নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় আলোচনায় আসা চিকিৎসক সংযুক্তা সাহা বলেছেন, ফেসবুক লাইভ করা নিয়ে যেহেতু এখন কথা উঠেছে তিনি এ বিষয়টি ভেবে দেখবেন। আর নিজের বিএমডিসির নিবন্ধন নবায়ন নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টা এমন নয় যে আমার বিএমডিসির নিবন্ধন নেই, নিবন্ধন আছে। কাজের ব্যস্ততায় আমি তো বাসায় আসারই সময় পাই না। নিবন্ধন নবায়ন করব কখন? তবে এটা আমার ভুল হয়েছে, আরও আগেই নিবন্ধন নবায়ন করা উচিত ছিল।’

আজ শনিবার বেলা ১১টায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংযুক্তা সাহা বলেন, ‘নতুন চাকরির ক্ষেত্রে আমাদের কাগজপত্র ঠিক করতে হয়। আমার নতুন কোনো চাকরি হয়নি তাই কাগজপত্র ঠিক করা হয়নি। বিএমডিসিতে পুনর্নিবন্ধন একটা ফি দিতে হয়। গত বছর থেকে অনলাইনে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে—এটা আমার জানা ছিল না।’

নিবন্ধনের জন্য ১৩ বছরে একবারও সময় হয়নি—জানতে চাইলে, তিনি বলেন, ‘আগে যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতাম তারাই এই বিষয়গুলো দেখত। সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেটি করেনি।’

রোগীদের নিয়ে ফেসবুক লাইভ প্রসঙ্গে এই চিকিৎসক বলেন, ‘যেসব রোগীদের আমি লাইভে নিয়ে এসেছি, তাঁরা স্বপ্রণোদিত হয়েই এসেছেন। তাঁরা আমাকে অনুরোধ করতেন, প্লিজ প্লিজ ম্যাডাম, আমাকে আপনার লাইভে নেন। আমাকে অন্য জায়গায় বলেছিল অপারেশন করতে, কিন্তু আমি আপনার কাছে করাব বলে চলে এসেছি। কথাগুলো আমাকে লাইভে এসে বলার সুযোগ দিন। এ রকম অনেক রিকোয়েস্ট আসত আমার কাছে।’

সংযুক্তা আরও বলেন, ‘ফেসবুক লাইভে রোগীদের বোঝানো যায় যে আগে সিজার হলেও পরে নরমাল ডেলিভারি করা যায়। এই ইনফর্মেশনগুলো দেওয়ার জন্যই আমি প্রযুক্তিটাকে ব্যবহার করেছি। এখন যদি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভরা মনে করেন, এতে হিতে বিপরীত হচ্ছে বা অন্যায় করা হচ্ছে, তাহলে এটা নিয়ে আমাকে আরেকটু ভাবতে হবে। এত দিন তো আমাকে এই বিষয়টি নিয়ে কেউ কিছু বলেনি। এখন বিষয়টি নিয়ে যেহেতু কথা হচ্ছে, আমি ভেবে দেখব।’

৯ জুন রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে সি-সেকশন সার্জারির সময় এক নবজাতকের মৃত্যু হয় এবং মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। কয়েক দিন পরে মা মাহবুবা রহমান আঁখি নামের অপর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলা ও মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। সেন্ট্রাল হাসপাতালে সংযুক্তা সাহার অধীনে ভর্তি হয়েছিলেন আঁখি। যদিও তিনি তখন দেশেই ছিলেন না।