, ‘ঈশান অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মাদ্রাসার পক্ষ থেকে তার চিকিৎসায় যথাসাধ্য আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে। সব সময় তার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
চিকিৎসক যা বলছেন
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক মো. কাইয়ুম রিজভী বলেন, ‘ঈশানের দুই পায়ে পচন ধরেছে এবং তার ফুসফুসসহ দেহের অন্যান্য অঙ্গে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এসব কারণে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এবং সে স্বাভাবিকভাবে মূত্র ত্যাগ করতে পারছে না।’
চিকিৎসক কাইয়ুম রিজভী আরও বলেন, ‘ঈশানের দুই পায়ে অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু তার দুই পায়ের যে অবস্থা তাতে এই মুহূর্তে সেখানে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয়। অস্ত্রোপচার উপযোগী হলেই তার পায়ে অস্ত্রোপচার করা হবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
৩৪ মিনিট আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেগোলাম মোস্তফা। বয়স ৩৫ বছর। পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন। গুলিতে তাঁর ডান হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়েছিল। গত ২৩ জুলাই ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাতে ১০ বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পেশায় নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা গুলিব
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগে