প্রকল্প পরিচালককে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিলেন জবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

জবি প্রতিনিধি 
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩: ৫৪
জবি দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রকল্প পরিচালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রকল্প পরিচালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম ও আগামীকালের কর্মসূচি ঘোষণা করে প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর আগে আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।

আন্দোলনের সংগঠক এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন করব, প্রয়োজনে যদি অনশন করতে হয় তাও করব। আগে আমাদের বাঁচতে দেন, তারপর পড়াশোনা করব। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের দাবিতে আমরা দল-মতনির্বিশেষে একসঙ্গে থাকব।’

আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সব শিক্ষার্থীর তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে। প্রজেক্ট ডিরেক্টর সৈয়দ আলী আহমেদকে পদত্যাগ করতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হলো। উনি যদি আমাদের আল্টিমেটাম মেনে না নেয়, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থীরা এর দায়ভার নেবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা পিছু হটব না, যদি প্রয়োজন হয় জুলাই আন্দোলনের মতো আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে প্রস্তুত।’

আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে সোহান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মাঝে তিন দফার সচেতনতার লক্ষ্যে আগামীকাল প্রতি বিভাগের ক্লাসে ক্লাসে জনসংযোগ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে তিন দফার পক্ষে একাত্মতা প্রকাশের আহ্বান রইল।’

শিক্ষার্থীদের তিন দফা হলো—স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে; শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল) ; অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরোনো ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত