নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত তিন মাসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৪৩ রোহিঙ্গা নাগরিককে ভুয়া পাসপোর্ট করে দিয়েছে একটি চক্র। দেশের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এসব পাসপোর্ট করে দেওয়া শক্তিশালী চক্রের সদস্য, রোহিঙ্গা নাগরিক এবং দুজন আনসার সদস্যসহ ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) দলের লালবাগ বিভাগ।
আজ সোমবার মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদ।
এই চক্রটি শুধু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নয়, দাগি আসামি ও অপরাধীদেরও পাসপোর্ট করে দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই কাজে চক্রটি তিন ধাপে কাজ করে। প্রথম ধাপে একটি চক্র কক্সবাজার, বান্দরবান এলাকা থেকে প্রথমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষদের সংগ্রহ করে। তারপর দ্বিতীয় ধাপে তাদের জন্মসনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজ করে আরেকটি চক্র। সর্বশেষ চক্রটি বানিয়ে দেয় পাসপোর্ট।
ডিবি জানায়, রাজধানীর আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও বাড্ডায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিপুল পরিমাণ পাসপোর্টসংক্রান্ত ডকুমেন্টস, পাসপোর্ট এবং কম্পিউটারসহ তিন রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষসহ চক্রের ২০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবি দল। গ্রেপ্তারদের হেফাজত থেকে মোট ১৭টি পাসপোর্ট, ১৩টি এনআইডি, ৫টি কম্পিউটার, ৩টি প্রিন্টার, ২৪টি মোবাইল ফোন এবং পাসপোর্ট তৈরির সংশ্লিষ্ট শত শত দলিলপত্র জব্দ করেছে ডিবি।
গ্রেপ্তারের পর তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে ডিবি দাবি করেছে, ছয় ঘণ্টার মধ্যে জন্মসনদের জন্য চক্রটি ৫ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা নেয়। তিন দিনের মধ্যে এনআইডি করে দেওয়ার জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে থাকে।
ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার দালালদের মোবাইলে শত শত পাসপোর্ট করে দেওয়ার প্রাসঙ্গিক সফট ডকুমেন্টস, ডেলিভারি স্লিপ পাওয়া গেছে। যার মধ্যে গত তিন মাসে রোহিঙ্গাদের জন্য করা ১৪৩টি পাসপোর্ট ইতিমধ্যে তারা সরবরাহ করেছে। ২০১৯ সাল থেকে চক্রটি রোহিঙ্গাদের, বাংলাদেশি দাগি অপরাধীদের ভিন্ন নাম ও ঠিকানায় হাজার হাজার পাসপোর্ট করে দিয়েছে। চক্রটি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, রংপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ ও বরিশাল জেলার ঠিকানা ব্যবহার করে জন্মসনদ ও এনআইডি বানায়। তারপর বানায় পাসপোর্ট।’
পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে এসবি পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজ করে থাকে, তখন কেন এই জালিয়াতি ধরা পড়ে না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ধরা পড়বে কী করে? একজনের হাতে জন্মসনদ, এনআইডি তুলে দেওয়ার পর সে যখন জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট করতে দেবে, তখন তো পুলিশ দেখে মোবাইল নম্বর। সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে সে সব বলে দেয়, কারণ তাকে তো সব শেখানো হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ বর্তমান ঠিকানাতে যায়। রোহিঙ্গা নাগরিক স্থায়ী ঠিকানা কক্সবাজার দিলেও বর্তমান ঠিকানা সে ব্যবহার করে।’
পাসপোর্ট জালিয়াতি কিংবা অবৈধভাবে পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
গত তিন মাসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৪৩ রোহিঙ্গা নাগরিককে ভুয়া পাসপোর্ট করে দিয়েছে একটি চক্র। দেশের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এসব পাসপোর্ট করে দেওয়া শক্তিশালী চক্রের সদস্য, রোহিঙ্গা নাগরিক এবং দুজন আনসার সদস্যসহ ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) দলের লালবাগ বিভাগ।
আজ সোমবার মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদ।
এই চক্রটি শুধু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নয়, দাগি আসামি ও অপরাধীদেরও পাসপোর্ট করে দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই কাজে চক্রটি তিন ধাপে কাজ করে। প্রথম ধাপে একটি চক্র কক্সবাজার, বান্দরবান এলাকা থেকে প্রথমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষদের সংগ্রহ করে। তারপর দ্বিতীয় ধাপে তাদের জন্মসনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজ করে আরেকটি চক্র। সর্বশেষ চক্রটি বানিয়ে দেয় পাসপোর্ট।
ডিবি জানায়, রাজধানীর আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও বাড্ডায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিপুল পরিমাণ পাসপোর্টসংক্রান্ত ডকুমেন্টস, পাসপোর্ট এবং কম্পিউটারসহ তিন রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষসহ চক্রের ২০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবি দল। গ্রেপ্তারদের হেফাজত থেকে মোট ১৭টি পাসপোর্ট, ১৩টি এনআইডি, ৫টি কম্পিউটার, ৩টি প্রিন্টার, ২৪টি মোবাইল ফোন এবং পাসপোর্ট তৈরির সংশ্লিষ্ট শত শত দলিলপত্র জব্দ করেছে ডিবি।
গ্রেপ্তারের পর তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে ডিবি দাবি করেছে, ছয় ঘণ্টার মধ্যে জন্মসনদের জন্য চক্রটি ৫ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা নেয়। তিন দিনের মধ্যে এনআইডি করে দেওয়ার জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে থাকে।
ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার দালালদের মোবাইলে শত শত পাসপোর্ট করে দেওয়ার প্রাসঙ্গিক সফট ডকুমেন্টস, ডেলিভারি স্লিপ পাওয়া গেছে। যার মধ্যে গত তিন মাসে রোহিঙ্গাদের জন্য করা ১৪৩টি পাসপোর্ট ইতিমধ্যে তারা সরবরাহ করেছে। ২০১৯ সাল থেকে চক্রটি রোহিঙ্গাদের, বাংলাদেশি দাগি অপরাধীদের ভিন্ন নাম ও ঠিকানায় হাজার হাজার পাসপোর্ট করে দিয়েছে। চক্রটি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, রংপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ ও বরিশাল জেলার ঠিকানা ব্যবহার করে জন্মসনদ ও এনআইডি বানায়। তারপর বানায় পাসপোর্ট।’
পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে এসবি পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজ করে থাকে, তখন কেন এই জালিয়াতি ধরা পড়ে না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ধরা পড়বে কী করে? একজনের হাতে জন্মসনদ, এনআইডি তুলে দেওয়ার পর সে যখন জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট করতে দেবে, তখন তো পুলিশ দেখে মোবাইল নম্বর। সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে সে সব বলে দেয়, কারণ তাকে তো সব শেখানো হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ বর্তমান ঠিকানাতে যায়। রোহিঙ্গা নাগরিক স্থায়ী ঠিকানা কক্সবাজার দিলেও বর্তমান ঠিকানা সে ব্যবহার করে।’
পাসপোর্ট জালিয়াতি কিংবা অবৈধভাবে পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিশ্বের একমাত্র স্বীকৃত উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বিমানে স্থাপিত উড়ন্ত হাসপাতালটি চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিশেষায়িত হাসপাতালটি চক্ষুরোগসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে ১৮ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে অবস্থান করবে...
১৪ মিনিট আগে২০২৩ সালের ২২ আগস্ট সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক কাটাগাঙ্গের এ লোহার সেতু ভেঙে নদীতে ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ট্রাকচালক ওমর ফারুক ও চালকের সহকারী জাকির হোসেন কলিন্স নিহত হয়েছিলেন। এরপর সপ্তাহখানেক সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকার পর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি আবারও জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়...
১৮ মিনিট আগেফেনীর পরশুরামে কলেজছাত্র এমরান হোসেন রিফাত হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেসিলেটে ২৮০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আকবর মিয়া (৪২) নামের এক ট্রাকচালককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে