তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
নির্মাণকাজের দায়িত্ব পাওয়া বেসরকারি আবাসনপ্রতিষ্ঠান কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংস ছয় দফা সময় বাড়িয়েও কাজ শেষ না করায় বিপাকে পড়েছে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)। সাধারণ মানুষকে ওই ৫ ভবনের ৫২০টি ফ্ল্যাট ইতিমধ্যে বরাদ্দ দিলেও নিজেদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তা বুঝিয়ে দিতে পারছে না সংস্থাটি। নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জাগৃকের চুক্তির মেয়াদের পরও পেরিয়ে গেছে ছয় বছরের বেশি সময়।
জাগৃক সরকারি আবাসন প্রকল্পে (স্বপ্ননগর দ্বিতীয় পর্যায়) মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনে ১৫টি ১৪ তলা ভবন নির্মাণের কাজ হাতে নেয়। ১ হাজার ৫৬০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের এসব ভবনের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। এর মধ্যে কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংসকে দেওয়া হয়েছিল প্রায় ২৫০ কোটি টাকার ৫টি ভবন তৈরির কাজ। এ প্রকল্পের সময় চার দফা বাড়িয়েও কাজ শেষ করতে পারছে না কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংস। একটি বেসমেন্টসহ ৫টি ১৪ তলা ভবনে ৫২০টি ফ্ল্যাট ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষকে বরাদ্দ দিয়েছে জাগৃক। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা বুঝিয়ে দিতে পারছে না। এ বিষয়ে জাগৃকের পক্ষ থেকে ঠিকাদার কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংস লিমিটেডকে কয়েকবার তাগাদাপত্র দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাগৃকের নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা ডিভিশন-১) মো. কায়সার ইবনে সাঈখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫টি ভবন নিয়ে কাজের একটু সমস্যা হচ্ছে। আমরা কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংসকে চিঠি দিয়েছি। এরপরও কাজ না হলে বিধিমতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চুক্তি অনুযায়ী ভবনগুলো নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের মাঝামাঝি। কিন্তু তা শেষ করতে পারেনি কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংস। এরপর দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে তা ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। এরপরও কাজ শেষ না হওয়ায় আরেক দফা বাড়িয়ে একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এভাবে মেয়াদ বাড়ানো হয় আরও তিন দফা। সর্বশেষ মেয়াদ বেড়েছে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তাতে কাজ শেষের সময় আর মাত্র দুই মাস থাকলেও প্রকল্প সমাপ্তিতে প্রয়োজনীয় অগ্রগতি নেই।
এ বিষয়ে জানতে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মাসুদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. ইকরাম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বেশ কিছু টাকা গৃহায়ণ আটকে রেখেছিল। তা না দেওয়ার কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল। এখন আবার কাজ শুরু করেছি।’
জাগৃক সূত্র অবশ্য বলছে, আইনি জটিলতা এড়ানোর জন্য ঠিকাদার কৌশলে নামমাত্র শ্রমিক দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে পিপিআর অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তাদের কয়েকটি চিঠি দেওয়া হলেও খুব একটা অগ্রগতি হচ্ছে না। সূত্র বলেছে, ঠিকাদার কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংসকে চেকের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হলেও তা ব্যাংকে জমা হওয়ার পর ঋণ হিসেবে কেটে নেয়। ধারণা করা হচ্ছে, এসব ভবন দেখিয়ে ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে ঠিকাদার। ফলে তাদের সহযোগিতা করার কোনো সুযোগ থাকছে না।
জাগৃক বলছে, এখন পর্যন্ত ৫টি ভবনে কমপক্ষে ৮০ কোটি টাকার কাজ বাকি রয়েছে। সেখানে প্লাস্টার, গাঁথুনি, দরজা-জানালা, থাই, লিফট রুম, বাথরুম এবং স্যানিটারি ফিটিংসের কাজ একেবারেই করা হয়নি।
এ বিষয়ে ৩ অক্টোবর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার ইবনে শাঈখ কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংসকে দেওয়া চিঠিতে অনেকবার সময় বাড়ানোর পরও কাজ শেষ না হওয়ায় কর্তৃপক্ষের অসন্তোষের কথা অবগত করেন। চিঠিতে ঠিকাদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মোট কতবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, তার বিশদ উল্লেখ করা হয়। এতে নির্বাহী প্রকৌশলী উল্লেখ করেন, বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিয়মিত সাইট পরিদর্শন করে কাজের ধীরগতির জন্য চরম অসন্তোষ ও হতাশা প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাগৃকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ঢাকা সার্কেল) মো. হারিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সর্বশেষ আমরা বুধবার ঠিকাদারকে নিয়ে বসেছিলাম। তাঁরা আরও কিছুদিন সময় চেয়েছেন। আমরাও সময় দিয়ে পরিস্থিতি ও কাজের মূল্যায়ন করব। এতে কাজ না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নির্মাণকাজের দায়িত্ব পাওয়া বেসরকারি আবাসনপ্রতিষ্ঠান কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংস ছয় দফা সময় বাড়িয়েও কাজ শেষ না করায় বিপাকে পড়েছে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)। সাধারণ মানুষকে ওই ৫ ভবনের ৫২০টি ফ্ল্যাট ইতিমধ্যে বরাদ্দ দিলেও নিজেদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তা বুঝিয়ে দিতে পারছে না সংস্থাটি। নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জাগৃকের চুক্তির মেয়াদের পরও পেরিয়ে গেছে ছয় বছরের বেশি সময়।
