নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসকারী নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর ৯৮ শতাংশ নারীই নিরাপদ গোসলখানা পান না। উন্মুক্ত স্থানে গোসল করতে বাধ্য হন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ নারীই মৌখিক ও শারীরিকভাবে হয়রানির শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ শনিবার ঢাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
জরিপ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ওয়াশ স্পেশালিস্ট এসএম তারিকুজ্জামান। তিনি জানান, এমপাওয়ারিং গার্লস ফর ইকোনমিক অপরচুনিটি অ্যান্ড সেফ স্পেস-ই গ্লস নামক একটি মডেল প্রজেক্টের আওতায় এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। ঢাকা শহরের ঘনবসতিপূর্ণ চার এলাকা—ধলপুর, মালেক মেম্বর কলোনি, আইজি গেট কলোনি এবং ম্যাচ কলোনিতে ১৫টি গোসলখানা স্থাপনের কাজ করে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি)। এই চার কলোনির মানুষদের, বিশেষ করে মেয়েদের ওপর সমীক্ষাটি করা হয়। যেখানে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী ৪১৭ জন মেয়ে সমীক্ষায় অংশ নেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্মুক্ত স্থানে গোসল করতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন এসব এলাকার নারীরা। দিনে কিংবা রাতে টয়লেট ব্যবহার করতে তাদের পানি আনতে দূরে যেতে হয়। টয়লেট-গোসলখানায় দরজার লক, ওপরের ছাদ না থাকায় যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের মুখে পড়তে হয় তাঁদের।
কী ধরনের গোসলখানা ব্যবহার করা হয়, এমন প্রশ্নের উত্তরে জরিপে অংশ নেওয়া ৯৮ শতাংশ নারীই বলেন, তাঁরা উন্মুক্ত গোসলখানা ব্যবহার করতে বাধ্য হন। উন্মুক্ত গোসলখানাগুলোর মধ্যে মাত্র ১৫ শতাংশে নারীদের জন্য পৃথক জায়গা রয়েছে। প্রতিটি গোসলখানার বিপরীতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা গড়ে ৩৫ থেকে ৪৫ জন। সর্বোচ্চ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭০ এবং সর্বনিম্ন ২০।
উন্মুক্ত গোসলখানা ব্যবহারকারী নারীরা জানান, গোসলের সময় আশপাশের উঁচু দালানকোঠা থেকে ছবি তোলা বা ভিডিও ধারণের মতো ঘটনাও ঘটে। তাঁরা রাতে টয়লেটে যেতে ভয় পান। ৬৮ দশমিক ৬ শতাংশ কিশোরী ও যুব নারী বলেন, টয়লেট ব্যবহার করতে গিয়ে কোনো না কোনো সময় সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৯ দশমিক ২ শতাংশ নারীই মৌখিক হয়রানির শিকার এবং ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলে জানান।
এ ছাড়া এসব কলোনির টয়লেট বা গোসলখানাগুলোতে স্যানিটারি সামগ্রীর ব্যবস্থা না থাকায় ঋতুস্রাবকালীন স্বাস্থ্যবিধি পালনেও জটিলতায় পড়েন নারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মানিক কুমার সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় ৫ হাজারের মতো নিম্নবিত্ত অধ্যুষিত এলাকা রয়েছে। জমির অপ্রতুলতার পাশাপাশি পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জও এখানে বিদ্যমান। আর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে কিশোরী ও যুব নারীদের ওপর। নিরাপদ গোসলখানার অভাবে পুরুষ ও নারীদের এক সঙ্গে গোসলের কাজ সারতে হয় বলে, গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন হয়। সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকে।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, একটি গোসলখানায় যখন অনেক মানুষ গোসল করে, তখন তাদের চাহিদা পূরণে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। নারীদের ওপর এর প্রভাব আরও বেশি। বিশেষ করে ঋতুস্রাবের সময় সংকট হয়ে দাঁড়ায় অভাবনীয়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিও তৈরি হয়। সহিংসতার ঝুঁকি হ্রাসের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের নারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিশ্চিতে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিরাপদ গোসলখানা নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তাঁরা।
ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসকারী নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর ৯৮ শতাংশ নারীই নিরাপদ গোসলখানা পান না। উন্মুক্ত স্থানে গোসল করতে বাধ্য হন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ নারীই মৌখিক ও শারীরিকভাবে হয়রানির শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ শনিবার ঢাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
জরিপ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ওয়াশ স্পেশালিস্ট এসএম তারিকুজ্জামান। তিনি জানান, এমপাওয়ারিং গার্লস ফর ইকোনমিক অপরচুনিটি অ্যান্ড সেফ স্পেস-ই গ্লস নামক একটি মডেল প্রজেক্টের আওতায় এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। ঢাকা শহরের ঘনবসতিপূর্ণ চার এলাকা—ধলপুর, মালেক মেম্বর কলোনি, আইজি গেট কলোনি এবং ম্যাচ কলোনিতে ১৫টি গোসলখানা স্থাপনের কাজ করে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি)। এই চার কলোনির মানুষদের, বিশেষ করে মেয়েদের ওপর সমীক্ষাটি করা হয়। যেখানে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী ৪১৭ জন মেয়ে সমীক্ষায় অংশ নেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্মুক্ত স্থানে গোসল করতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন এসব এলাকার নারীরা। দিনে কিংবা রাতে টয়লেট ব্যবহার করতে তাদের পানি আনতে দূরে যেতে হয়। টয়লেট-গোসলখানায় দরজার লক, ওপরের ছাদ না থাকায় যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের মুখে পড়তে হয় তাঁদের।
কী ধরনের গোসলখানা ব্যবহার করা হয়, এমন প্রশ্নের উত্তরে জরিপে অংশ নেওয়া ৯৮ শতাংশ নারীই বলেন, তাঁরা উন্মুক্ত গোসলখানা ব্যবহার করতে বাধ্য হন। উন্মুক্ত গোসলখানাগুলোর মধ্যে মাত্র ১৫ শতাংশে নারীদের জন্য পৃথক জায়গা রয়েছে। প্রতিটি গোসলখানার বিপরীতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা গড়ে ৩৫ থেকে ৪৫ জন। সর্বোচ্চ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭০ এবং সর্বনিম্ন ২০।
উন্মুক্ত গোসলখানা ব্যবহারকারী নারীরা জানান, গোসলের সময় আশপাশের উঁচু দালানকোঠা থেকে ছবি তোলা বা ভিডিও ধারণের মতো ঘটনাও ঘটে। তাঁরা রাতে টয়লেটে যেতে ভয় পান। ৬৮ দশমিক ৬ শতাংশ কিশোরী ও যুব নারী বলেন, টয়লেট ব্যবহার করতে গিয়ে কোনো না কোনো সময় সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৯ দশমিক ২ শতাংশ নারীই মৌখিক হয়রানির শিকার এবং ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলে জানান।
এ ছাড়া এসব কলোনির টয়লেট বা গোসলখানাগুলোতে স্যানিটারি সামগ্রীর ব্যবস্থা না থাকায় ঋতুস্রাবকালীন স্বাস্থ্যবিধি পালনেও জটিলতায় পড়েন নারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মানিক কুমার সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় ৫ হাজারের মতো নিম্নবিত্ত অধ্যুষিত এলাকা রয়েছে। জমির অপ্রতুলতার পাশাপাশি পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জও এখানে বিদ্যমান। আর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে কিশোরী ও যুব নারীদের ওপর। নিরাপদ গোসলখানার অভাবে পুরুষ ও নারীদের এক সঙ্গে গোসলের কাজ সারতে হয় বলে, গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন হয়। সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকে।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, একটি গোসলখানায় যখন অনেক মানুষ গোসল করে, তখন তাদের চাহিদা পূরণে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। নারীদের ওপর এর প্রভাব আরও বেশি। বিশেষ করে ঋতুস্রাবের সময় সংকট হয়ে দাঁড়ায় অভাবনীয়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিও তৈরি হয়। সহিংসতার ঝুঁকি হ্রাসের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের নারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিশ্চিতে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিরাপদ গোসলখানা নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তাঁরা।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
১৪ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৪৪ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
২ ঘণ্টা আগে