নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। পরে সমিতির সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক সরকার সমর্থকদের নিয়ে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। কয়েকজন মন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, তাদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র ছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়নি। গণমাধ্যমে এসেছে, কয়েকশ আন্দোলনকারী নিহত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এলোপাতাড়ি গুলিতে বাসার বারান্দা এবং ছাদে থাকা বাচ্চারাও নিহত হয়। অনেকের লাশ গুম করা হয়েছে। সরকার মৃতের সংখ্যা নিয়ে এখনো লুকোচুরি করছে। কতজনের চোখ নষ্ট হয়েছে, কতজন পঙ্গুত্ব বরণ করেছে তারও সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন আরও বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্তে যে চাইনিজ রাইফেল ও শটগানের গুলি পাওয়া গেছে তা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবহার করে। এসব গণহত্যা ও গুলি করার নির্দেশদাতা মন্ত্রী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ জড়িত সবার বিচার দাবি করেন তিনি। তিনি উল্লেখ করেন, কয়েক লাখ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে। প্রায় ১৩ হাজার ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ, মিথ্যা মামলায় জড়ানো ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ বিনা খরচে আইনগত সহায়তা দেওয়ার জন্য সারা দেশের আইনজীবীদের অনুরোধ করেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়ককে ডিবি অফিসে আটকে রাখাকে বেআইনি উল্লেখ করে তাঁদের মুক্তি দাবি করেন বারের সভাপতি।
বিচারপতি আবদুল মতিন ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামালের নেতৃত্বে গঠিত গণতদন্ত কমিশনকে সমর্থন জানিয়ে এই কমিশনকে সহযোগিতা করার জন্য সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া দ্রুত কারফিউ প্রত্যাহার ও সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবিসহ সব বিশেষ বাহিনী প্রত্যাহার, গণমাধ্যমের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধ, গ্রেপ্তারকৃত বিরোধী দলের নেতা–কর্মী ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের মুক্তি, অবিলম্বে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানান ব্যারিস্টার খোকন।
এদিকে বারের সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক স্বেচ্ছায় বলেছে, তাদের নিরাপত্তা দরকার। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের আইন মেনে সেখানে রাখা হয়েছে। তারা রায় মেনে নিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে। তবে আন্দোলনটি জিইয়ে রাখার জন্য বিএনপি, জামায়াত–শিবির তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে এখানে সংবাদ সম্মেলন করছে, দলীয় অফিসে করছে, সুপ্রিম কোর্টে মামলা নিয়ে এসেছে আবার গণ তদন্ত কমিশনও করেছে।’
হতাহত ও মামলার বিষয়ে বারের সম্পাদক বলেন, সহিংসতার সবগুলোর ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত হচ্ছে। যে হত্যাকাণ্ডগুলো বিতর্কিত সেগুলোর জন্য একজন বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন হয়েছে। আইনমন্ত্রী বলেছেন, প্রয়োজনে কমিশনের পরিধি বাড়বে।
জামায়াত–শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের পর বিএনপি যে যড়যন্ত্রে নেমেছে তা বন্ধ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সব নিহতের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত চান কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বারের সম্পাদক বলেন, ‘সিআরপিসির অধীনে যে তদন্ত হচ্ছে সেটা চাই। এই বিষয়ে আমাদের আর কোনো বক্তব্য নেই।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। পরে সমিতির সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক সরকার সমর্থকদের নিয়ে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। কয়েকজন মন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, তাদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র ছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়নি। গণমাধ্যমে এসেছে, কয়েকশ আন্দোলনকারী নিহত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এলোপাতাড়ি গুলিতে বাসার বারান্দা এবং ছাদে থাকা বাচ্চারাও নিহত হয়। অনেকের লাশ গুম করা হয়েছে। সরকার মৃতের সংখ্যা নিয়ে এখনো লুকোচুরি করছে। কতজনের চোখ নষ্ট হয়েছে, কতজন পঙ্গুত্ব বরণ করেছে তারও সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন আরও বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্তে যে চাইনিজ রাইফেল ও শটগানের গুলি পাওয়া গেছে তা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবহার করে। এসব গণহত্যা ও গুলি করার নির্দেশদাতা মন্ত্রী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ জড়িত সবার বিচার দাবি করেন তিনি। তিনি উল্লেখ করেন, কয়েক লাখ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে। প্রায় ১৩ হাজার ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ, মিথ্যা মামলায় জড়ানো ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ বিনা খরচে আইনগত সহায়তা দেওয়ার জন্য সারা দেশের আইনজীবীদের অনুরোধ করেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়ককে ডিবি অফিসে আটকে রাখাকে বেআইনি উল্লেখ করে তাঁদের মুক্তি দাবি করেন বারের সভাপতি।
বিচারপতি আবদুল মতিন ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামালের নেতৃত্বে গঠিত গণতদন্ত কমিশনকে সমর্থন জানিয়ে এই কমিশনকে সহযোগিতা করার জন্য সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া দ্রুত কারফিউ প্রত্যাহার ও সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবিসহ সব বিশেষ বাহিনী প্রত্যাহার, গণমাধ্যমের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধ, গ্রেপ্তারকৃত বিরোধী দলের নেতা–কর্মী ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের মুক্তি, অবিলম্বে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানান ব্যারিস্টার খোকন।
এদিকে বারের সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক স্বেচ্ছায় বলেছে, তাদের নিরাপত্তা দরকার। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের আইন মেনে সেখানে রাখা হয়েছে। তারা রায় মেনে নিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে। তবে আন্দোলনটি জিইয়ে রাখার জন্য বিএনপি, জামায়াত–শিবির তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে এখানে সংবাদ সম্মেলন করছে, দলীয় অফিসে করছে, সুপ্রিম কোর্টে মামলা নিয়ে এসেছে আবার গণ তদন্ত কমিশনও করেছে।’
হতাহত ও মামলার বিষয়ে বারের সম্পাদক বলেন, সহিংসতার সবগুলোর ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত হচ্ছে। যে হত্যাকাণ্ডগুলো বিতর্কিত সেগুলোর জন্য একজন বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন হয়েছে। আইনমন্ত্রী বলেছেন, প্রয়োজনে কমিশনের পরিধি বাড়বে।
জামায়াত–শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের পর বিএনপি যে যড়যন্ত্রে নেমেছে তা বন্ধ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সব নিহতের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত চান কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বারের সম্পাদক বলেন, ‘সিআরপিসির অধীনে যে তদন্ত হচ্ছে সেটা চাই। এই বিষয়ে আমাদের আর কোনো বক্তব্য নেই।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৪ ঘণ্টা আগে