গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
নৌ-পথে ইতালি যাওয়ার সময় তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মৃত্যুবরণ করা আট বাংলাদেশির মধ্যে তিনজনের বাড়িই গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায়।
তাঁরা হলেন—উপজেলার রাগদী ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রামের দাদন মজুমদারের ছেলে রিফাত মাতুব্বর (১৮), উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের ফতেপট্টি গ্রামের আবুল কাশেম শেখের ছেলে রাসেল শেখ (১৮) এবং উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের গঙ্গারামপুরের গয়লাকান্দি গ্রামের মো. পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন (২৪)।
ইমরুল কায়েস আপনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ইমরুল কায়েস আপন। গত ৯ মাস আগে তাঁর বাবা স্ট্রোক করেন। লেখাপড়ার খরচ জোগাতে না পেরে ৬ মাস আগে বাড়িতে চলে আসে আপন। বাবার চিকিৎসা ও পরিবারের হাল ধরতে অবৈধ পথে ইতালি যেতে মনস্থির করেন। এ বিষয়ে আপন ও তাঁর পরিবার লিবিয়া প্রবাসী দালাল রহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ১১ লাখ টাকায় ইতালি পাঠানোর চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী প্রথমে ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে লিবিয়ার উদ্দেশ্যে বের হন আপন। লিবিয়াতে গিয়ে ওই দালালের কাছে আশ্রয় নেন। সেখানে অবস্থানকালে ২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারি ১১ লাখ টাকা দালালের কথা মতো একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রেরণ করেন আপনের বাবা। টাকা পাওয়ার পরে আপনকে ইতালি পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দালাল। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মুঠোফোনে আপন তাঁর বাবাকে জানায়, বাড়ির সবাই যেন তাঁর জন্য দোয়া করে। কিছু সময় পরে নৌকাযোগে ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা করবে। সেখানে পৌঁছাতে পারলে পরিবারের সঙ্গে কথা হবে তাঁর। কিন্তু ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে প্রাণ হারান আপন।
আপনের বাড়িতে রয়েছে অসুস্থ বাবা-মা ও ৫ বছরের বোন মিম। আপনের মৃত্যুর খবরে বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শুধু আপন নন; নিহত অন্যদের বাড়িতেও চলছে শোকের মাতম। নৌকাডুবিতে মৃত্যুর খবর শুনে নিহতদের বাড়িতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী।
নিহত ইমরুল কায়েস আপনের অসুস্থ বাবা মো. পান্নু শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল আমার ছেলে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করত। অভাবের কারণে লেখাপড়া বাদ দিয়ে বাড়ি চলে আসে। আত্মীয়-স্বজন অনেকে ইতালিতে গিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করেছে। এ কারণে আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার-দেনা করে ১১ লাখ টাকা গুছিয়ে, আমি আপনকে ইতালিতে পাঠাতে চেয়েছি। এ জন্য আমার আত্মীয়র মাধ্যমে লিবিয়া পাঠাই। সেখান থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি মোবাইলে আমার সঙ্গে কথা হয়। সে কিছু সময় পরে ইতালির দিকে রওনা করবে এ জন্য দোয়া চায়। এরপর আর আমার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চাই।’
আপনের বাবা বলেন, ‘আমার অনেক আত্মীয়-স্বজন আছে যারা এভাবে ইতালিতে গিয়েছে। এতে ভয় আছে জানি; তবে ভাগ্যের ওপর ভরসা করেছিলাম—যদি ভাগ্যে থাকে তাহলে ভালো দিন ফিরবে আমাদের। এ জন্য ছেলেকে পাঠিয়েছি।’
প্রতিবেশী লিলি বেগম বলেন, ‘আপন ভালো ছেলে ছিল, লেখাপড়ায়ও ভালো ছিল। এদের বাড়িতে কান্নাকাটি শুনে আইছি। শুনেছি নৌকা ডুইবগে গেছে। বাইচে আছে না মইরে গেছে কইতে পারি না। কেউ কয় মইরে গেছে, কেউ কয় হাসপাতালে আছে কেউ কয় খোঁজ পাওয়া যায় নাই।’
আপনের প্রতিবেশী এনামুল মাতুব্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপন কখনো মাথা উঁচু করে কথা বলেনি। অভাবের কারণেই সে বিদেশে পাড়ি দেছে। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা কেন যে ভাগ্যে এমনটা রাখল। তবে অবৈধভাবে যেন কেউ বিদেশে না যায় সেই কথাই বলব।’
নৌ-পথে ইতালি যাওয়ার সময় তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মৃত্যুবরণ করা আট বাংলাদেশির মধ্যে তিনজনের বাড়িই গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায়।
তাঁরা হলেন—উপজেলার রাগদী ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রামের দাদন মজুমদারের ছেলে রিফাত মাতুব্বর (১৮), উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের ফতেপট্টি গ্রামের আবুল কাশেম শেখের ছেলে রাসেল শেখ (১৮) এবং উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের গঙ্গারামপুরের গয়লাকান্দি গ্রামের মো. পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন (২৪)।
ইমরুল কায়েস আপনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ইমরুল কায়েস আপন। গত ৯ মাস আগে তাঁর বাবা স্ট্রোক করেন। লেখাপড়ার খরচ জোগাতে না পেরে ৬ মাস আগে বাড়িতে চলে আসে আপন। বাবার চিকিৎসা ও পরিবারের হাল ধরতে অবৈধ পথে ইতালি যেতে মনস্থির করেন। এ বিষয়ে আপন ও তাঁর পরিবার লিবিয়া প্রবাসী দালাল রহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ১১ লাখ টাকায় ইতালি পাঠানোর চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী প্রথমে ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে লিবিয়ার উদ্দেশ্যে বের হন আপন। লিবিয়াতে গিয়ে ওই দালালের কাছে আশ্রয় নেন। সেখানে অবস্থানকালে ২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারি ১১ লাখ টাকা দালালের কথা মতো একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রেরণ করেন আপনের বাবা। টাকা পাওয়ার পরে আপনকে ইতালি পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দালাল। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মুঠোফোনে আপন তাঁর বাবাকে জানায়, বাড়ির সবাই যেন তাঁর জন্য দোয়া করে। কিছু সময় পরে নৌকাযোগে ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা করবে। সেখানে পৌঁছাতে পারলে পরিবারের সঙ্গে কথা হবে তাঁর। কিন্তু ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে প্রাণ হারান আপন।
আপনের বাড়িতে রয়েছে অসুস্থ বাবা-মা ও ৫ বছরের বোন মিম। আপনের মৃত্যুর খবরে বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শুধু আপন নন; নিহত অন্যদের বাড়িতেও চলছে শোকের মাতম। নৌকাডুবিতে মৃত্যুর খবর শুনে নিহতদের বাড়িতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী।
নিহত ইমরুল কায়েস আপনের অসুস্থ বাবা মো. পান্নু শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল আমার ছেলে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করত। অভাবের কারণে লেখাপড়া বাদ দিয়ে বাড়ি চলে আসে। আত্মীয়-স্বজন অনেকে ইতালিতে গিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করেছে। এ কারণে আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার-দেনা করে ১১ লাখ টাকা গুছিয়ে, আমি আপনকে ইতালিতে পাঠাতে চেয়েছি। এ জন্য আমার আত্মীয়র মাধ্যমে লিবিয়া পাঠাই। সেখান থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি মোবাইলে আমার সঙ্গে কথা হয়। সে কিছু সময় পরে ইতালির দিকে রওনা করবে এ জন্য দোয়া চায়। এরপর আর আমার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চাই।’
আপনের বাবা বলেন, ‘আমার অনেক আত্মীয়-স্বজন আছে যারা এভাবে ইতালিতে গিয়েছে। এতে ভয় আছে জানি; তবে ভাগ্যের ওপর ভরসা করেছিলাম—যদি ভাগ্যে থাকে তাহলে ভালো দিন ফিরবে আমাদের। এ জন্য ছেলেকে পাঠিয়েছি।’
প্রতিবেশী লিলি বেগম বলেন, ‘আপন ভালো ছেলে ছিল, লেখাপড়ায়ও ভালো ছিল। এদের বাড়িতে কান্নাকাটি শুনে আইছি। শুনেছি নৌকা ডুইবগে গেছে। বাইচে আছে না মইরে গেছে কইতে পারি না। কেউ কয় মইরে গেছে, কেউ কয় হাসপাতালে আছে কেউ কয় খোঁজ পাওয়া যায় নাই।’
আপনের প্রতিবেশী এনামুল মাতুব্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপন কখনো মাথা উঁচু করে কথা বলেনি। অভাবের কারণেই সে বিদেশে পাড়ি দেছে। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা কেন যে ভাগ্যে এমনটা রাখল। তবে অবৈধভাবে যেন কেউ বিদেশে না যায় সেই কথাই বলব।’
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
৩৬ মিনিট আগেআজ শুক্রবার সকাল থেকে মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়েছে সাদপন্থীরা। সকাল থেকে মসজিদে প্রবেশ করেন শত শত সাদপন্থী। তাঁদের লক্ষ্য, লাখো মুসল্লির সমাগমে জুমার নামাজ আদায় করে নিজেদের অবস্থান ও শক্তি জানান দেওয়া। জমায়েতের চাপে আশপাশে সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগেবাড়ির আঙিনায় বেড়া দেওয়া নিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় শ্যালকের শাবলের আঘাতে দুলাভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পৌরশহরের কালিনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দোকানে সিগারেট না পেয়ে ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতা-কর্মীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের চৌমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে