নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিরোধী মত ও সরকারের সমালোচনা দমন এবং বিরোধীদের হেনস্তা করতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হচ্ছে। এই আইনে ১৬ বছরের শিশু থেকে ৭৮ বছরের বৃদ্ধ পর্যন্ত মামলার শিকার হয়েছেন। আইনটি সংবিধানের ন্যূনতম চারটি ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটি মূলত শাসন নয়, শোষণের হাতিয়ার।
আজ শনিবার দুপুরে মানবাধিকার ও আইনের শাসন বিষয়ক প্ল্যাটফর্ম ‘নাগরিক’ আয়োজিত ‘কেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চাই?’—শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব কথা জানান বক্তারা। ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন নাগরিকের আহ্বায়ক ড. সি আর আবরার।
ওয়েবিনারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হেনস্তার শিকার ভুক্তভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘এই আইনে যে কেউ চাইলেই যে কাউকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানি করতে পারে।’ আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘এই আইনের ফলে সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে।’
আর্টিকেল নাইনটিনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মরিয়ম শেলি বলেন, ‘এই আইনে মামলার শিকার যারা তাঁদের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত ভয়াবহ। আইনটি নাগরিকদের জন্য কোনোভাবেই প্রয়োজন নেই।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, আইন ভঙ্গ করে যখন কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখন সেটা গুম। এই গুমের কোনো সরকারি কিংবা আইনি স্বীকৃতি নেই। তিনি বলেন, ‘এই ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের কোনো ধরনের আইনি নিরাপত্তা নেই। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় পুলিশ ছাড়া আর কারও হেফাজতে কাউকে রাখার কোনো আইন নেই। কিন্তু নানান সময়ে নানান জনকে নানান বাহিনীর হেফাজতে অতীতে পাওয়া গেছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ জানান, যারা মূল্যবান মতামত দিয়ে সমাজকে সমৃদ্ধ করেন তাঁদের টার্গেট এবং ক্ষমতাসীনদের রক্ষার জন্য এই আইনটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটা জনগণের জন্য কোনো নিরাপত্তার আইন না। এখানে অপরাধ গুরুত্বপূর্ণ না। সরকার অথবা সেই দলের যারা আটকে রাখতে চায় তাঁদের ইচ্ছাই গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যার ক্ষমতা যত বেশি তাঁর জবাবদিহি তত বেশি। তাই তাঁর সমালোচনাও সবচেয়ে বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করলে কটূক্তি হয়ে যায়।’
মানুষ যাতে চিন্তাশীল না হয়ে অনুগত প্রাণীতে পরিণত হয় সে কারণেই এই আইন করা হয়েছে জানিয়ে আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই। আগের আইনটি সংশোধন করেই এটি তৈরি করা হয়েছে। এটিকে সম্পূর্ণভাবে বাতিল করতে হবে।’
মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের আহ্বায়ক ড. সি আর আবরার বলেন, ‘যে অসৎ উদ্দেশ্যে এই আইন করা হয়েছে সেই উদ্দেশ্যেই এটি পরিচালিত হচ্ছে। এই আইন বাতিল করতে হবে। এমন কোনো আইন আবারও করা হলে নাগরিক সমাজ তা প্রত্যাখ্যান করবে। ডিজিটাল, স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছ। সামন্তবাদী নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার দিয়ে ডিজিটাল, স্মার্ট বাংলাদেশ করা যাবে না।’
বিরোধী মত ও সরকারের সমালোচনা দমন এবং বিরোধীদের হেনস্তা করতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হচ্ছে। এই আইনে ১৬ বছরের শিশু থেকে ৭৮ বছরের বৃদ্ধ পর্যন্ত মামলার শিকার হয়েছেন। আইনটি সংবিধানের ন্যূনতম চারটি ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটি মূলত শাসন নয়, শোষণের হাতিয়ার।
আজ শনিবার দুপুরে মানবাধিকার ও আইনের শাসন বিষয়ক প্ল্যাটফর্ম ‘নাগরিক’ আয়োজিত ‘কেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চাই?’—শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব কথা জানান বক্তারা। ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন নাগরিকের আহ্বায়ক ড. সি আর আবরার।
ওয়েবিনারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হেনস্তার শিকার ভুক্তভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘এই আইনে যে কেউ চাইলেই যে কাউকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানি করতে পারে।’ আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘এই আইনের ফলে সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে।’
আর্টিকেল নাইনটিনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মরিয়ম শেলি বলেন, ‘এই আইনে মামলার শিকার যারা তাঁদের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত ভয়াবহ। আইনটি নাগরিকদের জন্য কোনোভাবেই প্রয়োজন নেই।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, আইন ভঙ্গ করে যখন কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখন সেটা গুম। এই গুমের কোনো সরকারি কিংবা আইনি স্বীকৃতি নেই। তিনি বলেন, ‘এই ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের কোনো ধরনের আইনি নিরাপত্তা নেই। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় পুলিশ ছাড়া আর কারও হেফাজতে কাউকে রাখার কোনো আইন নেই। কিন্তু নানান সময়ে নানান জনকে নানান বাহিনীর হেফাজতে অতীতে পাওয়া গেছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ জানান, যারা মূল্যবান মতামত দিয়ে সমাজকে সমৃদ্ধ করেন তাঁদের টার্গেট এবং ক্ষমতাসীনদের রক্ষার জন্য এই আইনটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটা জনগণের জন্য কোনো নিরাপত্তার আইন না। এখানে অপরাধ গুরুত্বপূর্ণ না। সরকার অথবা সেই দলের যারা আটকে রাখতে চায় তাঁদের ইচ্ছাই গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যার ক্ষমতা যত বেশি তাঁর জবাবদিহি তত বেশি। তাই তাঁর সমালোচনাও সবচেয়ে বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করলে কটূক্তি হয়ে যায়।’
মানুষ যাতে চিন্তাশীল না হয়ে অনুগত প্রাণীতে পরিণত হয় সে কারণেই এই আইন করা হয়েছে জানিয়ে আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই। আগের আইনটি সংশোধন করেই এটি তৈরি করা হয়েছে। এটিকে সম্পূর্ণভাবে বাতিল করতে হবে।’
মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের আহ্বায়ক ড. সি আর আবরার বলেন, ‘যে অসৎ উদ্দেশ্যে এই আইন করা হয়েছে সেই উদ্দেশ্যেই এটি পরিচালিত হচ্ছে। এই আইন বাতিল করতে হবে। এমন কোনো আইন আবারও করা হলে নাগরিক সমাজ তা প্রত্যাখ্যান করবে। ডিজিটাল, স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছ। সামন্তবাদী নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার দিয়ে ডিজিটাল, স্মার্ট বাংলাদেশ করা যাবে না।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৩ ঘণ্টা আগে