নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে গত বুধবার রাতে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ছয় শিক্ষার্থী।
আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে তাঁরা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দি দেওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন—ঢাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়া; মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া; পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মোত্তাকিন সাকিন এবং আল হুসাইন সাজ্জাদ, আহসানউল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম নামের তিন শিক্ষার্থী। তাঁরা সবাই ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র। তাঁদের মধ্যে জালাল মিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপসম্পাদক। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে তিনি ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগে করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন।
আজ দুপুরের আগে ছয়জনকে আদালতে হাজির করা হয়। তোফাজ্জলকে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেকের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের পর তাঁরা স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করতে ইচ্ছুক। এ জন্য তাঁদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় আসামিকে পৃথক পৃথকভাবে বিচারকের খাস কামরায় নেওয়া হয়। তাঁরা একে একে জবানবন্দি দেন। রাত ৮টার পর জবানবন্দি দেওয়া শেষ হলে প্রত্যেককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের অতিথি কক্ষে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীকালে হলের দক্ষিণ ভবনের অতিথি কক্ষে তাঁকে আবারও বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঢাবি প্রশাসন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে ওই শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এজাহার উল্লেখ করা হয়, ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার সময় একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাঁকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্টরুমে নিয়ে যান। মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ করে তাঁরা ওই যুবককে এলোপাতাড়ি চরথাপ্পড় ও কিলঘুষি মারেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তাঁর নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাঁকে হলের ক্যানটিনে নিয়ে খাবার খাওয়ান। এরপর তাঁকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্টরুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ছয় শিক্ষার্থী জবানবন্দিতে নিজেরা তোফাজ্জলকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের আরও অনেকে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে তাঁরা নাম প্রকাশ করেছেন।
জবানবন্দিতে তোফাজ্জলকে মারধরের লোমহর্ষক বর্ণনা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। লাঠি, হকিস্টিক, ক্রিকেট ব্যাট, স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় তোফাজ্জলকে। তাঁকে দুই দফা মারধর করা হয়। মোবাইল ফোন চোর সন্দেহ করে প্রথমে রাত ৮টার দিকে মারধর করা হয়। পরে খাবার খাওয়ানো হয়। এরপর আবারও মারধর করলে তোফাজ্জল নিস্তেজ হয়ে পড়ে বলে জবানবন্দি দেওয়া শিক্ষার্থীরা আদালতকে জানান।
জবানবন্দি দেওয়া একজন আদালতকে বলেছেন, ‘ক্ষুধার্ত তোফাজ্জলকে যখন খাবার খাওয়ানো হয় তখনো তার চারপাশে ঘিরে ছিলেন হলের শিক্ষার্থীরা। খাবার খাওয়া নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য ছুড়ে দেওয়া, হাততালি দেওয়া, জোরে জোরে চিৎকার–চেঁচামেচি করে বিভিন্ন ধরনের কটূক্তি করা হয়েছিল। খাবার কেমন হয়েছে জিজ্ঞাসা করলে একপর্যায়ে তোফাজ্জল বলেছিলেন আল্লাহর রহমতে খুব ভালো খাবার।’
খাওয়া শেষ হওয়ার পর তাঁকে দ্বিতীয় দফায় মারধর করা হয়। এরপর নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালেও নেওয়া হয় বলে জবানবন্দি দেওয়া ছয় শিক্ষার্থী জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে গত বুধবার রাতে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ছয় শিক্ষার্থী।
আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে তাঁরা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দি দেওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন—ঢাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়া; মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া; পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মোত্তাকিন সাকিন এবং আল হুসাইন সাজ্জাদ, আহসানউল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম নামের তিন শিক্ষার্থী। তাঁরা সবাই ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র। তাঁদের মধ্যে জালাল মিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপসম্পাদক। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে তিনি ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগে করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন।
আজ দুপুরের আগে ছয়জনকে আদালতে হাজির করা হয়। তোফাজ্জলকে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেকের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের পর তাঁরা স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করতে ইচ্ছুক। এ জন্য তাঁদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় আসামিকে পৃথক পৃথকভাবে বিচারকের খাস কামরায় নেওয়া হয়। তাঁরা একে একে জবানবন্দি দেন। রাত ৮টার পর জবানবন্দি দেওয়া শেষ হলে প্রত্যেককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের অতিথি কক্ষে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীকালে হলের দক্ষিণ ভবনের অতিথি কক্ষে তাঁকে আবারও বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঢাবি প্রশাসন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে ওই শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এজাহার উল্লেখ করা হয়, ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার সময় একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাঁকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্টরুমে নিয়ে যান। মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ করে তাঁরা ওই যুবককে এলোপাতাড়ি চরথাপ্পড় ও কিলঘুষি মারেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তাঁর নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাঁকে হলের ক্যানটিনে নিয়ে খাবার খাওয়ান। এরপর তাঁকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্টরুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ছয় শিক্ষার্থী জবানবন্দিতে নিজেরা তোফাজ্জলকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের আরও অনেকে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে তাঁরা নাম প্রকাশ করেছেন।
জবানবন্দিতে তোফাজ্জলকে মারধরের লোমহর্ষক বর্ণনা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। লাঠি, হকিস্টিক, ক্রিকেট ব্যাট, স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় তোফাজ্জলকে। তাঁকে দুই দফা মারধর করা হয়। মোবাইল ফোন চোর সন্দেহ করে প্রথমে রাত ৮টার দিকে মারধর করা হয়। পরে খাবার খাওয়ানো হয়। এরপর আবারও মারধর করলে তোফাজ্জল নিস্তেজ হয়ে পড়ে বলে জবানবন্দি দেওয়া শিক্ষার্থীরা আদালতকে জানান।
জবানবন্দি দেওয়া একজন আদালতকে বলেছেন, ‘ক্ষুধার্ত তোফাজ্জলকে যখন খাবার খাওয়ানো হয় তখনো তার চারপাশে ঘিরে ছিলেন হলের শিক্ষার্থীরা। খাবার খাওয়া নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য ছুড়ে দেওয়া, হাততালি দেওয়া, জোরে জোরে চিৎকার–চেঁচামেচি করে বিভিন্ন ধরনের কটূক্তি করা হয়েছিল। খাবার কেমন হয়েছে জিজ্ঞাসা করলে একপর্যায়ে তোফাজ্জল বলেছিলেন আল্লাহর রহমতে খুব ভালো খাবার।’
খাওয়া শেষ হওয়ার পর তাঁকে দ্বিতীয় দফায় মারধর করা হয়। এরপর নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালেও নেওয়া হয় বলে জবানবন্দি দেওয়া ছয় শিক্ষার্থী জানিয়েছেন।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় ছুরিকাঘাতে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এ কে এম আব্দুর রশিদকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজারিবাগ মডেল থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
১৮ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রিপন মিয়াকে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জ শহরের রহমতগঞ্জে ছয়টি পিকআপ ভ্যানে চাঁদা চাইলে তাঁকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবিশ্বের একমাত্র স্বীকৃত উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বিমানে স্থাপিত উড়ন্ত হাসপাতালটি চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিশেষায়িত হাসপাতালটি চক্ষুরোগসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে ১৮ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে অবস্থান করবে...
১ ঘণ্টা আগে২০২৩ সালের ২২ আগস্ট সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক কাটাগাঙ্গের এ লোহার সেতু ভেঙে নদীতে ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ট্রাকচালক ওমর ফারুক ও চালকের সহকারী জাকির হোসেন কলিন্স নিহত হয়েছিলেন। এরপর সপ্তাহখানেক সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকার পর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি আবারও জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়...
১ ঘণ্টা আগে