মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মিছিলে একের পর এক ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা অভিযোগ করেছে এ ঘটনা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা ঘটিয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা বলছে তারা নিজেরাই নিজেদের মিছিলে ককটেল মেরে আমাদের ওপর দায় দিচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের মৃধাবাড়ি মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, স্থানীয় ও আহত সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর-০৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগমের পক্ষে ঈগল মার্কার মিছিল বের করেন তাঁর কর্মীসমর্থকরা। এ সময় নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের লোকজন বাঁধা দেন। পরে মিছিলে হঠাৎ অর্ধশত হাতবোমা নিক্ষেপ করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হাতবোমায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি ও বেশ কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
আহতরা হলেন লক্ষীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন গেন্দু কাজী (৫০), ভ্যান চালক সোহেল হোসেন (৩৫), ইয়াদুল হক (৩২), ইয়াকুব সরদার (৩৬), সাইদুর রহমান (৩৪) প্রমুখ।
কালকিনির লক্ষীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন গেন্দু কাজী বলেন, ‘আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণা করছিলাম। এ সময় হঠাৎ হামলা করেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নৌকার সমর্থক ফজলুল হক বেপারী ও তাঁর লোকজন। এ সময় তারা ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে করে আমরা কয়েকজন আহত হয়েছি। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।’
অপরদিকে নৌকার সমর্থক ও লক্ষীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক বেপারী বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন বোমা মেরে নিজেরাই আহত হয়েছে। আমরা শুধু প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি। তারা আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ করেছে।’
স্বতন্ত্রপ্রার্থীর সমর্থক কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিন বলেন, বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এর কাছ থেকে (আজ) বৃহস্পতিবার সমাবেশ ও মিছিল করার জন্য আবেদন করে অনুমতি নেওয়া হয়। বিকেলে সমাবেশ করে মিছিল নিয়ে লক্ষীপুর বাজারে গেলে নৌকার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে, বোমা মারে। এতে করে লক্ষীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়াম্যানসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছি। আমাদের কথা হলো, আমরা অনুমতি নিয়ে সমাবেশ ও মিছিল করার পরও কেন আমাদের ওপর হামলা হলো।
নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের সমর্থক কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান সরদার বলেন, আসলে এই ঘটনার কথা আমি জানি না। তবে আমার মনে হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন নিজেরাই এই ঘটনা ঘটিয়ে উল্টো আমাদের ওপর দোষারোপ করছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করলেই সঠিক ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে আমি মনে করি।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হাসান বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মাদারীপুর-০৩ আসনের নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও এই আসনের সংসদ সদস্য। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদারীপুরের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য।
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মিছিলে একের পর এক ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা অভিযোগ করেছে এ ঘটনা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা ঘটিয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা বলছে তারা নিজেরাই নিজেদের মিছিলে ককটেল মেরে আমাদের ওপর দায় দিচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের মৃধাবাড়ি মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, স্থানীয় ও আহত সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর-০৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগমের পক্ষে ঈগল মার্কার মিছিল বের করেন তাঁর কর্মীসমর্থকরা। এ সময় নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের লোকজন বাঁধা দেন। পরে মিছিলে হঠাৎ অর্ধশত হাতবোমা নিক্ষেপ করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হাতবোমায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি ও বেশ কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
আহতরা হলেন লক্ষীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন গেন্দু কাজী (৫০), ভ্যান চালক সোহেল হোসেন (৩৫), ইয়াদুল হক (৩২), ইয়াকুব সরদার (৩৬), সাইদুর রহমান (৩৪) প্রমুখ।
কালকিনির লক্ষীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন গেন্দু কাজী বলেন, ‘আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণা করছিলাম। এ সময় হঠাৎ হামলা করেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নৌকার সমর্থক ফজলুল হক বেপারী ও তাঁর লোকজন। এ সময় তারা ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে করে আমরা কয়েকজন আহত হয়েছি। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।’
অপরদিকে নৌকার সমর্থক ও লক্ষীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক বেপারী বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন বোমা মেরে নিজেরাই আহত হয়েছে। আমরা শুধু প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি। তারা আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ করেছে।’
স্বতন্ত্রপ্রার্থীর সমর্থক কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিন বলেন, বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এর কাছ থেকে (আজ) বৃহস্পতিবার সমাবেশ ও মিছিল করার জন্য আবেদন করে অনুমতি নেওয়া হয়। বিকেলে সমাবেশ করে মিছিল নিয়ে লক্ষীপুর বাজারে গেলে নৌকার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে, বোমা মারে। এতে করে লক্ষীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়াম্যানসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছি। আমাদের কথা হলো, আমরা অনুমতি নিয়ে সমাবেশ ও মিছিল করার পরও কেন আমাদের ওপর হামলা হলো।
নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের সমর্থক কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান সরদার বলেন, আসলে এই ঘটনার কথা আমি জানি না। তবে আমার মনে হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন নিজেরাই এই ঘটনা ঘটিয়ে উল্টো আমাদের ওপর দোষারোপ করছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করলেই সঠিক ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে আমি মনে করি।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হাসান বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মাদারীপুর-০৩ আসনের নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও এই আসনের সংসদ সদস্য। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসা. তাহমিনা বেগম মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদারীপুরের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
১৯ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
২ ঘণ্টা আগে