উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানী ও ঢাকার আশপাশে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ৬ গ্রুপের ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় উত্তরার র্যাব-১ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১-এর অধিনায়ক (সিও) মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ।
মোসতাক বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর, গাজীপুর ও টঙ্গী এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ০০৭ গ্রুপ, বাবা গ্রুপ, জাউরা গ্রুপ, ভোল্টেজ গ্রুপ, ডি কোম্পানি ও জাহাঙ্গীর গ্রুপসহ বিভিন্ন কিশোর গ্যাং গ্রুপের ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকালে তাদের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ২৪টি মোবাইল ফোন, একটি ব্লেড, একটি কুড়াল, একটি পাওয়ার ব্যাংক, পাঁচটি রড, ১৬টি চাকু, তিনটি লোহার চেইন, একটি হাতুড়ি, একটি মোটরসাইকেল এবং নগদ ২৪ হাজার ২৫০ টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাব-১ অধিনায়ক মোসতাক জানান, ০০৭ গ্রুপের দলনেতা আল-আমিন (২৪)। জাউরা গ্রুপের দলনেতা মাহাবুব (১৯)। বাবা গ্রুপের দলনেতা সাদ (২২)। ভোল্টেজ গ্রুপের দলনেতা মনা (২৮)। জাহাঙ্গীর গ্রুপের দলনেতা জাহাঙ্গীর ওরফে বয়রা জাহাঙ্গীর। ডি কোম্পানি গ্রুপের দলনেতা লন্ডন পাপ্পু। পাপ্পুর অন্যতম সহযোগী আকাশ ও আমির হোসেন।
মোসতাক বলেন, ‘গ্রেপ্তারেরা মাদক সেবন, সাইলেন্সারবিহীন মোটরসাইকেল চালিয়ে বিকট শব্দ করে জনমনে ভীতির সঞ্চার, স্কুল-কলেজে বুলিং, র্যাগিং, ইভ টিজিং, ধর্ষণ, ছিনতাই, ডাকাতি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও শেয়ারসহ নানাবিধ অনৈতিক কাজে লিপ্ত। তাদের এসব কর্মকাণ্ড আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিশ্চিত ক্ষতির মুখে ধাবিত করছে।’
মোসতাক আরও বলেন, বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাং, গ্যাং কালচার, উঠতি বয়সী ছেলেদের মাঝে ক্ষমতা বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক গ্রুপের সঙ্গে অন্য গ্রুপের মারামারি করা বহুল আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। গ্যাং সদস্যরা এলাকায় নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করার জন্য উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায়, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালায়, পথচারীদের উত্ত্যক্ত করে এবং ছোটখাটো বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর চড়াও হয়ে হাতাহাতি-মারামারি করে।
এ ছাড়া তারা নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য একই এলাকায় অন্য গ্রুপের সঙ্গে প্রায়ই কোন্দলে লিপ্ত থাকে। তাদের এই ধরনের চলাফেরার কারণে সাধারণ লোকজন তাদের অনেকটাই এড়িয়ে চলে। এই এড়ানোর বিষয়টিকে তারা তাদের ক্ষমতা হিসেবে ভাবে এবং কোনো ঘটনায় কেউ কোনো প্রতিবাদ করলেও ক্ষমতা জাহির করতে মারামারি করাসহ অনেক সময় খুন করতেও দ্বিধাবোধ করে না।
গ্রেপ্তার কিশোরদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের প্রত্যেক গ্রুপের আনুমানিক সদস্য ১০-১৫ জন। তারা টাকার বিনিময়ে যেকোনো পক্ষের হয়ে মারামারি, দখলবাজি, পিকেটিং, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। তাদের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, অস্ত্র, ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের সখ্য, মিটিং-মিছিলে অংশগ্রহণ ও মদদ দিতে দেখা যায়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে র্যাব কর্মকর্তা মোসতাক বলেন, ‘বিশেষ করে কিছু ব্যক্তি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে কিশোরদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা মদদদাতাদের হয়ে মারামারি করে। অনেকেই এই গ্রুপের সদস্যদের মূলত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, এমন তথ্য আমরা পেয়েছি। মদদদাতার হয়ে কাজ করার কারণে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা শেল্টার পায়। যারা তাদের নানাভাবে মদদদাতা হিসেবে কাজ করে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’
মোসতাক বলেন, ‘আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, অপরাধীদের কোনো দল বা ঠিকানা থাকতে পারে না। তাদের কোনো পরিচয় বিষয় না। তারা কার হয়ে কাজ করে, সেটিও বিবেচ্য বিষয় নয়। কোনো অপরাধ করলে, তাদের আইনের আওতায় আনা হয়।’
গ্রেপ্তার কিশোর গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।
রাজধানী ও ঢাকার আশপাশে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ৬ গ্রুপের ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় উত্তরার র্যাব-১ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১-এর অধিনায়ক (সিও) মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ।
মোসতাক বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর, গাজীপুর ও টঙ্গী এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ০০৭ গ্রুপ, বাবা গ্রুপ, জাউরা গ্রুপ, ভোল্টেজ গ্রুপ, ডি কোম্পানি ও জাহাঙ্গীর গ্রুপসহ বিভিন্ন কিশোর গ্যাং গ্রুপের ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকালে তাদের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ২৪টি মোবাইল ফোন, একটি ব্লেড, একটি কুড়াল, একটি পাওয়ার ব্যাংক, পাঁচটি রড, ১৬টি চাকু, তিনটি লোহার চেইন, একটি হাতুড়ি, একটি মোটরসাইকেল এবং নগদ ২৪ হাজার ২৫০ টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাব-১ অধিনায়ক মোসতাক জানান, ০০৭ গ্রুপের দলনেতা আল-আমিন (২৪)। জাউরা গ্রুপের দলনেতা মাহাবুব (১৯)। বাবা গ্রুপের দলনেতা সাদ (২২)। ভোল্টেজ গ্রুপের দলনেতা মনা (২৮)। জাহাঙ্গীর গ্রুপের দলনেতা জাহাঙ্গীর ওরফে বয়রা জাহাঙ্গীর। ডি কোম্পানি গ্রুপের দলনেতা লন্ডন পাপ্পু। পাপ্পুর অন্যতম সহযোগী আকাশ ও আমির হোসেন।
মোসতাক বলেন, ‘গ্রেপ্তারেরা মাদক সেবন, সাইলেন্সারবিহীন মোটরসাইকেল চালিয়ে বিকট শব্দ করে জনমনে ভীতির সঞ্চার, স্কুল-কলেজে বুলিং, র্যাগিং, ইভ টিজিং, ধর্ষণ, ছিনতাই, ডাকাতি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও শেয়ারসহ নানাবিধ অনৈতিক কাজে লিপ্ত। তাদের এসব কর্মকাণ্ড আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিশ্চিত ক্ষতির মুখে ধাবিত করছে।’
মোসতাক আরও বলেন, বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাং, গ্যাং কালচার, উঠতি বয়সী ছেলেদের মাঝে ক্ষমতা বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক গ্রুপের সঙ্গে অন্য গ্রুপের মারামারি করা বহুল আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। গ্যাং সদস্যরা এলাকায় নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করার জন্য উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায়, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালায়, পথচারীদের উত্ত্যক্ত করে এবং ছোটখাটো বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর চড়াও হয়ে হাতাহাতি-মারামারি করে।
এ ছাড়া তারা নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য একই এলাকায় অন্য গ্রুপের সঙ্গে প্রায়ই কোন্দলে লিপ্ত থাকে। তাদের এই ধরনের চলাফেরার কারণে সাধারণ লোকজন তাদের অনেকটাই এড়িয়ে চলে। এই এড়ানোর বিষয়টিকে তারা তাদের ক্ষমতা হিসেবে ভাবে এবং কোনো ঘটনায় কেউ কোনো প্রতিবাদ করলেও ক্ষমতা জাহির করতে মারামারি করাসহ অনেক সময় খুন করতেও দ্বিধাবোধ করে না।
গ্রেপ্তার কিশোরদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের প্রত্যেক গ্রুপের আনুমানিক সদস্য ১০-১৫ জন। তারা টাকার বিনিময়ে যেকোনো পক্ষের হয়ে মারামারি, দখলবাজি, পিকেটিং, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। তাদের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, অস্ত্র, ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের সখ্য, মিটিং-মিছিলে অংশগ্রহণ ও মদদ দিতে দেখা যায়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে র্যাব কর্মকর্তা মোসতাক বলেন, ‘বিশেষ করে কিছু ব্যক্তি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে কিশোরদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা মদদদাতাদের হয়ে মারামারি করে। অনেকেই এই গ্রুপের সদস্যদের মূলত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, এমন তথ্য আমরা পেয়েছি। মদদদাতার হয়ে কাজ করার কারণে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা শেল্টার পায়। যারা তাদের নানাভাবে মদদদাতা হিসেবে কাজ করে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’
মোসতাক বলেন, ‘আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, অপরাধীদের কোনো দল বা ঠিকানা থাকতে পারে না। তাদের কোনো পরিচয় বিষয় না। তারা কার হয়ে কাজ করে, সেটিও বিবেচ্য বিষয় নয়। কোনো অপরাধ করলে, তাদের আইনের আওতায় আনা হয়।’
গ্রেপ্তার কিশোর গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।
কবির বলেন, ‘আমার ছেলে তো কোনো রাজনীতি করত না। কোনো অন্যায় করেনি। তাহলে কেন এভাবে তাকে হত্যা করা হলো? সায়েম দেশের জন্য শহীদ হলেও সরকার থেকে বা অন্য কেউ কোনো খবর নিতে আসেনি।’
৩ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে চলমান আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর আজ শুক্রবার বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে আগামী সোমবার পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।
১৫ মিনিট আগেগাংনী উপজেলায় নেপিয়ার ঘাসসহ অন্যান্য গোখাদ্যের ব্যাপক চাষ হচ্ছে। তবে চাহিদা বেশি হওয়ায় ঘাসের দাম কমছে না। স্থানীয় চাষিরা জানিয়েছেন, নেপিয়ার ঘাস চাষ লাভজনক হওয়ায় তাঁরা অন্য ফসল বাদ দিয়ে ঘাস চাষে মনোযোগ দিচ্ছেন।
১৫ মিনিট আগেবরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুর রহমান কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন
২৩ মিনিট আগে