মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
বৈরী আবহাওয়ার পর সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। জেলেরা ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরছেন। এতে কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূলের ঘাটগুলোয় এখন জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী, ট্রলার মালিক ও শ্রমিকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে দেশের অন্যতম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কক্সবাজার শহরের ৬ নম্বর ঘাটে ইলিশ ঘাটে উঠতেই হুমড়ি খেয়ে পড়েন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা চড়ামূল্যে ইলিশ কিনে ট্রাকভর্তি করে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান।
সকাল ১০টার দিকে ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে সাগর থেকে বাঁকখালী নদীর মোহনার এই ঘাটে পৌঁছায় এফবি ফয়সাল নামের একটি ট্রলার। ট্রলার মাঝি আবদুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কেটে যাওয়ার পর ১১ আগস্ট ২১ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে রওনা দিই। এক সপ্তাহ পর ফিরেছি। তিন হাজারের মতো ইলিশ পেয়েছি। অন্যান্য মাছও ধরা পড়েছে।
আজ শুক্রবার রাতে আবারও মাছ ধরতে সাগরে নেমে পড়বেন। সাগরে এখন অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন আবদুল মজিদ।
গত ২৩ জুলাই সাগরে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা ট্রলার নিয়ে সাগরে রওনা হয়। দুইদিন পর সাগরে বৈরী আবহাওয়ায় উপকূলে ফিরে আসে জেলেরা। এরমধ্যে কক্সবাজার ও আশপাশের জেলায় বন্যা দেখা দেয়।
গত ১০ জুলাই কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত প্রত্যাহার করার জেলেরা সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়।
ইলিশ ধরতে জেলার সাগর উপকূলের টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, পেকুয়া, উখিয়া ও সদরের ঘাট থেকে যাওয়া ট্রলার এখন সাগরে রয়েছে।
আজ শুক্রবার কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে দেখা যায়, ছোট ছোট ডিঙি নৌকা থেকে শ্রমিকেরা ঝুড়ি ও লাই ভরে ইলিশ ও অন্যান্য মাছ খালাস করছে। একদল শ্রমিক বরফ নিয়ে পেছনে পেছনে ছুটছে। ঘাটের পল্টুন মাছে ঠাসা। ঝুড়ি থেকে মাছ ফেলতেই পাইকার ব্যবসায়ীরা কিনে নিচ্ছেন। পাশেই এসব প্যাকেজিং করে ট্রাকভর্তি করা হচ্ছে।
প্রায় তিনমাস পর ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরে জেলে ও ট্রলার মালিকেরা উৎপল্ল। ট্রলার মালিক মোহাম্মদ আলীর চোখেমুখে আনন্দ লেগে আছে। তিনি বলেন, একেকটি ট্রলার ২ থেকে ৩ হাজার ইলিশ ধরা পড়েছে। কিছু ট্রলার আরও বেশি মাছ পেয়েছে। ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত ও অনুকূল আবহাওয়ায় এখন ভালো ইলিশ ধরা পড়ছে। আশাকরি অনুকূল পরিবেশ থাকবে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইলিশের আকার মোটামুটি ভালো। তবে দাম চড়া। আজ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০ টাকা এবং ৮০০ থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়। আর ১ কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা।
ট্রলার মালিক ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো মাছের জোগান বেশি নয়। এতে দাম বেশি। দুই তিন দিনের মধ্যে ঘাটে শত শত ট্রলার ভিড়বে। তখন দাম কমে আসবে।
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন আজকের পত্রিকা বলেন, ‘প্রথম কয়েকদিন ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম চড়া ছিল। এখন সাগর থেকে মাছ ভর্তি ট্রলারগুলো ফিরতে শুরু করেছে। আগামী কয়েক দিন ইলিশে সয়লাব হতে পারে। তখন ঢাকার বাজারেও ইলিশের দাম কমে আসবে।’
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. বদরুদ্দৌজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুক্রবার ৭০ মেট্রিক টনের বেশি ইলিশ সরবরাহ করা হয়েছে। এর আগের তিনদিনে এ ঘাট থেকে ইলিশ সরবরাহ হয়েছে ১০০ মেট্রিক টন।’
জেলা ফিশিংবোট মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সমিতির নিবন্ধিত ছয় হাজার ট্রলার রয়েছে। এতে লক্ষাধিক জেলে ও শ্রমিক জড়িত। তিনি বলেন, সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কার্যকর সুফল নানা কারণে পাওয়া যাচ্ছে না। মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা পুনর্বিবেচনা করে সমন্বয় করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়া কেটে সাগরে এখন মাছ ধরায় অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। শহরের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ জেলার উপকূলীয় ঘাট থেকে দৈনিক প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন সামুদ্রিক মাছ আহরিত হচ্ছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশই ইলিশ।’
বৈরী আবহাওয়ার পর সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। জেলেরা ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরছেন। এতে কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূলের ঘাটগুলোয় এখন জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী, ট্রলার মালিক ও শ্রমিকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে দেশের অন্যতম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কক্সবাজার শহরের ৬ নম্বর ঘাটে ইলিশ ঘাটে উঠতেই হুমড়ি খেয়ে পড়েন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা চড়ামূল্যে ইলিশ কিনে ট্রাকভর্তি করে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান।
সকাল ১০টার দিকে ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে সাগর থেকে বাঁকখালী নদীর মোহনার এই ঘাটে পৌঁছায় এফবি ফয়সাল নামের একটি ট্রলার। ট্রলার মাঝি আবদুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কেটে যাওয়ার পর ১১ আগস্ট ২১ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে রওনা দিই। এক সপ্তাহ পর ফিরেছি। তিন হাজারের মতো ইলিশ পেয়েছি। অন্যান্য মাছও ধরা পড়েছে।
আজ শুক্রবার রাতে আবারও মাছ ধরতে সাগরে নেমে পড়বেন। সাগরে এখন অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন আবদুল মজিদ।
গত ২৩ জুলাই সাগরে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা ট্রলার নিয়ে সাগরে রওনা হয়। দুইদিন পর সাগরে বৈরী আবহাওয়ায় উপকূলে ফিরে আসে জেলেরা। এরমধ্যে কক্সবাজার ও আশপাশের জেলায় বন্যা দেখা দেয়।
গত ১০ জুলাই কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত প্রত্যাহার করার জেলেরা সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়।
ইলিশ ধরতে জেলার সাগর উপকূলের টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, পেকুয়া, উখিয়া ও সদরের ঘাট থেকে যাওয়া ট্রলার এখন সাগরে রয়েছে।
আজ শুক্রবার কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে দেখা যায়, ছোট ছোট ডিঙি নৌকা থেকে শ্রমিকেরা ঝুড়ি ও লাই ভরে ইলিশ ও অন্যান্য মাছ খালাস করছে। একদল শ্রমিক বরফ নিয়ে পেছনে পেছনে ছুটছে। ঘাটের পল্টুন মাছে ঠাসা। ঝুড়ি থেকে মাছ ফেলতেই পাইকার ব্যবসায়ীরা কিনে নিচ্ছেন। পাশেই এসব প্যাকেজিং করে ট্রাকভর্তি করা হচ্ছে।
প্রায় তিনমাস পর ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরে জেলে ও ট্রলার মালিকেরা উৎপল্ল। ট্রলার মালিক মোহাম্মদ আলীর চোখেমুখে আনন্দ লেগে আছে। তিনি বলেন, একেকটি ট্রলার ২ থেকে ৩ হাজার ইলিশ ধরা পড়েছে। কিছু ট্রলার আরও বেশি মাছ পেয়েছে। ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত ও অনুকূল আবহাওয়ায় এখন ভালো ইলিশ ধরা পড়ছে। আশাকরি অনুকূল পরিবেশ থাকবে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইলিশের আকার মোটামুটি ভালো। তবে দাম চড়া। আজ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০ টাকা এবং ৮০০ থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়। আর ১ কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা।
ট্রলার মালিক ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো মাছের জোগান বেশি নয়। এতে দাম বেশি। দুই তিন দিনের মধ্যে ঘাটে শত শত ট্রলার ভিড়বে। তখন দাম কমে আসবে।
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন আজকের পত্রিকা বলেন, ‘প্রথম কয়েকদিন ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম চড়া ছিল। এখন সাগর থেকে মাছ ভর্তি ট্রলারগুলো ফিরতে শুরু করেছে। আগামী কয়েক দিন ইলিশে সয়লাব হতে পারে। তখন ঢাকার বাজারেও ইলিশের দাম কমে আসবে।’
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. বদরুদ্দৌজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুক্রবার ৭০ মেট্রিক টনের বেশি ইলিশ সরবরাহ করা হয়েছে। এর আগের তিনদিনে এ ঘাট থেকে ইলিশ সরবরাহ হয়েছে ১০০ মেট্রিক টন।’
জেলা ফিশিংবোট মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সমিতির নিবন্ধিত ছয় হাজার ট্রলার রয়েছে। এতে লক্ষাধিক জেলে ও শ্রমিক জড়িত। তিনি বলেন, সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কার্যকর সুফল নানা কারণে পাওয়া যাচ্ছে না। মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা পুনর্বিবেচনা করে সমন্বয় করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়া কেটে সাগরে এখন মাছ ধরায় অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। শহরের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ জেলার উপকূলীয় ঘাট থেকে দৈনিক প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন সামুদ্রিক মাছ আহরিত হচ্ছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশই ইলিশ।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৪ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৩৪ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
২ ঘণ্টা আগে