দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটিতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে ভবনটির বেসমেন্টে প্রবেশ করে ফায়ার সার্ভিসের একটি উদ্ধারকারী দল। যোগ দেওয়ার কথা আছে সেনাবাহিনীর আরও একটি উদ্ধারকারী দলের।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক বাবুল চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা সকাল ৯টা থেকে আবার উদ্ধারকাজ শুরু করেছি। সেনাবাহিনীর আরেকটা টিম আসার কথা। ওরাও আসবে।’

এ ঘটনায় কোনো তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে কি না, জানতে চাইলে বাবুল চক্রবর্তী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা বলতে পারছি না। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি।’

• বিস্ফোরকের আলামত নেই, বিস্ফোরণ বেজমেন্টে: সেনাবাহিনীর টিম

উদ্ধারকাজ শুরুর পরে ভবনের ভেতর থেকে বিভিন্ন মালামাল বের করা হয়েছে ৷ এখন পর্যন্ত আহত বা নিহত কাউকে উদ্ধার করতে দেখা যায়নি। 

গতকাল বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে সাততলা একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের আরেকটি পাঁচতলা ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেসমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। সেখানে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। 

• সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ: ঢামেক হাসপাতালে ১৭ লাশ

বিস্ফোরণের পর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় রাত পৌনে ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ স্থগিতের কথা জানান ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক দিনমনি শর্মা। তিনি বলেন, ‘ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় ভবনের ভূগর্ভস্থ স্থানে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব নয়। তাই উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়েছে। সকালে সেনাবাহিনী এলে আবার উদ্ধারকাজ শুরু হবে।’

এই বিস্ফোরণে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত হয়েছে ১২০ জনেরও বেশি। কয়েকজন নিখোঁজ আছে। 

• সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ: বিধ্বস্ত ভবন ঝুঁকিতে, ভেতরে গ্যাসের গন্ধ

উদ্ধারকাজ শুরুর পর ভবনটির চারপাশে উৎসুক মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করছে। তাদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভবন পরিদর্শনে এসেছে তিতাস গ্যাসের একটি দল।