জাগৃক সরকারি আবাসন প্রকল্পে (স্বপ্ননগর দ্বিতীয় পর্যায়) মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনে ১৫টি ১৪ তলা ভবন নির্মাণের কাজ হাতে নেয়। ১ হাজার ৫৬০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের এসব ভবনের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। এর মধ্যে কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংসকে দেওয়া হয়েছিল প্রায় ২৫০ কোটি টাকার ৫টি ভবন তৈরির কাজ। এ প্রকল্পের সময় চার দফা বাড়িয়েও কাজ শেষ করতে পারছে না কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংস। একটি বেসমেন্টসহ ৫টি ১৪ তলা ভবনে ৫২০টি ফ্ল্যাট ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষকে বরাদ্দ দিয়েছে জাগৃক। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা বুঝিয়ে দিতে পারছে না। এ বিষয়ে জাগৃকের পক্ষ থেকে ঠিকাদার কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংস লিমিটেডকে কয়েকবার তাগাদাপত্র দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাগৃকের নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা ডিভিশন-১) মো. কায়সার ইবনে সাঈখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫টি ভবন নিয়ে কাজের একটু সমস্যা হচ্ছে। আমরা কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংসকে চিঠি দিয়েছি। এরপরও কাজ না হলে বিধিমতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চুক্তি অনুযায়ী ভবনগুলো নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের মাঝামাঝি। কিন্তু তা শেষ করতে পারেনি কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংস। এরপর দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে তা ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। এরপরও কাজ শেষ না হওয়ায় আরেক দফা বাড়িয়ে একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এভাবে মেয়াদ বাড়ানো হয় আরও তিন দফা। সর্বশেষ মেয়াদ বেড়েছে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তাতে কাজ শেষের সময় আর মাত্র দুই মাস থাকলেও প্রকল্প সমাপ্তিতে প্রয়োজনীয় অগ্রগতি নেই।
এ বিষয়ে জানতে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মাসুদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. ইকরাম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বেশ কিছু টাকা গৃহায়ণ আটকে রেখেছিল। তা না দেওয়ার কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল। এখন আবার কাজ শুরু করেছি।’
জাগৃক সূত্র অবশ্য বলছে, আইনি জটিলতা এড়ানোর জন্য ঠিকাদার কৌশলে নামমাত্র শ্রমিক দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে পিপিআর অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তাদের কয়েকটি চিঠি দেওয়া হলেও খুব একটা অগ্রগতি হচ্ছে না। সূত্র বলেছে, ঠিকাদার কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংসকে চেকের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হলেও তা ব্যাংকে জমা হওয়ার পর ঋণ হিসেবে কেটে নেয়। ধারণা করা হচ্ছে, এসব ভবন দেখিয়ে ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে ঠিকাদার। ফলে তাদের সহযোগিতা করার কোনো সুযোগ থাকছে না।
জাগৃক বলছে, এখন পর্যন্ত ৫টি ভবনে কমপক্ষে ৮০ কোটি টাকার কাজ বাকি রয়েছে। সেখানে প্লাস্টার, গাঁথুনি, দরজা-জানালা, থাই, লিফট রুম, বাথরুম এবং স্যানিটারি ফিটিংসের কাজ একেবারেই করা হয়নি।
এ বিষয়ে ৩ অক্টোবর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার ইবনে শাঈখ কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংসকে দেওয়া চিঠিতে অনেকবার সময় বাড়ানোর পরও কাজ শেষ না হওয়ায় কর্তৃপক্ষের অসন্তোষের কথা অবগত করেন। চিঠিতে ঠিকাদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মোট কতবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, তার বিশদ উল্লেখ করা হয়। এতে নির্বাহী প্রকৌশলী উল্লেখ করেন, বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিয়মিত সাইট পরিদর্শন করে কাজের ধীরগতির জন্য চরম অসন্তোষ ও হতাশা প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাগৃকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ঢাকা সার্কেল) মো. হারিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সর্বশেষ আমরা বুধবার ঠিকাদারকে নিয়ে বসেছিলাম। তাঁরা আরও কিছুদিন সময় চেয়েছেন। আমরাও সময় দিয়ে পরিস্থিতি ও কাজের মূল্যায়ন করব। এতে কাজ না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
২ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে