নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোট গণনার সময় মারামারি ও এক আইনজীবীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপি-সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে ৪ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুপুরে ডিবি পুলিশ রুহুল কুদ্দুসকে আদালতে হাজির করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে রুহুল কুদ্দুসের পক্ষে কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত রুহুল কুদ্দুসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং অন্য আবেদনের বিষয়ে কারা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
রুহুল কুদ্দুস কাজলের আইনজীবী ফারুক ফারুকী বলেন, এই মামলায় রুহুল কুদ্দুসের পক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়েছে। এই কারণে এই আদালতে জামিনের আবেদন না করে কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার পর পল্টনের চেম্বার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্ট বারে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় গত শুক্রবার ২০ জনের নাম উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। এতে এক নম্বর আসামি করা হয় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীকে। দুই নম্বর আসামি করা হয় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে। মারামারির ঘটনায় আহত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ) বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।
মামলায় আইনজীবী যুথী ও কাজল ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন—অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আরিফ, সুমন, তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল, অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, তরিকুল ও সোহাগ। এ ছাড়া মামলায় ৩০-৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘আসামিরা যুথীর নির্দেশে এবং প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির নিচতলার শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে অস্ত্র হাতে জোর করে প্রবেশ করে। অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় নির্বাচন সাবকমিটির সদস্যদের গালিগালাজ করে। দুজনের হাতে লোহার রড ছিল। তারা সাইফুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি মাথায় আঘাত পান। অন্য আসামিরা কাঠের লাঠি, কাঠের ও প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে অতর্কিতভাবে এলোপাতাড়ি মারধর করে।’
এ ছাড়া তারা ব্যারিস্টার জাকারিয়া হাবিবকে মারধর করে, এতে তিনি আহত হন। নাহিদ সুলতানা যুথী আইনজীবী রিনা বেগমকে চড়থাপ্পড় ও হুমকি দেন। হামলাকারীরা অডিটোরিয়ামের ভেতরে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর ও অরাজকতা সৃষ্টি করে। এতে নির্বাচনী দায়িত্বরত সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, নির্বাচনী অন্যান্য কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে ভন্ডুল হয়ে যায়।
এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়, নির্বাচনের ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণার কাজ শেষ না হলেও নাহিদ সুলতানা যুথীর নেতৃত্বে তাঁকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করার অবৈধ দাবিতে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে মামলার পর, সেদিন রাতেই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার উসমান চৌধুরী, আওয়ামীপন্থী এজাহারভুক্ত আসামি আইনজীবী কাজী বশির আহম্মেদ, হাসানুজ্জামান তুষার, তরিকুল ইসলাম ও এনামুল হক সুমনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। গত মঙ্গলবার তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোট গণনার সময় মারামারি ও এক আইনজীবীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপি-সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে ৪ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুপুরে ডিবি পুলিশ রুহুল কুদ্দুসকে আদালতে হাজির করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে রুহুল কুদ্দুসের পক্ষে কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত রুহুল কুদ্দুসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং অন্য আবেদনের বিষয়ে কারা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
রুহুল কুদ্দুস কাজলের আইনজীবী ফারুক ফারুকী বলেন, এই মামলায় রুহুল কুদ্দুসের পক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়েছে। এই কারণে এই আদালতে জামিনের আবেদন না করে কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার পর পল্টনের চেম্বার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্ট বারে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় গত শুক্রবার ২০ জনের নাম উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। এতে এক নম্বর আসামি করা হয় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীকে। দুই নম্বর আসামি করা হয় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে। মারামারির ঘটনায় আহত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ) বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।
মামলায় আইনজীবী যুথী ও কাজল ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন—অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আরিফ, সুমন, তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল, অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, তরিকুল ও সোহাগ। এ ছাড়া মামলায় ৩০-৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘আসামিরা যুথীর নির্দেশে এবং প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির নিচতলার শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে অস্ত্র হাতে জোর করে প্রবেশ করে। অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় নির্বাচন সাবকমিটির সদস্যদের গালিগালাজ করে। দুজনের হাতে লোহার রড ছিল। তারা সাইফুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি মাথায় আঘাত পান। অন্য আসামিরা কাঠের লাঠি, কাঠের ও প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে অতর্কিতভাবে এলোপাতাড়ি মারধর করে।’
এ ছাড়া তারা ব্যারিস্টার জাকারিয়া হাবিবকে মারধর করে, এতে তিনি আহত হন। নাহিদ সুলতানা যুথী আইনজীবী রিনা বেগমকে চড়থাপ্পড় ও হুমকি দেন। হামলাকারীরা অডিটোরিয়ামের ভেতরে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর ও অরাজকতা সৃষ্টি করে। এতে নির্বাচনী দায়িত্বরত সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, নির্বাচনী অন্যান্য কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে ভন্ডুল হয়ে যায়।
এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়, নির্বাচনের ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণার কাজ শেষ না হলেও নাহিদ সুলতানা যুথীর নেতৃত্বে তাঁকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করার অবৈধ দাবিতে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে মামলার পর, সেদিন রাতেই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার উসমান চৌধুরী, আওয়ামীপন্থী এজাহারভুক্ত আসামি আইনজীবী কাজী বশির আহম্মেদ, হাসানুজ্জামান তুষার, তরিকুল ইসলাম ও এনামুল হক সুমনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। গত মঙ্গলবার তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিন ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের ‘অযোগ্য’ বলছে একটি পক্ষ। আরেক পক্ষের অভিযোগ, আহ্বায়ক কমিটিতে এখন ‘ভূমিদস্যু’ ও ‘চাঁদাবাজদের’ দৌরাত্ম্য। তাই আলাদা হয়েছেন তাঁরা। তবে নগর বিএনপির আহ্বায়ক বলছেন, দ্বন্দ্ব-বিভাজনের কথা তাঁর জানা নেই।
২৩ মিনিট আগেরাজধানীর আজিমপুরে অপহৃত শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার রাতেই তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
৪৩ মিনিট আগেনিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৯ ঘণ্টা আগে