প্রতিনিধি, মধুপুর (টাঙ্গাইল)
নয়নপুর গ্রামে নিজ হাতে গড়া বাড়িতে শৈলেন নকরেক যুগ যুগ ধরে বসবাস করছেন। একসময় এই জমি দাবি করেছে বন বিভাগ। এখন দাবি করে রাবারবাগান সৃজনকারী বনশিল্প উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। জমি ছেড়ে না দেওয়ায় কারা বরণও করতে হয়েছে দীনেশকে। বনবাসী গারো সম্প্রদায়ের বেশির ভাগ পরিবার এখন জমি হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন।
মধুপুরের বনাঞ্চল একসময় পন্নী জমিদারদের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে শালবন বেষ্টিত এই অঞ্চল নাটোরের মহারাজার অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৫০ সালে এই বনটির দায়িত্ব পায় বন বিভাগ। এই বনেই শত শত বছর ধরে প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে টিকে আছেন গারো সম্প্রদায়ের লোকজন।
বেসরকারি সংগঠন সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের (সেড) জরিপে দেখা গেছে, মধুপুরের পাঁচটি ইউনিয়নের ৪৪টি গ্রামে গারোদের বসবাস। সরকারি শুমারি অনুযায়ী এই সম্প্রদায়ের লোকজনের সংখ্যা ১৩ হাজার ৭০০। সম্প্রতি সেডের জরিপ অনুযায়ী গারো জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১৭ হাজারের ওপরে।
গারো সম্প্রদায়ের লোকজন তাঁদের নিজস্ব ভাষায় মান্দি বলতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। মান্দি অর্থ হলো মানুষ। তাঁরা বনকে তাঁদের ভাষায় বলে থাকে ‘আবিমা’। যার অর্থ উর্বর মাটি। এই উর্বর মাটিতে জীব– যৌবন পাড়ি দিয়ে বার্ধক্যে পৌঁছা গারো সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু দীনেশ নকরেকসহ সবাই এখন উচ্ছেদ আতঙ্কে দিন কাটান।
গারো সম্প্রদায়ের নেতারা জানান, ১৯৬৮ সালে শোলাকুড়ি ইউনিয়নের চুনিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের প্রথম উচ্ছেদ নোটিশ দেয় বন বিভাগ। ১৯৬৯ সালে দ্বিতীয় দফায় উচ্ছেদ নোটিশের পর থেকেই বন বিভাগ ও গারোদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ১৯৭৩ সালে তৎকালীন বনমন্ত্রী আব্দুর রব এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিলেও বেশি দূর এগোতে পারেননি।
১৯৭৮ সালে তৃতীয় দফায় উচ্ছেদ নোটিশ পাঠায় বন বিভাগ। ১৯৮২ সালে আতিয়া বন অধ্যাদেশ জারি হলে তাঁরা সম্পূর্ণভাবে ভূমির মালিকানা স্বত্ব হারান। ওই অধ্যাদেশের কারণে আরওআর বা সিএস থাকার পরও ওই এলাকার খাজনা নেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
সম্প্রতি সেডের জরিপে দেখা গেছে, বনাঞ্চলে এখন ৬৫ শতাংশ বাঙালি আর ৩৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বসবাস করেন। এর মধ্যে গারো, কোচ, বর্মণও রয়েছে। এখানের ৯৬ শতাংশ গারোরই জমির দলিল নেই। মাত্র ৪ শতাংশের জমির আরওআর বা সিএস রয়েছে।
অপরদিকে ১৩ শতাংশ বাঙালি পরিবারের আরওআর বা সিএস রয়েছে। ফলে বনবাসীরা উচ্ছেদ আতঙ্কেই দিন কাটাচ্ছেন। সম্প্রতি বন বিভাগের আরেক প্রকল্পে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কবরস্থান অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তাঁদের ক্ষুব্ধতা আরও বেড়েছে।
জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক বলেন, ‘সরকারি নানা প্রকল্পের কারণে আজ আমরা উচ্ছেদ আতঙ্কে ভুগছি। ১৯৮২ সাল থেকে জমির খাজনা নেওয়া বন্ধ। এই অবস্থায় নিজের ভূমিতেই আমরা পরবাসী। আমরা চাই আমাদের জমির মালিকানা।’
ইউজিন নকরেক আরও বলেন, ‘আমাদের অস্তিত্বের আন্দোলনে বিভিন্ন সময়ে সাতজন গারো যুবক নিহতও হয়েছেন। তারপরও এই সমস্যা সমাধানের কোনো পদক্ষেপ নেই। প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি দিলে হয়তো বিষয়টির সমাধান হবে।’
নয়নপুর গ্রামে নিজ হাতে গড়া বাড়িতে শৈলেন নকরেক যুগ যুগ ধরে বসবাস করছেন। একসময় এই জমি দাবি করেছে বন বিভাগ। এখন দাবি করে রাবারবাগান সৃজনকারী বনশিল্প উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। জমি ছেড়ে না দেওয়ায় কারা বরণও করতে হয়েছে দীনেশকে। বনবাসী গারো সম্প্রদায়ের বেশির ভাগ পরিবার এখন জমি হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন।
মধুপুরের বনাঞ্চল একসময় পন্নী জমিদারদের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে শালবন বেষ্টিত এই অঞ্চল নাটোরের মহারাজার অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৫০ সালে এই বনটির দায়িত্ব পায় বন বিভাগ। এই বনেই শত শত বছর ধরে প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে টিকে আছেন গারো সম্প্রদায়ের লোকজন।
বেসরকারি সংগঠন সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের (সেড) জরিপে দেখা গেছে, মধুপুরের পাঁচটি ইউনিয়নের ৪৪টি গ্রামে গারোদের বসবাস। সরকারি শুমারি অনুযায়ী এই সম্প্রদায়ের লোকজনের সংখ্যা ১৩ হাজার ৭০০। সম্প্রতি সেডের জরিপ অনুযায়ী গারো জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১৭ হাজারের ওপরে।
গারো সম্প্রদায়ের লোকজন তাঁদের নিজস্ব ভাষায় মান্দি বলতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। মান্দি অর্থ হলো মানুষ। তাঁরা বনকে তাঁদের ভাষায় বলে থাকে ‘আবিমা’। যার অর্থ উর্বর মাটি। এই উর্বর মাটিতে জীব– যৌবন পাড়ি দিয়ে বার্ধক্যে পৌঁছা গারো সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু দীনেশ নকরেকসহ সবাই এখন উচ্ছেদ আতঙ্কে দিন কাটান।
গারো সম্প্রদায়ের নেতারা জানান, ১৯৬৮ সালে শোলাকুড়ি ইউনিয়নের চুনিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের প্রথম উচ্ছেদ নোটিশ দেয় বন বিভাগ। ১৯৬৯ সালে দ্বিতীয় দফায় উচ্ছেদ নোটিশের পর থেকেই বন বিভাগ ও গারোদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ১৯৭৩ সালে তৎকালীন বনমন্ত্রী আব্দুর রব এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিলেও বেশি দূর এগোতে পারেননি।
১৯৭৮ সালে তৃতীয় দফায় উচ্ছেদ নোটিশ পাঠায় বন বিভাগ। ১৯৮২ সালে আতিয়া বন অধ্যাদেশ জারি হলে তাঁরা সম্পূর্ণভাবে ভূমির মালিকানা স্বত্ব হারান। ওই অধ্যাদেশের কারণে আরওআর বা সিএস থাকার পরও ওই এলাকার খাজনা নেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
সম্প্রতি সেডের জরিপে দেখা গেছে, বনাঞ্চলে এখন ৬৫ শতাংশ বাঙালি আর ৩৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বসবাস করেন। এর মধ্যে গারো, কোচ, বর্মণও রয়েছে। এখানের ৯৬ শতাংশ গারোরই জমির দলিল নেই। মাত্র ৪ শতাংশের জমির আরওআর বা সিএস রয়েছে।
অপরদিকে ১৩ শতাংশ বাঙালি পরিবারের আরওআর বা সিএস রয়েছে। ফলে বনবাসীরা উচ্ছেদ আতঙ্কেই দিন কাটাচ্ছেন। সম্প্রতি বন বিভাগের আরেক প্রকল্পে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কবরস্থান অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তাঁদের ক্ষুব্ধতা আরও বেড়েছে।
জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক বলেন, ‘সরকারি নানা প্রকল্পের কারণে আজ আমরা উচ্ছেদ আতঙ্কে ভুগছি। ১৯৮২ সাল থেকে জমির খাজনা নেওয়া বন্ধ। এই অবস্থায় নিজের ভূমিতেই আমরা পরবাসী। আমরা চাই আমাদের জমির মালিকানা।’
ইউজিন নকরেক আরও বলেন, ‘আমাদের অস্তিত্বের আন্দোলনে বিভিন্ন সময়ে সাতজন গারো যুবক নিহতও হয়েছেন। তারপরও এই সমস্যা সমাধানের কোনো পদক্ষেপ নেই। প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি দিলে হয়তো বিষয়টির সমাধান হবে।’
পাবনায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মৎস্যজীবী দলের সাবেক নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন। আজ শনিবার সকালে সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের বেতেপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগেবরিশালের গৌরনদী উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাহিলাড়া-নলচিড়া সড়কের কেফায়েত নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা বাজারে মহাসড়কের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ দুই শতাধিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান চালায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগ...
২৫ মিনিট আগেরংপুরের কাউনিয়ায় মহাসড়কে পড়ে ছিল অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের (৪০) ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন লাশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মীরবাগ বিজলের ঘুণ্টি এলাকায় রংপুর-কুড়িগ্ৰাম মহাসড়ক থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
১ ঘণ্টা আগে