শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
একদিকে তীব্র ভ্যাপসা গরম, তার ওপর নিয়ম করে চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। এভাবে থেকে থেকে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বিশেষ করে রাতে লোডশেডিংয়ের ফলে অনেকটাই নির্ঘুম কাটাতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গরমের তীব্রতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষেরা। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে দুর্ভোগ হয় তীব্রতর। দিন-রাত মিলিয়ে টানা দেড় ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না। কিছুক্ষণ পরপরই লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে। স্থানীয় বিভিন্ন কল-কারখানায় ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। বিপণি বিতানগুলোও থাকছে ক্রেতাশূন্য।
এদিকে গরমের কারণে শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। ফসলের খেতে কাজ করা থেকে বিরত রয়েছেন শ্রমিকেরা। ঘরের বাইরে অতি প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে না অনেকে। রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে। সড়কে ইজিবাইক-ভ্যানের সংখ্যাও কম। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে দিনমজুরদের।
শিবচরের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব মো. ইকবাল বলেন, ‘রাতে ঘুম ভেঙেছে বারবার। বিদ্যুৎ এসে কিছুক্ষণ থেকেই চলে যায়। আর গরমে ঘুম ভেঙে যায়। এভাবে সারা রাত কেটেছে। শরীর ভীষণ অসুস্থ লাগছে। একদিকে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।’
হেমায়েত হোসেন নামের এক দিনমজুর বলেন, ‘খেতে কাজ করার জন্য কুষ্টিয়া থেকে শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় এসেছি। সকালে অল্প কিছু সময় খেতে ছিলাম। এরপর আর থাকা সম্ভব হয়নি। প্রচণ্ড গরম। তা ছাড়া পাটখেতে তাপ আরও বেশি। একটু বাতাসও নাই। কাজ ফেলে রেখে সেতুর নিচে আশ্রয় নিয়েছি।’
মো. আবুল কাশেম নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘খেতে-খামারে কাজ করার মতো অবস্থা নাই। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। চারপাশে কোনো বাতাসও নেই। পানি আর স্যালাইন খাচ্ছি। এ রকম গরমে মানুষ মারাও যেতে পারে।’
মো. সোহাগ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘একদিকে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। ফলে জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এক-দেড় ঘণ্টা পরপর বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। গত রাত ১০টা থেকে ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত চারবার বিদ্যুৎ গেছে। এভাবে রাতে ঘুমানো দায়। শিশুদের নিয়ে আরও বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে মাদারীপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি তাপপ্রবাহ থাকতে পারে আরও কয়েক দিন। এই সময়ে বৃষ্টির কোনো আভাস নেই। দিনের মতো রাতেও অপরিবর্তিত থাকবে তাপমাত্রা।
পল্লী বিদ্যুতের শিবচর উপজেলার ডিজিএম মো. মঞ্জুরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন প্রায় বন্ধের পথে। আমাদের শিবচরে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে পাচ্ছি মাত্র ৮ মেগাওয়াট। এই অবস্থায় লোডশেডিং দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নাই।’
তীব্র এই গরমে করণীয় জানাতে গিয়ে মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমেদ বলেন, গরমে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। বাচ্চাদের দিকে নজর রাখতে হবে। যেন রোদে ঘেমে না যায়। তা ছাড়া ছায়াযুক্ত স্থানে বেশি থাকতে হবে।
একদিকে তীব্র ভ্যাপসা গরম, তার ওপর নিয়ম করে চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। এভাবে থেকে থেকে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বিশেষ করে রাতে লোডশেডিংয়ের ফলে অনেকটাই নির্ঘুম কাটাতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গরমের তীব্রতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষেরা। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে দুর্ভোগ হয় তীব্রতর। দিন-রাত মিলিয়ে টানা দেড় ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না। কিছুক্ষণ পরপরই লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে। স্থানীয় বিভিন্ন কল-কারখানায় ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। বিপণি বিতানগুলোও থাকছে ক্রেতাশূন্য।
এদিকে গরমের কারণে শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। ফসলের খেতে কাজ করা থেকে বিরত রয়েছেন শ্রমিকেরা। ঘরের বাইরে অতি প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে না অনেকে। রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে। সড়কে ইজিবাইক-ভ্যানের সংখ্যাও কম। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে দিনমজুরদের।
শিবচরের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব মো. ইকবাল বলেন, ‘রাতে ঘুম ভেঙেছে বারবার। বিদ্যুৎ এসে কিছুক্ষণ থেকেই চলে যায়। আর গরমে ঘুম ভেঙে যায়। এভাবে সারা রাত কেটেছে। শরীর ভীষণ অসুস্থ লাগছে। একদিকে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।’
হেমায়েত হোসেন নামের এক দিনমজুর বলেন, ‘খেতে কাজ করার জন্য কুষ্টিয়া থেকে শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় এসেছি। সকালে অল্প কিছু সময় খেতে ছিলাম। এরপর আর থাকা সম্ভব হয়নি। প্রচণ্ড গরম। তা ছাড়া পাটখেতে তাপ আরও বেশি। একটু বাতাসও নাই। কাজ ফেলে রেখে সেতুর নিচে আশ্রয় নিয়েছি।’
মো. আবুল কাশেম নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘খেতে-খামারে কাজ করার মতো অবস্থা নাই। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। চারপাশে কোনো বাতাসও নেই। পানি আর স্যালাইন খাচ্ছি। এ রকম গরমে মানুষ মারাও যেতে পারে।’
মো. সোহাগ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘একদিকে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। ফলে জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এক-দেড় ঘণ্টা পরপর বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। গত রাত ১০টা থেকে ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত চারবার বিদ্যুৎ গেছে। এভাবে রাতে ঘুমানো দায়। শিশুদের নিয়ে আরও বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে মাদারীপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি তাপপ্রবাহ থাকতে পারে আরও কয়েক দিন। এই সময়ে বৃষ্টির কোনো আভাস নেই। দিনের মতো রাতেও অপরিবর্তিত থাকবে তাপমাত্রা।
পল্লী বিদ্যুতের শিবচর উপজেলার ডিজিএম মো. মঞ্জুরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন প্রায় বন্ধের পথে। আমাদের শিবচরে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে পাচ্ছি মাত্র ৮ মেগাওয়াট। এই অবস্থায় লোডশেডিং দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নাই।’
তীব্র এই গরমে করণীয় জানাতে গিয়ে মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমেদ বলেন, গরমে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। বাচ্চাদের দিকে নজর রাখতে হবে। যেন রোদে ঘেমে না যায়। তা ছাড়া ছায়াযুক্ত স্থানে বেশি থাকতে হবে।
বিশ্বের একমাত্র স্বীকৃত উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বিমানে স্থাপিত উড়ন্ত হাসপাতালটি চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিশেষায়িত হাসপাতালটি চক্ষুরোগসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে ১৮ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে অবস্থান করবে...
১৭ মিনিট আগে২০২৩ সালের ২২ আগস্ট সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক কাটাগাঙ্গের এ লোহার সেতু ভেঙে নদীতে ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ট্রাকচালক ওমর ফারুক ও চালকের সহকারী জাকির হোসেন কলিন্স নিহত হয়েছিলেন। এরপর সপ্তাহখানেক সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকার পর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি আবারও জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়...
২১ মিনিট আগেফেনীর পরশুরামে কলেজছাত্র এমরান হোসেন রিফাত হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেসিলেটে ২৮০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আকবর মিয়া (৪২) নামের এক ট্রাকচালককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে