সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থান ঠেকাতে ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেন উপজেলা প্রশাসন। এতে উপজেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বাধায় দুপক্ষের ইফতার মাহফিল পণ্ড হয়ে যায়।
ছাত্রলীগ নেতা কর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইফতার মাহফিল করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু একই দিনে একই স্থানে সভা করতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের আরেকটি গ্রুপও অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। বুধবার বিকেলে ছাত্রলীগের দুপক্ষের নেতা কর্মীরা ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এই সময় দুই পক্ষের উত্তেজিত নেতা কর্মীরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উভয়পক্ষকে ধাওয়া দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এঘটনার পর অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উভয় পক্ষের ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেন উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা ছাত্রলীগর সহসভাপতি ইকবাল মাহমুদ জানান, কমিটি গঠনের পর থেকে দলীয় নেতা কর্মীর মতামত ছাড়াই একতরফাভাবে সংগঠন পরিচালনা করছেন উপজেলা ছাত্রলীগর সভাপতি ও সম্পাদক। পাশাপাশি ছাত্রলীগের নিবেদিত কর্মীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। তারা আজ (বুধবার) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্যাতিত ও ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের জন্য ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন। গত ২৫ এপ্রিল সরকারি নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনের অনুমতিও নিয়েছিলেন। তবে বিকেলে ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদককে নেতৃত্বে বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। এতে প্রশাসন তাঁদের ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেয়।
উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম রিয়াদ জিলান বলেন, ছাত্রলীগের ব্যানারে ইফতার মাহফিল হলে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদকই আয়োজন করবে। ওখানে যারা ইফতার মাহফিলর আয়োজন করেছে তাঁরা ছাত্রলীগের কেউ না। তারাই ইউএনওকে অনুষ্ঠান বন্ধে অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি উপজেলায় আসা একদল লোককে ছাত্রলীগের ব্যানারে ইফতার মাহফিলের আয়োজন না করতে বললে তাঁরা আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। তবে সেখানে ককটেল বিস্ফোরণের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বুধবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইফতার মাহফিল করতে উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি বেশ কয়েক দিন আগে আমার কাছে আসেন। এই সময় তিনি ইফতার মাহফিলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বলেও জানান। এই ইফতার মাহফিল ছাত্রলীগের ব্যানারে হওয়া ও এটি নিয়ে কারও আপত্তির কথা আমার জানা ছিলো না। বুধবার আয়োজকেরা সেখানে ইফতারের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। এরই মধ্যে ছাত্রলীগের উপজেলা সভাপতি-সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি দল অনুষ্ঠান স্থলে এসে জানায়, ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক ছাড়া অন্য কেউ ছাত্রলীগের ব্যানারে সভা করতে পারবে না। এই সভা বন্ধের দাবি জানান তারা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দু-একটি পটকাও ফুটায় তাঁরা। পরে পুলিশ এসে ধাওয়া দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনার পর ইফতার মাহফিল বন্ধ করার পাশাপাশি উভয় পক্ষকে উপজেলা পরিষদ থেকে চলে যেতে বলি।’
সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, উপজেলা পরিষদে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে উত্তেজনার খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদসহ তিনি পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া পরবর্তীতে অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগের দুপক্ষের নেতা কর্মীকে উপজেলা পরিষদ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থান ঠেকাতে ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেন উপজেলা প্রশাসন। এতে উপজেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বাধায় দুপক্ষের ইফতার মাহফিল পণ্ড হয়ে যায়।
ছাত্রলীগ নেতা কর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইফতার মাহফিল করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু একই দিনে একই স্থানে সভা করতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের আরেকটি গ্রুপও অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। বুধবার বিকেলে ছাত্রলীগের দুপক্ষের নেতা কর্মীরা ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এই সময় দুই পক্ষের উত্তেজিত নেতা কর্মীরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উভয়পক্ষকে ধাওয়া দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এঘটনার পর অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উভয় পক্ষের ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেন উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা ছাত্রলীগর সহসভাপতি ইকবাল মাহমুদ জানান, কমিটি গঠনের পর থেকে দলীয় নেতা কর্মীর মতামত ছাড়াই একতরফাভাবে সংগঠন পরিচালনা করছেন উপজেলা ছাত্রলীগর সভাপতি ও সম্পাদক। পাশাপাশি ছাত্রলীগের নিবেদিত কর্মীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। তারা আজ (বুধবার) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্যাতিত ও ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের জন্য ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন। গত ২৫ এপ্রিল সরকারি নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনের অনুমতিও নিয়েছিলেন। তবে বিকেলে ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদককে নেতৃত্বে বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। এতে প্রশাসন তাঁদের ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেয়।
উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম রিয়াদ জিলান বলেন, ছাত্রলীগের ব্যানারে ইফতার মাহফিল হলে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদকই আয়োজন করবে। ওখানে যারা ইফতার মাহফিলর আয়োজন করেছে তাঁরা ছাত্রলীগের কেউ না। তারাই ইউএনওকে অনুষ্ঠান বন্ধে অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি উপজেলায় আসা একদল লোককে ছাত্রলীগের ব্যানারে ইফতার মাহফিলের আয়োজন না করতে বললে তাঁরা আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। তবে সেখানে ককটেল বিস্ফোরণের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বুধবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইফতার মাহফিল করতে উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি বেশ কয়েক দিন আগে আমার কাছে আসেন। এই সময় তিনি ইফতার মাহফিলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বলেও জানান। এই ইফতার মাহফিল ছাত্রলীগের ব্যানারে হওয়া ও এটি নিয়ে কারও আপত্তির কথা আমার জানা ছিলো না। বুধবার আয়োজকেরা সেখানে ইফতারের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। এরই মধ্যে ছাত্রলীগের উপজেলা সভাপতি-সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি দল অনুষ্ঠান স্থলে এসে জানায়, ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক ছাড়া অন্য কেউ ছাত্রলীগের ব্যানারে সভা করতে পারবে না। এই সভা বন্ধের দাবি জানান তারা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দু-একটি পটকাও ফুটায় তাঁরা। পরে পুলিশ এসে ধাওয়া দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনার পর ইফতার মাহফিল বন্ধ করার পাশাপাশি উভয় পক্ষকে উপজেলা পরিষদ থেকে চলে যেতে বলি।’
সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, উপজেলা পরিষদে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে উত্তেজনার খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদসহ তিনি পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া পরবর্তীতে অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগের দুপক্ষের নেতা কর্মীকে উপজেলা পরিষদ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৭ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৮ ঘণ্টা আগে