নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঢুকে হট্টগোল করা সেই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম জুবায়ের এলাহী। পরিবার বলছে, তিনি মানসিক রোগী।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত রোববার সকালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একাডেমিক বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলার ১ নম্বর গ্যালারিতে হঠাৎ লাঠি হাতে প্রবেশ করেন ওই যুবক। তাঁর পরনে ছিল হাফহাতা সাদা গেঞ্জি ও কালো ট্রাউজার। মাথায় ছিল কালো কাপড়ে বাঁধা।
এসেই তিনি গান গেয়ে হট্টগোল শুরু করেন এবং লাঠি হাতে জোরে জোরে মাটিতে আঘাত করতে থাকেন। এ সময় গ্যালারিতে থাকা ছাত্র-ছাত্রীরা ভয়ে বেরিয়ে যান। যুবকটি বিভ্রান্তের মতো এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করে মেডিকেল কলেজ ত্যাগ করেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে যুবককে শনাক্ত করে পুলিশ। পরে কিশোরগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার জুবায়েরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই যুবকের হট্টগোলের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে, এ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। অনেকে এই ভিডিও নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়ান।
গ্রেপ্তার যুবকের এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গাইটাল পাক্কার মাথা এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে। তিনি একজন মানসিক রোগী। ২০১৫ সাল থেকে তাঁকে সুস্থ করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা চলছে। তবে প্রত্যাশিত ফল আসেনি। গত রোববার রাজধানীর ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে হঠাৎ করেই তিনি এমন কাণ্ড ঘটান।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এর আগেও ৮-১০ বার পাগলামির কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। ১৩ বছর বয়সে হঠাৎ পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা শুরু করেন। পরে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে বলা হয়, জুবায়ের একজন মানসিক রোগী। দীর্ঘ ৯ বছর যাবৎ জুবায়েরের চিকিৎসা চলছে, কিন্তু তিনি সুস্থ হননি।
গাইটাল পাক্কার মাথার বাসিন্দা আফরান, আসাদ, মুরাদ, জুম্মান ও সুমন বলেন, ‘জুবায়ের একজন মানসিক রোগী। তিনি ৩ মাস ভালো থাকলে ৯ মাসই মানসিক সমস্যায় ভোগেন। এলাকাবাসী সবাই জানে, তাঁর এই সমস্যার কথা। ময়মনসিংহ ও ঢাকায় প্রায়ই জুবায়েরের বাবা এবং ভাই নিয়ে যেত চিকিৎসার জন্য। হঠাৎ পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার পর জানতে পারি, তিনি নাকি ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে লাঠি হাতে ঢুকে পড়েন। একজন মানসিক রোগী হিসেবে তাঁকে ক্ষমা করে দিলেই আমরা এলাকাবাসী খুশি হব।’
জুবায়েরের বড় ভাই তৌহিদ এলাহি বলেন, ‘পরিবারের কাউকে কিছু না বলে ২৬ অক্টোবর রাতে বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে শুনেছি, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ক্লাস রুমে গিয়ে পাগলামি করেছে। আবার ২৭ অক্টোবর রাতেই বাড়িতে চলে আসে। পরে সোমবার বিকেলে পুলিশ তাঁকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘আমার ভাইকে আজ বিকেলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ভাঙচুর ও অনধিকার প্রবেশের অভিযোগে ঢাকা আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। পরে আদালত আমার ভাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আমি ঢাকাতেই আছি। আমি তাঁর মানসিক সমস্যার কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় এসেছি। আদালতে আমার ভাইয়ের মানসিক সমস্যার সমস্ত কাগজপত্র উপস্থাপন করব।’
এদিকে এ ঘটনাকে নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়ান। কেউ কেউ লেখেন, লাঠি হাতে ওই যুবক নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সদস্য। কেউবা আবার ভিডিওটি শেয়ার করে লেখেন, দেশ জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ আর উগ্রবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে। নারী শিক্ষা হুমকিতে বলেও কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়ান।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঢুকে হট্টগোল করা সেই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম জুবায়ের এলাহী। পরিবার বলছে, তিনি মানসিক রোগী।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত রোববার সকালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একাডেমিক বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলার ১ নম্বর গ্যালারিতে হঠাৎ লাঠি হাতে প্রবেশ করেন ওই যুবক। তাঁর পরনে ছিল হাফহাতা সাদা গেঞ্জি ও কালো ট্রাউজার। মাথায় ছিল কালো কাপড়ে বাঁধা।
এসেই তিনি গান গেয়ে হট্টগোল শুরু করেন এবং লাঠি হাতে জোরে জোরে মাটিতে আঘাত করতে থাকেন। এ সময় গ্যালারিতে থাকা ছাত্র-ছাত্রীরা ভয়ে বেরিয়ে যান। যুবকটি বিভ্রান্তের মতো এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করে মেডিকেল কলেজ ত্যাগ করেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে যুবককে শনাক্ত করে পুলিশ। পরে কিশোরগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার জুবায়েরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই যুবকের হট্টগোলের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে, এ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। অনেকে এই ভিডিও নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়ান।
গ্রেপ্তার যুবকের এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গাইটাল পাক্কার মাথা এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে। তিনি একজন মানসিক রোগী। ২০১৫ সাল থেকে তাঁকে সুস্থ করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা চলছে। তবে প্রত্যাশিত ফল আসেনি। গত রোববার রাজধানীর ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে হঠাৎ করেই তিনি এমন কাণ্ড ঘটান।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এর আগেও ৮-১০ বার পাগলামির কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। ১৩ বছর বয়সে হঠাৎ পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা শুরু করেন। পরে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে বলা হয়, জুবায়ের একজন মানসিক রোগী। দীর্ঘ ৯ বছর যাবৎ জুবায়েরের চিকিৎসা চলছে, কিন্তু তিনি সুস্থ হননি।
গাইটাল পাক্কার মাথার বাসিন্দা আফরান, আসাদ, মুরাদ, জুম্মান ও সুমন বলেন, ‘জুবায়ের একজন মানসিক রোগী। তিনি ৩ মাস ভালো থাকলে ৯ মাসই মানসিক সমস্যায় ভোগেন। এলাকাবাসী সবাই জানে, তাঁর এই সমস্যার কথা। ময়মনসিংহ ও ঢাকায় প্রায়ই জুবায়েরের বাবা এবং ভাই নিয়ে যেত চিকিৎসার জন্য। হঠাৎ পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার পর জানতে পারি, তিনি নাকি ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে লাঠি হাতে ঢুকে পড়েন। একজন মানসিক রোগী হিসেবে তাঁকে ক্ষমা করে দিলেই আমরা এলাকাবাসী খুশি হব।’
জুবায়েরের বড় ভাই তৌহিদ এলাহি বলেন, ‘পরিবারের কাউকে কিছু না বলে ২৬ অক্টোবর রাতে বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে শুনেছি, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ক্লাস রুমে গিয়ে পাগলামি করেছে। আবার ২৭ অক্টোবর রাতেই বাড়িতে চলে আসে। পরে সোমবার বিকেলে পুলিশ তাঁকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘আমার ভাইকে আজ বিকেলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ভাঙচুর ও অনধিকার প্রবেশের অভিযোগে ঢাকা আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। পরে আদালত আমার ভাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আমি ঢাকাতেই আছি। আমি তাঁর মানসিক সমস্যার কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় এসেছি। আদালতে আমার ভাইয়ের মানসিক সমস্যার সমস্ত কাগজপত্র উপস্থাপন করব।’
এদিকে এ ঘটনাকে নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়ান। কেউ কেউ লেখেন, লাঠি হাতে ওই যুবক নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সদস্য। কেউবা আবার ভিডিওটি শেয়ার করে লেখেন, দেশ জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ আর উগ্রবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে। নারী শিক্ষা হুমকিতে বলেও কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়ান।
চট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ মিনিট আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১২ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
২৮ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে