আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ (২৪) হত্যা মামলা তদন্ত এখনও রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। এই বস্তিটিকে প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র্যাব। তবে এখনো হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি কেউ। উত্তর মেলেনি ফারদিন কীভাবে গভীর রাতে সেখানে গিয়েছিলেন। সেজন্য সম্ভাব্য সব পথের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ জব্দ করেছে র্যাব ও ডিবি। অন্তত ৫০০ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও যাচাই বাছাই করছে দুই তদন্ত সংস্থা।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট র্যাবের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৪ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াই টার দিকে ফারদিনের মোবাইলের অবস্থান ছিল রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নেই পড়েছে চনপাড়া বস্তি। চনপাড়ায় হত্যা করে কায়েতপাড়া দিয়ে তাকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলা হয়। যেখানে লাশটি পাওয়া গেছে সেখানে দেড় দিনের স্রোতে মরদেহ ভেসে যেতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে। স্রোতের যে গতি তাতে কায়েতপাড়ার ইউনিয়নের চনপাড়ার আশপাশের কোনো স্থান থেকে তাকে ফেলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মাদক নিয়ে কোনো ঝামেলার কারণেই তাকে হত্যা করা হয়। তবে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা গেলেও কিছু অপরাধী এখনো পলাতক থাকায় পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি। আরও কয়েকজনকে আটক করতে পারলে তাদের সবাইকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসা করলে রহস্য উদ্ঘাটন হবে। আমরা সম্ভাব্য সকল পথের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে এসেছি। তবে ডেমরার পর গ্রাম্য এলাকায় এবং রামপুরা থেকে স্টাফ কোয়ার্টারের দিকে যেতে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাইনি। যেসব পথ দিয়ে তিনি রূপগঞ্জের দিকে যেতে পারেন, সেই সব পথে ডিজিটাল ও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে তদন্ত করা করা হচ্ছে।’
র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সম্ভাব্য সবগুলো কারণ নিয়ে কাজ করছি। ফারদিন সেখানে কীভাবে গেল, সেই রহস্য এখনো উদ্ঘাটন হয়নি। অনেকে অনেক কিছু বলছে, তবে কোনোটিই এখনো নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। আমাদের কয়েকটি টিম কাজ করছে।’
অপরদিকে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে এতদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি প্রতিবার একই তথ্য দিচ্ছেন। তার তথ্যে কোনো গরমিল নেই। তাই আমরা ফারদিনের রামপুরা থেকে রূপগঞ্জ যাওয়ার রুটটিতে তদন্তে জোড় দিচ্ছি। বেশ কিছু তথ্য মিলছে, তবে তাতে উপসংহারে আসার মত কিছু এখনো মেলেনি।’
গত ৪ নভেম্বর ফারদিন নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর বাবা ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের পর গত বুধবার দিবাগত রাতে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে আসামি করে মামলা করেন বাবা নূর উদ্দীন রানা। ওই মামলায় বুশরা পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
ফারদিনের বাবা নূর উদ্দীন রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেভাবেই তাকে হত্যা করা হোক না কেন, যারাই হত্যা করুক, তার সন্দেহাতীত একটি তদন্ত প্রতিবেদন হওয়া উচিত। যা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ থাকবে না। আমি আমার সন্তানকে ফিরে পাব না, কিন্তু অপরাধীরা গ্রেপ্তার হয়েছে এটা দেখতে চাই। এ জন্যই আমি মামলা করেছি।’
মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্তে বলার মত এখনো তেমন কিছু নেই। আমরা সবকিছু মাথায় রেখে তদন্ত করছি।’
এদিকে, ফারদিন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে আগামী সোমবার মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। তারা বুয়েট ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করবেন। হত্যার মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীরা দ্রুত গ্রেপ্তার না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা আসতে পারে। তবে তারা কেউ এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজী হননি।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ (২৪) হত্যা মামলা তদন্ত এখনও রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। এই বস্তিটিকে প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র্যাব। তবে এখনো হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি কেউ। উত্তর মেলেনি ফারদিন কীভাবে গভীর রাতে সেখানে গিয়েছিলেন। সেজন্য সম্ভাব্য সব পথের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ জব্দ করেছে র্যাব ও ডিবি। অন্তত ৫০০ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও যাচাই বাছাই করছে দুই তদন্ত সংস্থা।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট র্যাবের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৪ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াই টার দিকে ফারদিনের মোবাইলের অবস্থান ছিল রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নেই পড়েছে চনপাড়া বস্তি। চনপাড়ায় হত্যা করে কায়েতপাড়া দিয়ে তাকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলা হয়। যেখানে লাশটি পাওয়া গেছে সেখানে দেড় দিনের স্রোতে মরদেহ ভেসে যেতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে। স্রোতের যে গতি তাতে কায়েতপাড়ার ইউনিয়নের চনপাড়ার আশপাশের কোনো স্থান থেকে তাকে ফেলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মাদক নিয়ে কোনো ঝামেলার কারণেই তাকে হত্যা করা হয়। তবে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা গেলেও কিছু অপরাধী এখনো পলাতক থাকায় পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি। আরও কয়েকজনকে আটক করতে পারলে তাদের সবাইকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসা করলে রহস্য উদ্ঘাটন হবে। আমরা সম্ভাব্য সকল পথের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে এসেছি। তবে ডেমরার পর গ্রাম্য এলাকায় এবং রামপুরা থেকে স্টাফ কোয়ার্টারের দিকে যেতে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাইনি। যেসব পথ দিয়ে তিনি রূপগঞ্জের দিকে যেতে পারেন, সেই সব পথে ডিজিটাল ও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে তদন্ত করা করা হচ্ছে।’
র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সম্ভাব্য সবগুলো কারণ নিয়ে কাজ করছি। ফারদিন সেখানে কীভাবে গেল, সেই রহস্য এখনো উদ্ঘাটন হয়নি। অনেকে অনেক কিছু বলছে, তবে কোনোটিই এখনো নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। আমাদের কয়েকটি টিম কাজ করছে।’
অপরদিকে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে এতদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি প্রতিবার একই তথ্য দিচ্ছেন। তার তথ্যে কোনো গরমিল নেই। তাই আমরা ফারদিনের রামপুরা থেকে রূপগঞ্জ যাওয়ার রুটটিতে তদন্তে জোড় দিচ্ছি। বেশ কিছু তথ্য মিলছে, তবে তাতে উপসংহারে আসার মত কিছু এখনো মেলেনি।’
গত ৪ নভেম্বর ফারদিন নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর বাবা ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের পর গত বুধবার দিবাগত রাতে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে আসামি করে মামলা করেন বাবা নূর উদ্দীন রানা। ওই মামলায় বুশরা পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
ফারদিনের বাবা নূর উদ্দীন রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেভাবেই তাকে হত্যা করা হোক না কেন, যারাই হত্যা করুক, তার সন্দেহাতীত একটি তদন্ত প্রতিবেদন হওয়া উচিত। যা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ থাকবে না। আমি আমার সন্তানকে ফিরে পাব না, কিন্তু অপরাধীরা গ্রেপ্তার হয়েছে এটা দেখতে চাই। এ জন্যই আমি মামলা করেছি।’
মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্তে বলার মত এখনো তেমন কিছু নেই। আমরা সবকিছু মাথায় রেখে তদন্ত করছি।’
এদিকে, ফারদিন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে আগামী সোমবার মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। তারা বুয়েট ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করবেন। হত্যার মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীরা দ্রুত গ্রেপ্তার না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা আসতে পারে। তবে তারা কেউ এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজী হননি।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
১৭ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
২ ঘণ্টা আগে