নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা নানা কারণে ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও কার্যকর ও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। গণ-আন্দোলনের সাফল্য নিশ্চিত করতে হলে সামগ্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জন-আকাঙ্ক্ষাকে একটি কার্যকর রাজনৈতিক বন্দোবস্তে রূপ দিতে হবে। এজন্য স্বচ্ছ নীতি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা এবং সঠিক নেতৃত্ব জরুরি। তবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে বা জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতি অবহেলা দেখানো হলে অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ শনিবার বিকেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিজিডি) আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি: নব প্রজন্মের প্রত্যাশা ও প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন বক্তারা।
সেমিনারে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘দেশের এখন একটা অপারেশন চলছে। আন্দোলনের মধ্যদিয়ে অপারেশন শুরু হয়েছে। ৫ আগস্টের পর অপারেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। অপারেশন ঠিকঠাক মতো হলে আমরা একটা সুস্থ সুন্দর দেশ পাব। কিন্তু অপারেশনে যদি কোনো ভুল হয় তবে আগের অবস্থানেই থাকব।’
ইয়ামিন মোল্লা আরও বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম একটা বিপ্লবী সরকার হবে। বিপ্লবী সরকার না হওয়ার কারণে এখন অনেক রদবদল করা লাগছে। এই সরকার না বিপ্লবী সরকার, না নিয়মতান্ত্রিক সরকার।’
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সাঈদ আহমেদ সরকার বলেন, ‘আমরা যারা জনগণের রাজনীতি, নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তের স্বপ্ন দেখি, তারা মনে করি, আন্দোলনকারী শক্তিদের সমন্বয়ে বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠন করা দরকার।’
আন্তর্জাতিক পলিসি অ্যাডভাইজার এস এম সৈকত বলেন, ‘দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না করার প্রস্তাব করছে অনেক রাজনৈতিক দল। শুধু প্রধানমন্ত্রী কেন? দুইবারের বেশি এক ব্যক্তির ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন করতে হবে? সংবিধান সংস্কার করতে হবে এবং সেটা অবশ্যই সাধারণ মানুষের পক্ষে।’
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ইসলাম হাদী বলেন, ‘বিপ্লবের শত দিন পার হলো, কিন্তু তেমন সেলিব্রেশন হয়নি। উল্টো দেয়ালের গ্রাফিতিগুলো মুছে ফেলা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ এখনো বলছে ভুল করলে ক্ষমা চাইবে। অন্যদিকে অনেকে তাদের ক্ষমা করে দিচ্ছে। আন্দোলনে নিহত রিকশাচালকের স্ত্রী, সন্তানেরা। তারা ক্ষমা করবে কি না সেটা হচ্ছে প্রশ্ন।’
স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দিন মুহাম্মদ খালিদ বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর শক্তিগুলো ভাগ হয়ে পড়ছে। এটা আরও ঘটতে থাকলে সামনে বিপজ্জনক সময় আসবে।’
নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতা মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সাংস্কৃতিক বয়ান প্রতিষ্ঠিত না করতে পারলে রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। নব্বইয়ের তিন জোটের রূপরেখার কিছুই বাস্তবায়ন হয় নাই। সেটা যদি বাস্তবায়ন হতো, তাহলে চব্বিশের এই আন্দোলন দরকার হতো না। রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের সংস্কার করতে হবে।’
কৃষিবিদ আলী আফজাল গণমাধ্যমের সমালোচনা করে বলেন, ‘আগে নানাভাবে স্বৈরাচারের বয়ান প্রচার করেছেন, এখন এই সরকারের প্রশংসা করছেন। কেন? এই সরকারের কোনো ভুল নেই?’
