পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর পাংশায় গড়াই নদে নির্মাণাধীন সেতুর সংযোগ সড়কের কাজে ব্যবহারের জন্য সেতুর নিচ থেকেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ রয়েছে, অতিরিক্ত বালু তুলে এখন অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। নির্মাণাধীন সেতুর নিচ থেকে এভাবে বালু উত্তোলন করায় ভবিষ্যতে সেতুটি ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ড্রেজার দিয়ে সেতুর নিচ থেকে বালু উত্তোলন করে স্তূপ করে রাখা হয়। তাঁরা জানতেন, সেতুর নির্মাণকাজে ব্যবহারের জন্য এই বালু তোলা হয়েছে। এখন তুলে রাখা বালু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার বিজন কৃষ্ণবর্মণ ও স্থানীয় কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. বাদশা মণ্ডল মিলে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে পল্লি সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় পাংশা হেডকোয়ার্টার থেকে লাঙ্গলবাঁধ জিসি সড়কে গড়াই নদের ওপর ৬৫০ মিটার দীর্ঘ পিএসসি গার্ডার সেতুটির নির্মাণ শুরু হয়। কাজটি করছে এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও দুই দফা মেয়াদ বাড়িয়েও এখনো ৭০ শতাংশ শেষ হয়নি।
সরেজমিনে নাদুরিয়া ঘাট এলাকায় দেখা গেছে, বালুর স্তূপ থেকে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলিতে (বাটাহাম্বা) বেলচা দিয়ে বালু তুলছেন শ্রমিকেরা। এ সময় ছবি ধারণ করতে দেখে কয়েকজন পালিয়ে যান।
তখন এক ট্রলির চালক বাবুল বলেন, ‘বালু ও বাটাহাম্বা গাড়ি বাদশা মেম্বরের। আমরা শুধু দিনমজুর হিসেবে কাজ করি। বালু যেখানে দিয়ে আসতে বলে আমরা সেখানে দিয়ে আসি। এর বেশি কিছু আমি জানি না।’
এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে বালু বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেন বাদশা। তিনি বলেন, ‘ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে কিছু বালু তুলছিলাম, সেগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। আমি অসুস্থ, বাসায় আছি। এ বিষয়ে পরে কথা হবে।’
জানতে চাইলে ঠিকাদারিপ্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার বিজন বলেন, ‘আমাদের মালিকের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয় সাবেক মেম্বার বাদশা মণ্ডল বালু উত্তোলন করে আমাদের লিজ নেওয়া জমিতে রেখেছেন। আমাদের এখানে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার ফুট বালু প্রয়োজন হতে পারে। আমি এখানে চাকরি করতে আসছি, বালু বিক্রি করতে আসিনি। বালু বিক্রির সঙ্গে আমি জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখেন। এ বিষয়ে আমাদের মালিক এবং বাদশা মেম্বার ভালো বলতে পারবেন।’ বাদশা বিভিন্নভাবে তাঁদের কাজে সহযোগিতা করেন বলে জানান তিনি।
নির্মাণাধীন সেতুর কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা এলজিইডির উপজেলা কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘অ্যাপ্রোচের (সংযোগ সড়ক) কাজের জন্য স্থানীয়ভাবে মাটির ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ রয়েছে। ঠিকাদার এটা যেকোনো স্থান থেকে ব্যবস্থা করতে পারে।’
নদ থেকে বালু তুলে সেতুর কাজে ব্যবহার করতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নদের আইনকানুন আমি বুঝি না। তবে নদ থেকে উত্তোলন করা বালু বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হাসান বলেন, ‘বালু উত্তোলন ও বিক্রির বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজবাড়ীর পাংশায় গড়াই নদে নির্মাণাধীন সেতুর সংযোগ সড়কের কাজে ব্যবহারের জন্য সেতুর নিচ থেকেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ রয়েছে, অতিরিক্ত বালু তুলে এখন অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। নির্মাণাধীন সেতুর নিচ থেকে এভাবে বালু উত্তোলন করায় ভবিষ্যতে সেতুটি ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ড্রেজার দিয়ে সেতুর নিচ থেকে বালু উত্তোলন করে স্তূপ করে রাখা হয়। তাঁরা জানতেন, সেতুর নির্মাণকাজে ব্যবহারের জন্য এই বালু তোলা হয়েছে। এখন তুলে রাখা বালু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার বিজন কৃষ্ণবর্মণ ও স্থানীয় কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. বাদশা মণ্ডল মিলে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে পল্লি সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় পাংশা হেডকোয়ার্টার থেকে লাঙ্গলবাঁধ জিসি সড়কে গড়াই নদের ওপর ৬৫০ মিটার দীর্ঘ পিএসসি গার্ডার সেতুটির নির্মাণ শুরু হয়। কাজটি করছে এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও দুই দফা মেয়াদ বাড়িয়েও এখনো ৭০ শতাংশ শেষ হয়নি।
সরেজমিনে নাদুরিয়া ঘাট এলাকায় দেখা গেছে, বালুর স্তূপ থেকে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলিতে (বাটাহাম্বা) বেলচা দিয়ে বালু তুলছেন শ্রমিকেরা। এ সময় ছবি ধারণ করতে দেখে কয়েকজন পালিয়ে যান।
তখন এক ট্রলির চালক বাবুল বলেন, ‘বালু ও বাটাহাম্বা গাড়ি বাদশা মেম্বরের। আমরা শুধু দিনমজুর হিসেবে কাজ করি। বালু যেখানে দিয়ে আসতে বলে আমরা সেখানে দিয়ে আসি। এর বেশি কিছু আমি জানি না।’
এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে বালু বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেন বাদশা। তিনি বলেন, ‘ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে কিছু বালু তুলছিলাম, সেগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। আমি অসুস্থ, বাসায় আছি। এ বিষয়ে পরে কথা হবে।’
জানতে চাইলে ঠিকাদারিপ্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার বিজন বলেন, ‘আমাদের মালিকের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয় সাবেক মেম্বার বাদশা মণ্ডল বালু উত্তোলন করে আমাদের লিজ নেওয়া জমিতে রেখেছেন। আমাদের এখানে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার ফুট বালু প্রয়োজন হতে পারে। আমি এখানে চাকরি করতে আসছি, বালু বিক্রি করতে আসিনি। বালু বিক্রির সঙ্গে আমি জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখেন। এ বিষয়ে আমাদের মালিক এবং বাদশা মেম্বার ভালো বলতে পারবেন।’ বাদশা বিভিন্নভাবে তাঁদের কাজে সহযোগিতা করেন বলে জানান তিনি।
নির্মাণাধীন সেতুর কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা এলজিইডির উপজেলা কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘অ্যাপ্রোচের (সংযোগ সড়ক) কাজের জন্য স্থানীয়ভাবে মাটির ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ রয়েছে। ঠিকাদার এটা যেকোনো স্থান থেকে ব্যবস্থা করতে পারে।’
নদ থেকে বালু তুলে সেতুর কাজে ব্যবহার করতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নদের আইনকানুন আমি বুঝি না। তবে নদ থেকে উত্তোলন করা বালু বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হাসান বলেন, ‘বালু উত্তোলন ও বিক্রির বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ মিনিট আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১২ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
২৮ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে