নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পাঁচ বছরের শিশু ফাহিমাকে গত ৭ নভেম্বর থেকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শিশুটিকে খুঁজে বের করতে পিতা আমির হোসেনসহ পরিবারের প্রায় সকলেই ফাহিমাকে সবখানে খুঁজতে শুরু করেন। এরপর আমির হোসেনের বন্ধু সোহেলের সিএনজিতে করে পুরো এলাকায় মাইকিং করা হয়। আরেক বন্ধু রেজাউল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে খোঁজার অনুরোধ জানান। ফাহিমার দাদা, দাদি নিয়ে আসেন কবিরাজ। এ ছাড়াও অনেকে জ্বীনের সহায়তা নেওয়ারও পরামর্শ দেন তাদের। কিন্তু কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছে না পাঁচ বছরের ছোট্ট শিশু ফাহিমাকে। অবশেষে এক সপ্তাহ পর একটি কালভার্টের ডোবার নিচে গরুর খাবারের বস্তার ভেতর পাওয়া যায় শিশুটিকে। জানা যায়, পরকীয়ার জেরে বাবা আমির হোসেনই ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন নিজের একমাত্র মেয়ে ফাহিমাকে।
আজ বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন। এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী শিশুটির বাবা আমির হোসেনসহ হত্যার ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে কুমিল্লার দেবীদ্বার ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার অন্যান্যরা হলেন, মো. রবিউল আউয়াল (১৯), মো. রেজাউল ইসলাম ইমন (২২), মো. সোহেল রানা (২৭) ও মোছা লাইলি আক্তার (৩০)।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, আমির হোসেনের সঙ্গে লাইলি আক্তারের প্রায় এক বছর ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল। তিনি বলেন, ‘গত ৫ তারিখে নিজ বাসায় লাইলি আক্তারের সঙ্গে আমির হোসেনকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখে ফেলে শিশুটি। তখন ফাহিমা বলে, আমি মাকে বলে দেব।’ এই চারটি শব্দই কেড়ে নেয় ফাহিমার জীবন।
ফাহিমার এমন কথায় গভীর চিন্তায় পড়ে যায় লাইলি আর আমির হোসেন। এ সময় লাইলী আমির হোসেনকে বলেন, ‘ফাহিমা সব বলে দিলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।’ সেই ক্ষতির চেয়ে ফাহিমার জীবনের মূল্য তাদের কাছে কম মনে হওয়ায় পরদিন রেজাউলের ফার্নিচারের দোকানে বসে ফাহিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। হত্যার বিনিময়ে আমির হোসেনের শ্বশুরবাড়ি থেকে সদ্য পাওয়া এক লাখ টাকা দাবি করে রেজাউল, রবিউল ও সোহেল।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘ গত ৭ নভেম্বর বিকেলে রেজাউল ও রবিউল চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ফাহিমাকে বাসা থেকে লাইলির বাসার সামনে নিয়ে আসে। সেখান থেকে আমির হোসেন ফাহিমাকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে সবাই মিলে হোটেলের সিএনজিতে করে রওনা হয়। এর মধ্যেই দুটি ছুড়ি কিনে তাঁরা। এরপর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে রাত সাড়ে আটটার সময় দেবীদ্বার পুরান বাজারের দক্ষিণ দিকের নদীর একটি নির্জন জায়গায় ফাহিমাকে নিয়ে হত্যা করে তাঁরা। সেখানে নিয়ে আমির হোসেনই প্রথমে ফাহিমার মুখ চেপে ধরে এবং নিজের একমাত্র কন্যার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তারপর রেজা উল, রবিউল এবং সোহেল ফাহিমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে বাবা আমির হোসেন ফাহিমার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে ফাহিমার মৃতদেহ একটি বস্তায় ভরে পথে কোথাও সুবিধাজনক জায়গা না পেয়ে রেজাউলের গরুর খামারের একটি ড্রামে লুকিয়ে রাখে।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, পরে সেখান থেকে এসে একই সিএনজিতে করে ফাহিমাকে খুঁজে পেতে মাইকিং করে সোহেল। রবিউল ফেসবুকে ‘ফাহিমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’ মর্মে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে খোঁজার অনুরোধ করে। আমির হোসেন পাগল হয়ে যাওয়ার ভান করেন, যেখানে শিশুর মরদেহ পড়ে ছিল সেখানেই।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘হত্যার দুদিন পর বস্তাটি একটি কালভার্টের নিচে ফেলে দিয়ে আসে তাঁরা।’ মঈন বলেন, ‘মেয়েকে হত্যার পর স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে অথবা হত্যা করে লাইলিকে বিয়ের পরিকল্পনা ছিল আমিরের।’
এই ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন প্রসঙ্গে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ফাহিমাকে হত্যার পর তাঁর মরদেহ যে বস্তাটিতে ভরে ফেলে দেওয়ায় হয়েছিল সেটি গরুর খাবারের একটি ২৫ কেজির বস্তা ছিল। হত্যাকারী সবার বাসা কাছাকাছি ছিল। ওই এলাকায় দুটি পরিবারের গরুর খামার ছিল। এর মধ্যে রেজাউল অন্যতম। এই বস্তাটিকে ক্লু ধরেই তদন্ত শুরু হয়। রেজাউলের বাবার সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, সোহেল বেশ কয়েক দিন ধরে রেজাউলের সঙ্গে ঘন ঘন দেখা করতে আসছে এবং কিছু বলার চেষ্টা করছে। এতেই আমরা মোটামুটি নিশ্চিত হই।’
পাঁচ বছরের শিশু ফাহিমাকে গত ৭ নভেম্বর থেকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শিশুটিকে খুঁজে বের করতে পিতা আমির হোসেনসহ পরিবারের প্রায় সকলেই ফাহিমাকে সবখানে খুঁজতে শুরু করেন। এরপর আমির হোসেনের বন্ধু সোহেলের সিএনজিতে করে পুরো এলাকায় মাইকিং করা হয়। আরেক বন্ধু রেজাউল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে খোঁজার অনুরোধ জানান। ফাহিমার দাদা, দাদি নিয়ে আসেন কবিরাজ। এ ছাড়াও অনেকে জ্বীনের সহায়তা নেওয়ারও পরামর্শ দেন তাদের। কিন্তু কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছে না পাঁচ বছরের ছোট্ট শিশু ফাহিমাকে। অবশেষে এক সপ্তাহ পর একটি কালভার্টের ডোবার নিচে গরুর খাবারের বস্তার ভেতর পাওয়া যায় শিশুটিকে। জানা যায়, পরকীয়ার জেরে বাবা আমির হোসেনই ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন নিজের একমাত্র মেয়ে ফাহিমাকে।
আজ বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন। এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী শিশুটির বাবা আমির হোসেনসহ হত্যার ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে কুমিল্লার দেবীদ্বার ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার অন্যান্যরা হলেন, মো. রবিউল আউয়াল (১৯), মো. রেজাউল ইসলাম ইমন (২২), মো. সোহেল রানা (২৭) ও মোছা লাইলি আক্তার (৩০)।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, আমির হোসেনের সঙ্গে লাইলি আক্তারের প্রায় এক বছর ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল। তিনি বলেন, ‘গত ৫ তারিখে নিজ বাসায় লাইলি আক্তারের সঙ্গে আমির হোসেনকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখে ফেলে শিশুটি। তখন ফাহিমা বলে, আমি মাকে বলে দেব।’ এই চারটি শব্দই কেড়ে নেয় ফাহিমার জীবন।
ফাহিমার এমন কথায় গভীর চিন্তায় পড়ে যায় লাইলি আর আমির হোসেন। এ সময় লাইলী আমির হোসেনকে বলেন, ‘ফাহিমা সব বলে দিলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।’ সেই ক্ষতির চেয়ে ফাহিমার জীবনের মূল্য তাদের কাছে কম মনে হওয়ায় পরদিন রেজাউলের ফার্নিচারের দোকানে বসে ফাহিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। হত্যার বিনিময়ে আমির হোসেনের শ্বশুরবাড়ি থেকে সদ্য পাওয়া এক লাখ টাকা দাবি করে রেজাউল, রবিউল ও সোহেল।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘ গত ৭ নভেম্বর বিকেলে রেজাউল ও রবিউল চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ফাহিমাকে বাসা থেকে লাইলির বাসার সামনে নিয়ে আসে। সেখান থেকে আমির হোসেন ফাহিমাকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে সবাই মিলে হোটেলের সিএনজিতে করে রওনা হয়। এর মধ্যেই দুটি ছুড়ি কিনে তাঁরা। এরপর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে রাত সাড়ে আটটার সময় দেবীদ্বার পুরান বাজারের দক্ষিণ দিকের নদীর একটি নির্জন জায়গায় ফাহিমাকে নিয়ে হত্যা করে তাঁরা। সেখানে নিয়ে আমির হোসেনই প্রথমে ফাহিমার মুখ চেপে ধরে এবং নিজের একমাত্র কন্যার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তারপর রেজা উল, রবিউল এবং সোহেল ফাহিমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে বাবা আমির হোসেন ফাহিমার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে ফাহিমার মৃতদেহ একটি বস্তায় ভরে পথে কোথাও সুবিধাজনক জায়গা না পেয়ে রেজাউলের গরুর খামারের একটি ড্রামে লুকিয়ে রাখে।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, পরে সেখান থেকে এসে একই সিএনজিতে করে ফাহিমাকে খুঁজে পেতে মাইকিং করে সোহেল। রবিউল ফেসবুকে ‘ফাহিমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’ মর্মে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে খোঁজার অনুরোধ করে। আমির হোসেন পাগল হয়ে যাওয়ার ভান করেন, যেখানে শিশুর মরদেহ পড়ে ছিল সেখানেই।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘হত্যার দুদিন পর বস্তাটি একটি কালভার্টের নিচে ফেলে দিয়ে আসে তাঁরা।’ মঈন বলেন, ‘মেয়েকে হত্যার পর স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে অথবা হত্যা করে লাইলিকে বিয়ের পরিকল্পনা ছিল আমিরের।’
এই ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন প্রসঙ্গে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ফাহিমাকে হত্যার পর তাঁর মরদেহ যে বস্তাটিতে ভরে ফেলে দেওয়ায় হয়েছিল সেটি গরুর খাবারের একটি ২৫ কেজির বস্তা ছিল। হত্যাকারী সবার বাসা কাছাকাছি ছিল। ওই এলাকায় দুটি পরিবারের গরুর খামার ছিল। এর মধ্যে রেজাউল অন্যতম। এই বস্তাটিকে ক্লু ধরেই তদন্ত শুরু হয়। রেজাউলের বাবার সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, সোহেল বেশ কয়েক দিন ধরে রেজাউলের সঙ্গে ঘন ঘন দেখা করতে আসছে এবং কিছু বলার চেষ্টা করছে। এতেই আমরা মোটামুটি নিশ্চিত হই।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৪ ঘণ্টা আগে