প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ : আগামী এক জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে কঠোর লকডাউন। এর আগে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। গতকাল মঙ্গলবার সারা দিনই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখী মানুষ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে পারাপার করছে।
ওই দিন সকাল থেকে ঘাট এলাকায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় অব্যাহত থাকলেও ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী যানবাহনের সংখ্যায় ছিল বেশি। সকাল সাতটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী মিলিয়ে প্রায় সাত শতাধিক যানবাহনকে।
ঘাট পারাপারে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা জানান, চলমান লকডাউন এর কারণে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেকেই। তাই রাজধানীতে থাকার কোনো সুযোগ না থাকায় করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি মাথায় নিয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই গ্রামের পথে ছুটতে হচ্ছে তাঁদের। তবে পথে পথে স্বাভাবিক সময়ের থেকে বেশি গুনতে হয়েছে বাড়তি ভাড়া আর দীর্ঘ পথ পায়ে হাঁটা সহ ঘাট পর্যন্ত পৌঁছাতে পোহাতে হয়েছে নানা বিড়ম্বনা।
বরিশালের মুলাদি থানার গ্রামের বাড়িতে ফেরা ঢাকা সদরঘাট এলাকার এক ফল ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিন জানান, চলমান লকডাউন এর কারণে লঞ্চ সহ সকল প্রকার নৌ-যান চলাচল বন্ধ থাকায় বিকল্প পথ হিসেবে এই নৌ-পথে ফেরি পাড় হয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে তাঁকে। তবে তাঁর অভিযোগ সরকার পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে, স্বল্প টাকায় নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারতেন তিনি। ফলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরিতেই গাদাগাদি করে সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করেই করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি উপেক্ষা করে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাঁকে। তাই এমন পরিস্থিতির কারণে তিনিসহ তার পরিবারও সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে বলে মনে করছেন মোসলেম উদ্দিন।
শুধু মোসলেম উদ্দিনই নন তাঁর মতো, বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান চাকরিজীবী নয়ন কাজী, পোশাক ব্যবসায়ী আরিফ মিয়া, মিন্টু প্রধান, ও রাজধানীর স্টেডিয়াম মার্কেট এর ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ী অনিক হালদার, পাপ্পু মিঝি, রতন সরকার সহ আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় সিএনজি অটোরিকশা সহ পিকআপ ভ্যানে গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই তাঁদেরকে বাড়তি ভাড়া গুনে ঘাট পর্যন্ত আসতে হয়েছে। এতে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি আরও কয়েকগুণ বাড়ছে বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন খোলা রাখলে হয়তো করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কারণে সরকারের দেওয়া লকডাউন এর সার্থকতা আসত বলেও মনে করছেন ঘাটে আসা যাত্রীরা। এতে করে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি আরও বেশ কয়েকগুণ কমে আসত বলেও মনে করছেন তাঁরা।
শিমুলিয়া ঘাটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ আজকের পত্রিকা কে জানান, লকডাউনকে কেন্দ্র করে ঘাটে মানুষ আসছে নানা উপায়ে সেই ভিড় মঙ্গলবারও অব্যাহত ছিল। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে মোট ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে। যাত্রীর চাপে ঘাট এলাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে প্রায় ৫ শতাধিক পণ্য ও ব্যক্তিগত যানবাহন কে, সিরিয়াল অনুযায়ী সব গাড়ি পাড় করা হবে। তবে যাত্রী পারাপারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা এখনো আসেনি। তাই যারা ঘাটে আসছে তারা সবাই কিছুটা আগে কিংবা পরে পাড় হতে পারছে।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন আজকের পত্রিকা কে বলেন, ঘাট এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি আর সামাজিক দূরত্ব মানাতে পুলিশের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিমুলিয়া ঘাট এলাকা সহ ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোর মোড়ে ও ঘাটের প্রবেশমুখে পুলিশের একাধিক চেকপোস্ট রয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর এলাকায়ও চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ও ডাক্তারি কাগজপত্র ছাড়া যাত্রীদের ঘাটে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে যাত্রীর চাপ বৃদ্ধি পেলে স্বাস্থ্যবিধি মানা সহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। তবুও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
মুন্সিগঞ্জ : আগামী এক জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে কঠোর লকডাউন। এর আগে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। গতকাল মঙ্গলবার সারা দিনই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখী মানুষ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে পারাপার করছে।
ওই দিন সকাল থেকে ঘাট এলাকায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় অব্যাহত থাকলেও ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী যানবাহনের সংখ্যায় ছিল বেশি। সকাল সাতটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী মিলিয়ে প্রায় সাত শতাধিক যানবাহনকে।
ঘাট পারাপারে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা জানান, চলমান লকডাউন এর কারণে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেকেই। তাই রাজধানীতে থাকার কোনো সুযোগ না থাকায় করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি মাথায় নিয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই গ্রামের পথে ছুটতে হচ্ছে তাঁদের। তবে পথে পথে স্বাভাবিক সময়ের থেকে বেশি গুনতে হয়েছে বাড়তি ভাড়া আর দীর্ঘ পথ পায়ে হাঁটা সহ ঘাট পর্যন্ত পৌঁছাতে পোহাতে হয়েছে নানা বিড়ম্বনা।
বরিশালের মুলাদি থানার গ্রামের বাড়িতে ফেরা ঢাকা সদরঘাট এলাকার এক ফল ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিন জানান, চলমান লকডাউন এর কারণে লঞ্চ সহ সকল প্রকার নৌ-যান চলাচল বন্ধ থাকায় বিকল্প পথ হিসেবে এই নৌ-পথে ফেরি পাড় হয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে তাঁকে। তবে তাঁর অভিযোগ সরকার পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে, স্বল্প টাকায় নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারতেন তিনি। ফলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরিতেই গাদাগাদি করে সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করেই করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি উপেক্ষা করে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাঁকে। তাই এমন পরিস্থিতির কারণে তিনিসহ তার পরিবারও সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে বলে মনে করছেন মোসলেম উদ্দিন।
শুধু মোসলেম উদ্দিনই নন তাঁর মতো, বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান চাকরিজীবী নয়ন কাজী, পোশাক ব্যবসায়ী আরিফ মিয়া, মিন্টু প্রধান, ও রাজধানীর স্টেডিয়াম মার্কেট এর ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ী অনিক হালদার, পাপ্পু মিঝি, রতন সরকার সহ আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় সিএনজি অটোরিকশা সহ পিকআপ ভ্যানে গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই তাঁদেরকে বাড়তি ভাড়া গুনে ঘাট পর্যন্ত আসতে হয়েছে। এতে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি আরও কয়েকগুণ বাড়ছে বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন খোলা রাখলে হয়তো করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কারণে সরকারের দেওয়া লকডাউন এর সার্থকতা আসত বলেও মনে করছেন ঘাটে আসা যাত্রীরা। এতে করে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি আরও বেশ কয়েকগুণ কমে আসত বলেও মনে করছেন তাঁরা।
শিমুলিয়া ঘাটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ আজকের পত্রিকা কে জানান, লকডাউনকে কেন্দ্র করে ঘাটে মানুষ আসছে নানা উপায়ে সেই ভিড় মঙ্গলবারও অব্যাহত ছিল। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে মোট ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে। যাত্রীর চাপে ঘাট এলাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে প্রায় ৫ শতাধিক পণ্য ও ব্যক্তিগত যানবাহন কে, সিরিয়াল অনুযায়ী সব গাড়ি পাড় করা হবে। তবে যাত্রী পারাপারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা এখনো আসেনি। তাই যারা ঘাটে আসছে তারা সবাই কিছুটা আগে কিংবা পরে পাড় হতে পারছে।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন আজকের পত্রিকা কে বলেন, ঘাট এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি আর সামাজিক দূরত্ব মানাতে পুলিশের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিমুলিয়া ঘাট এলাকা সহ ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোর মোড়ে ও ঘাটের প্রবেশমুখে পুলিশের একাধিক চেকপোস্ট রয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর এলাকায়ও চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ও ডাক্তারি কাগজপত্র ছাড়া যাত্রীদের ঘাটে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে যাত্রীর চাপ বৃদ্ধি পেলে স্বাস্থ্যবিধি মানা সহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। তবুও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৫ মিনিট আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার জগতি রেলস্টেশনে আন্তনগর ট্রেন থামানো, স্টেশন আধুনিকায়নসহ ছয় দফা দাবিতে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের মিঠাপুকুরে জামাই-শ্বশুরের বিবাদ থামাতে গিয়ে সোহান আহমেদ (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাইকান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সোহান ওই গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে