নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে এক শ্রেণির ধর্ম ব্যবসায়ী সভা-সমাবেশ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহমদিয়াবিরোধী বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। প্রকাশ্যে আহমদিয়াদের হত্যার কথা বলছেন। দেশকে সাম্প্রদায়িক ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতেই আহমদিয়াবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলা হচ্ছে বলে মনে করেন আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বকশীবাজারে আহমদিয়া মুসলিম জামা’ত বাংলাদেশের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা বলেন, একদল উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ২ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত পঞ্চগড়ের কয়েকটি গ্রামে আহমদিয়াদের ১৮৬টি বাড়িঘর এবং ৩০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আক্রমণ, লুট, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। এতে ১১ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও প্রতিহিংসা সৃষ্টিকারী এবং হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন তাঁরা।
আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের বহিঃসম্পর্ক, গণসংযোগ, প্রেস ও মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক আহমদ তবশির চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আহমদিয়াবিরোধী আন্দোলন মূলত বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র। ১৯৭১ সালে মৌলবাদী রাষ্ট্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং অসাম্প্রদায়িকতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। আহমদিয়া মুসলিম জামাতের সদস্যরাও দেশের জনসাধারণের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, অনেকে শহীদ হয়েছেন। কিন্তু আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনাকে মুছে ফেলে প্রিয় মাতৃভূমিকে পুনরায় পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে দেশি ও বিদেশি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত রয়েছে। দেশের ক্রান্তিকাল যখন উপস্থিত হয়, তখনই তারা আহমদিয়া ইস্যু এনে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অতীতেও একাধিকবার আহমদিয়াদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ঘটনারই বিচার হয়নি। এর আগে ২০১৯ সালে সংঘটিত হামলায় আহমদিয়াদের ২০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ২০-২৫ জন আহত হওয়ার পরও পুলিশ সে সময় কোনো মামলা গ্রহণ করেনি। তবে ২ থেকে ৪ মার্চের হামলায় প্রশাসন মামলা নেওয়ার বিষয়ে বেশ আন্তরিকতা দেখাচ্ছে। এ পর্যন্ত পঞ্চগড় সদর থানায় ৩৩টি এবং বোদা থানায় ২১টি, মোট ৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে ১২টির বিষয়ে প্রাথমিক তথ্যবিবরণী পাওয়া গেছে, বাকি ৪২টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিভিন্ন ভিডিও এবং ছবি দেখে বেশ কিছু আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা কোনো ধরনের বিধিনিষেধ ছাড়া প্রকাশ্যে তাঁদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের দাবি জানান। তাঁরা বলেন, ‘ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা যেকোনো সম্প্রদায়ের সাংবিধানিক অধিকার। আমরা ভবিষ্যতে প্রকাশ্যে কোনো বিধিনিষেধ ছাড়া ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে চাই।’
বাংলাদেশে এক শ্রেণির ধর্ম ব্যবসায়ী সভা-সমাবেশ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহমদিয়াবিরোধী বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। প্রকাশ্যে আহমদিয়াদের হত্যার কথা বলছেন। দেশকে সাম্প্রদায়িক ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতেই আহমদিয়াবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলা হচ্ছে বলে মনে করেন আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বকশীবাজারে আহমদিয়া মুসলিম জামা’ত বাংলাদেশের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা বলেন, একদল উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ২ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত পঞ্চগড়ের কয়েকটি গ্রামে আহমদিয়াদের ১৮৬টি বাড়িঘর এবং ৩০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আক্রমণ, লুট, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। এতে ১১ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও প্রতিহিংসা সৃষ্টিকারী এবং হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন তাঁরা।
আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের বহিঃসম্পর্ক, গণসংযোগ, প্রেস ও মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক আহমদ তবশির চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আহমদিয়াবিরোধী আন্দোলন মূলত বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র। ১৯৭১ সালে মৌলবাদী রাষ্ট্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং অসাম্প্রদায়িকতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। আহমদিয়া মুসলিম জামাতের সদস্যরাও দেশের জনসাধারণের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, অনেকে শহীদ হয়েছেন। কিন্তু আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনাকে মুছে ফেলে প্রিয় মাতৃভূমিকে পুনরায় পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে দেশি ও বিদেশি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত রয়েছে। দেশের ক্রান্তিকাল যখন উপস্থিত হয়, তখনই তারা আহমদিয়া ইস্যু এনে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অতীতেও একাধিকবার আহমদিয়াদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ঘটনারই বিচার হয়নি। এর আগে ২০১৯ সালে সংঘটিত হামলায় আহমদিয়াদের ২০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ২০-২৫ জন আহত হওয়ার পরও পুলিশ সে সময় কোনো মামলা গ্রহণ করেনি। তবে ২ থেকে ৪ মার্চের হামলায় প্রশাসন মামলা নেওয়ার বিষয়ে বেশ আন্তরিকতা দেখাচ্ছে। এ পর্যন্ত পঞ্চগড় সদর থানায় ৩৩টি এবং বোদা থানায় ২১টি, মোট ৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে ১২টির বিষয়ে প্রাথমিক তথ্যবিবরণী পাওয়া গেছে, বাকি ৪২টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিভিন্ন ভিডিও এবং ছবি দেখে বেশ কিছু আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা কোনো ধরনের বিধিনিষেধ ছাড়া প্রকাশ্যে তাঁদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের দাবি জানান। তাঁরা বলেন, ‘ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা যেকোনো সম্প্রদায়ের সাংবিধানিক অধিকার। আমরা ভবিষ্যতে প্রকাশ্যে কোনো বিধিনিষেধ ছাড়া ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে চাই।’
রাজশাহীতে বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে উপজেলার অভয়া-কামারপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগেপ্রায় তিন মাস পর গাজীপুরের শ্রীপুরের সাফারি পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পুরোনো নাম বদলে নতুন নাম ধারণ করা সাফারি পার্ক গাজীপুরে আজ শুক্রবার ছুটির দিনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যাপক ভাঙচুরের পর পার্কটি বন্ধ রাখা হয়।
১৯ মিনিট আগেপটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ২০০ বছর ধরে চলে আসা রাস উৎসবে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তীর্থযাত্রীদের ঢল নেমেছে। পুণ্যার্থীদের আগমনে ভরপুর কুয়াকাটার রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের প্রাঙ্গণসহ কুয়াকাটার আশপাশ।
৩৭ মিনিট আগেখুলনায় অগ্নিকাণ্ডে একটি পাটের বস্তার গোডাউনসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বড় বাজারের বার্মাশীল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে