নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জুলাইয়ে হওয়া সর্বোচ্চ তাণ্ডবের প্রভাব ছিল চলতি আগস্টের শুরু পর্যন্ত। এই সময়ে দেশের হাসপাতালগুলোতে ছিল করোনা রোগীদের হাহাকার। সাধারণ শয্যা থেকে শুরু করে একটি আইসিইউ পেতে স্বজনদের ঘুরতে হয়েছে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে।
সেই চিত্র অনেকটাই পাল্টেছে। হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫০ শতাংশে নেমেছে। একই সঙ্গে কমেছে শনাক্ত, আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার।
দেশের সবচেয়ে বড় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল রাজধানীর ডিএনসিসিতে আগস্টের প্রথম দিকে দৈনিক পাঁচ শর বেশি রোগী ভর্তি ছিল। তবে গত দুই সপ্তাহে তা আড়াই শতে নেমেছে। ওই সময়ে একটিও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) খালি না থাকলেও বর্তমানে ৪০টিরও বেশি নিয়মিত খালি থাকছে।
ডিএনসিসি হাসপাতালের পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখনকার রোগীদের মধ্যে আইসিইউ প্রয়োজন— এমন রোগীর সংখ্যা অনেক কমেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে এটি অবশ্যই ভালো খবর। সংক্রমণ কমতির এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সবার চেষ্টা করতে হবে।
৭ আগস্ট করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের জন্য চালু হয় শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব অস্থায়ী হাসপাতাল।
যেখানে প্রথম দিকে রোগীদের কিছুটা চাপ থাকলেও বর্তমানে তা কমে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো রোগীই আসেনি এই হাসপাতালে। বেলা ৩টা পর্যন্ত সাতজন সংকটাপন্ন রোগী আসে। এর মধ্যে দুজন মারা গেছে। চাপ কমায় শয্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা আপাতত নেই বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, এখানে এখন ৮৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৩৫ জন। তবে ২০টি আইসিইউর খালি নেই কোনোটি।
তবে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, রাজারবাগসহ রাজধানীর অধিকাংশ হাসপাতালেই করোনা শয্যার প্রায় অর্ধেকই খালি।
রোগীদের চাপ কমতে শুরু করেছে ঢাকার বাইরের বিভাগীয় হাসপাতালগুলোতেও। চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি মিলে মোট ৯৬২ শয্যার ৫৭৩টি বর্তমানে খালি। এ ছাড়া আইসিইউ ফাঁকা ৬৩টি। খুলনায় করোনা শয্যা খালি ১ হাজার ১৮৯টি, এ ছাড়া ৮৩টি আইসিইউর ২৪টি খালি। রাজশাহীতেও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে করোনা রোগীর হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা।
বর্তমানে এই বিভাগে করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দ দেড় হাজার শয্যার মধ্যে ১ হাজারের বেশি শয্যাই ফাঁকা রয়েছে। রোগীর চাপ কমায় ইতিমধ্যে বেশ কিছু করোনা শয্যা সাধারণ রোগীদের ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। ৫৮টি আইসিইউর মধ্যে খালি রয়েছে ২০টি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ আগস্ট দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে যেখানে শয্যা খালি ছিল মাত্র ৪ হাজার ৯৫২টি, সেখানে পরের সপ্তাহে শয্যা ফাঁকা হয় এর প্রায় দ্বিগুণ। এরপর গতকাল ২৬ আগস্ট এই সংখ্যা ছিল সাড়ে ১১ হাজার।
এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই কমেছে। ১ আগস্ট শনাক্তের হার প্রায় ৩০ শতাংশ হলেও বর্তমানে তা ১৫ শতাংশের নিচে নেমেছে, যা অর্ধেকের বেশি। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
তবে মাসের শুরুতে যে পরিমাণ নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা চলমান ছিল, সেটি কমে প্রায় ৪০ শতাংশে নেমেছে। ১ আগস্ট যেখানে ৪৯ হাজার ৫২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেখানে ২৬ আগস্টে ৩৪ হাজার ১৬৭টিতে নেমেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালে আসার মতো রোগীর সংখ্যা কমেছে, এটি কিছুটা স্বস্তির খবর। তবে খুব বেশি ইতিবাচক ভাববার সুযোগ নেই। এখনো দৈনিক ৫ হাজারের মতো রোগী শনাক্ত হচ্ছে, কিন্তু পরীক্ষা কম হচ্ছে। আমাদের প্রতিরোধব্যবস্থা এখনো প্রত্যাশিত মাত্রায় যেতে পারেনি।’
ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘আমাদের মানুষের মাঝে সচেতনতা নেই। পাশাপাশি এখনো টিকাদানে অনেক পিছিয়ে আমরা। তাই সামনে যদি সংক্রমণ আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয় তাহলে এই সংকটগুলো ভোগাবে।’
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জুলাইয়ে হওয়া সর্বোচ্চ তাণ্ডবের প্রভাব ছিল চলতি আগস্টের শুরু পর্যন্ত। এই সময়ে দেশের হাসপাতালগুলোতে ছিল করোনা রোগীদের হাহাকার। সাধারণ শয্যা থেকে শুরু করে একটি আইসিইউ পেতে স্বজনদের ঘুরতে হয়েছে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে।
সেই চিত্র অনেকটাই পাল্টেছে। হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫০ শতাংশে নেমেছে। একই সঙ্গে কমেছে শনাক্ত, আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার।
দেশের সবচেয়ে বড় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল রাজধানীর ডিএনসিসিতে আগস্টের প্রথম দিকে দৈনিক পাঁচ শর বেশি রোগী ভর্তি ছিল। তবে গত দুই সপ্তাহে তা আড়াই শতে নেমেছে। ওই সময়ে একটিও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) খালি না থাকলেও বর্তমানে ৪০টিরও বেশি নিয়মিত খালি থাকছে।
ডিএনসিসি হাসপাতালের পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখনকার রোগীদের মধ্যে আইসিইউ প্রয়োজন— এমন রোগীর সংখ্যা অনেক কমেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে এটি অবশ্যই ভালো খবর। সংক্রমণ কমতির এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সবার চেষ্টা করতে হবে।
৭ আগস্ট করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের জন্য চালু হয় শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব অস্থায়ী হাসপাতাল।
যেখানে প্রথম দিকে রোগীদের কিছুটা চাপ থাকলেও বর্তমানে তা কমে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো রোগীই আসেনি এই হাসপাতালে। বেলা ৩টা পর্যন্ত সাতজন সংকটাপন্ন রোগী আসে। এর মধ্যে দুজন মারা গেছে। চাপ কমায় শয্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা আপাতত নেই বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, এখানে এখন ৮৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৩৫ জন। তবে ২০টি আইসিইউর খালি নেই কোনোটি।
তবে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, রাজারবাগসহ রাজধানীর অধিকাংশ হাসপাতালেই করোনা শয্যার প্রায় অর্ধেকই খালি।
রোগীদের চাপ কমতে শুরু করেছে ঢাকার বাইরের বিভাগীয় হাসপাতালগুলোতেও। চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি মিলে মোট ৯৬২ শয্যার ৫৭৩টি বর্তমানে খালি। এ ছাড়া আইসিইউ ফাঁকা ৬৩টি। খুলনায় করোনা শয্যা খালি ১ হাজার ১৮৯টি, এ ছাড়া ৮৩টি আইসিইউর ২৪টি খালি। রাজশাহীতেও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে করোনা রোগীর হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা।
বর্তমানে এই বিভাগে করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দ দেড় হাজার শয্যার মধ্যে ১ হাজারের বেশি শয্যাই ফাঁকা রয়েছে। রোগীর চাপ কমায় ইতিমধ্যে বেশ কিছু করোনা শয্যা সাধারণ রোগীদের ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। ৫৮টি আইসিইউর মধ্যে খালি রয়েছে ২০টি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ আগস্ট দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে যেখানে শয্যা খালি ছিল মাত্র ৪ হাজার ৯৫২টি, সেখানে পরের সপ্তাহে শয্যা ফাঁকা হয় এর প্রায় দ্বিগুণ। এরপর গতকাল ২৬ আগস্ট এই সংখ্যা ছিল সাড়ে ১১ হাজার।
এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই কমেছে। ১ আগস্ট শনাক্তের হার প্রায় ৩০ শতাংশ হলেও বর্তমানে তা ১৫ শতাংশের নিচে নেমেছে, যা অর্ধেকের বেশি। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
তবে মাসের শুরুতে যে পরিমাণ নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা চলমান ছিল, সেটি কমে প্রায় ৪০ শতাংশে নেমেছে। ১ আগস্ট যেখানে ৪৯ হাজার ৫২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেখানে ২৬ আগস্টে ৩৪ হাজার ১৬৭টিতে নেমেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালে আসার মতো রোগীর সংখ্যা কমেছে, এটি কিছুটা স্বস্তির খবর। তবে খুব বেশি ইতিবাচক ভাববার সুযোগ নেই। এখনো দৈনিক ৫ হাজারের মতো রোগী শনাক্ত হচ্ছে, কিন্তু পরীক্ষা কম হচ্ছে। আমাদের প্রতিরোধব্যবস্থা এখনো প্রত্যাশিত মাত্রায় যেতে পারেনি।’
ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘আমাদের মানুষের মাঝে সচেতনতা নেই। পাশাপাশি এখনো টিকাদানে অনেক পিছিয়ে আমরা। তাই সামনে যদি সংক্রমণ আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয় তাহলে এই সংকটগুলো ভোগাবে।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৩ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৫ ঘণ্টা আগে