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পরিচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। এর জন্য আন্দোলনকারী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মো. নিজামুদ্দিন, সংগঠক আলী আহসান জুনায়েদ প্রমুখ।
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা নানা কারণে ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও কার্যকর ও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। গণ-আন্দোলনের সাফল্য নিশ্চিত করতে হলে সামগ্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জন-আকাঙ্ক্ষাকে একটি কার্যকর রাজনৈতিক বন্দোবস্তে রূপ দিতে হবে। এজন্য স্বচ্ছ নীতি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা এবং সঠিক নেতৃত্ব জরুরি। তবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে বা জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতি অবহেলা দেখানো হলে অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ শনিবার বিকেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিজিডি) আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি: নব প্রজন্মের প্রত্যাশা ও প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন বক্তারা।
সেমিনারে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘দেশের এখন একটা অপারেশন চলছে। আন্দোলনের মধ্যদিয়ে অপারেশন শুরু হয়েছে। ৫ আগস্টের পর অপারেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। অপারেশন ঠিকঠাক মতো হলে আমরা একটা সুস্থ সুন্দর দেশ পাব। কিন্তু অপারেশনে যদি কোনো ভুল হয় তবে আগের অবস্থানেই থাকব।’
ইয়ামিন মোল্লা আরও বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম একটা বিপ্লবী সরকার হবে। বিপ্লবী সরকার না হওয়ার কারণে এখন অনেক রদবদল করা লাগছে। এই সরকার না বিপ্লবী সরকার, না নিয়মতান্ত্রিক সরকার।’
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সাঈদ আহমেদ সরকার বলেন, ‘আমরা যারা জনগণের রাজনীতি, নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তের স্বপ্ন দেখি, তারা মনে করি, আন্দোলনকারী শক্তিদের সমন্বয়ে বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠন করা দরকার।’
আন্তর্জাতিক পলিসি অ্যাডভাইজার এস এম সৈকত বলেন, ‘দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না করার প্রস্তাব করছে অনেক রাজনৈতিক দল। শুধু প্রধানমন্ত্রী কেন? দুইবারের বেশি এক ব্যক্তির ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন করতে হবে? সংবিধান সংস্কার করতে হবে এবং সেটা অবশ্যই সাধারণ মানুষের পক্ষে।’
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ইসলাম হাদী বলেন, ‘বিপ্লবের শত দিন পার হলো, কিন্তু তেমন সেলিব্রেশন হয়নি। উল্টো দেয়ালের গ্রাফিতিগুলো মুছে ফেলা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ এখনো বলছে ভুল করলে ক্ষমা চাইবে। অন্যদিকে অনেকে তাদের ক্ষমা করে দিচ্ছে। আন্দোলনে নিহত রিকশাচালকের স্ত্রী, সন্তানেরা। তারা ক্ষমা করবে কি না সেটা হচ্ছে প্রশ্ন।’
স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দিন মুহাম্মদ খালিদ বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর শক্তিগুলো ভাগ হয়ে পড়ছে। এটা আরও ঘটতে থাকলে সামনে বিপজ্জনক সময় আসবে।’
নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতা মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সাংস্কৃতিক বয়ান প্রতিষ্ঠিত না করতে পারলে রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। নব্বইয়ের তিন জোটের রূপরেখার কিছুই বাস্তবায়ন হয় নাই। সেটা যদি বাস্তবায়ন হতো, তাহলে চব্বিশের এই আন্দোলন দরকার হতো না। রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের সংস্কার করতে হবে।’
কৃষিবিদ আলী আফজাল গণমাধ্যমের সমালোচনা করে বলেন, ‘আগে নানাভাবে স্বৈরাচারের বয়ান প্রচার করেছেন, এখন এই সরকারের প্রশংসা করছেন। কেন? এই সরকারের কোনো ভুল নেই?’
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পরিচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। এর জন্য আন্দোলনকারী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মো. নিজামুদ্দিন, সংগঠক আলী আহসান জুনায়েদ প্রমুখ।
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ১০ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে আবাসিক গ্রাহকের বাসাবাড়িতে। কিন্তু অনেকের বাড়ি, এমনকি মূল লাইনেও বিদ্যুতের খুঁটি নেই। স্থায়ী খুঁটিতে সংযোগ টানার কথা বলে খুঁটিপ্রতি ১৭-১৮ হাজার টাকা নেওয়া হলেও সেটি হয়নি।
৯ মিনিট আগেআজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনার পর চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঢাকার কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানান কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন।
১৬ মিনিট আগেহবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় মোস্তাকিন মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের বসতঘর থেকে মোস্তাকিন মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
২৬ মিনিট আগেআজ ২৫ নভেম্বর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) দিবস। এ বছর প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা কার্যক্রমের ৩৪ বছর পূর্ণ করে ৩৫ বছরে পদার্পণ করছে। এমন মুহূর্তে এসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পাওয়া নতুন বাংলাদেশে খুবিকে নব আবহে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
২৯ মিনিট আগে