ট্রান্সকমের সিইও সিমিনসহ ৬ কর্মকর্তার জামিন বাতিল ও রিমান্ড নিয়ে রিভিশন আবেদন গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৭: ২৭
ফাইল ছবি

দেশের অন্যতম ব্যবসায়ী গ্রুপ ট্রান্সকম লিমিটেডের শেয়ার জালিয়াতি করে দখল ও ভুয়া পারিবারিক সেটেলেমেন্ট দলিল তৈরির দুটি মামলায় গ্রুপটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানসহ ৬ কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিভিশন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন গালিব আবেদনের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি শেষে আগামী ১৬ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে মামলা দুটির বাদী ট্রান্সকমের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ্ হক পৃথক দুটি রিভিশন আবেদন করেন। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম রিভিশন আবেদন দুটির পক্ষে শুনানি করেন। তিনি জানান, রিভিশন আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৬ কর্মকর্তার জামিন বাতিল হবে কিনা এবং রিমান্ড হবে কিনা তা নির্ধারণ হবে।

মামলার অন্য অসামিরা হলেন ট্রান্সকম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সেক্রেটারি) আবু ইউসূফ মো. সিদ্দিক।

শাযরেহ্ হকের আইনজীবী আমিনুল হক জানান, লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ্ হক ও ছেলে আরশাদ ওলিউর রহমানের ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে শেয়ার ট্রান্সফারের যে ভুয়া দলির তৈরি করে আরজেএসসিতে দাখিল করার অভিযোগ সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে, সেসব দলিলের মূল কপি পাওয়া যাচ্ছে না। এই মামলার তদন্তের স্বার্থে মূল দলিল প্রয়োজন। এছাড়াও আসামিরা জামিনে থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদও করা যাচ্ছে না।

এজন্য গত ২৮ মে আসামিদের জামিন বাতিল করে পৃথক দুই মামলার একটিতে ৭ দিন ও আরেকটিতে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক দুটি আবেদন করা হয়। ২৯ মে সেই আবেদন দুটি খারিজ করেছেন আদালত।

আইনজীবী আরও জানান, আদালতের ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পৃথক দুটি রিভিশন আবেদন করে নিম্ন আদালতের জামিন আদেশ ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুরের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়েছে এবং তদন্তের স্বার্থে আসামিদের জামিন বাতিল করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে এই মামলাগুলো গুলশান থানায় দায়ের করেন লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ্ হক। এরপর এই মামলার কয়েক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে তারা জামিন পান। অন্যদিকে বিদেশে থাকা সিমিন রহমান দেশে এসে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত