সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পছন্দের দলকে ভোট দেওয়ায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের এক নারী। চরজুবিলী ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিনের সাঙ্গপাঙ্গদের একটি দল ধর্ষণ করছিল তাঁকে। আগামীকাল সোমবার আলোচিত এই মামলার রায় দেওয়া হবে।
ধর্ষণের শিকার নারী ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি আজকের পত্রিকা বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার একজন নারী, আমিও একজন নারী। আমার যেমন মানসম্মান, সরকারেরও তেমন মানসম্মান। আমার বিশ্বাস আছে, আমি ন্যায়বিচার পাব। সরকার বলছে, ন্যায়বিচার করবে। আইনের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে। আসামিদের উপযুক্ত শাস্তি হবে, ন্যায়বিচার হবে।’
আগামীকাল নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস মামলাটির রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি মামলাটির রায় ঘোষণা করার কথা থাকলেও মামলার রায় লেখার কাজ শেষ না হওয়ায় তারিখ পিছিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. সামছুদ্দিন বলেন, আলোচিত ওই মামলাটির রায় ঘোষণার পূর্ববর্তী সব কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। তাই নির্ধারিত তারিখে, অর্থাৎ আগামীকাল রায় ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, গত ২৯ নভেম্বর অধিকতর যুক্তিতর্ক শেষে ১৬ জানুয়ারি রায় ঘোষণার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু রায় লেখার কাজ শেষ না হওয়ায় সেদিন রায় ঘোষণা করা হয়নি। রায় ঘোষণার পরবর্তী তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে (৪০) মারধর ও গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারী চার সন্তানের জননী। নির্যাতিত নারীর অভিযোগ ছিল, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জেরে ওই হামলা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি তখন দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। ওই ঘটনার পরদিন, অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কার হওয়া প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে গত ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মামলার বাদী নির্যাতনের শিকার ওই নারীর স্বামী বলেন, রায়কে ঘিরে তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। কারণ, আসামিরা প্রভাবশালী এবং খারাপ লোক। তিনি আতঙ্কের বিষয়টি সুবর্ণচরের চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে অবহিত করেছেন। আগামীকাল রায় ঘোষণাকালে স্ত্রীসহ আদালতে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান তিনি।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি ছালেহ আহমদ সোহেল খান বলেন, আলোচিত ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেছে। মামলায় রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একজন আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলাল (২৮) ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা ১৫ জন আসামির মধ্যে কমপক্ষে আটজন আসামি নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, আগের দিন ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে এলাকার সবাইকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন পরদিন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ওই নারীও ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে ভোট দিতে যান। ভোটকেন্দ্রে যেতেই স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাঁর ভোট হয়ে গেছে বলে বাড়ি চলে যেতে বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এত কষ্ট করে টোকেন খুঁজে বের করে ভোট দিতে আসছি। আমার ভোট দিতেই হবে। এ কথা বললে ওই যুবকেরা আমাকে ভোট দিতে দেয়। তারপর ভোটকেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে দেখি একটি টুলের ওপর ব্যালট পেপার রাখছে। কোনো গোপন কক্ষও ছিল না। আমি ব্যালট হাতে নিয়ে ধানের শীষে সিল দিয়েছি। তারপর তারা আমার ব্যালট পেপার ভাঁজ করে দিতে চায়। আমি সেটা করতে না দিয়ে ব্যাটলটি বাক্সে রেখে চলে আসছি।’
এই নারী আরও জানান, রুহুল আমিন ও তাঁর সঙ্গে থাকা যুবকেরা সে সময় তাঁকে দুই আঙুল দেখিয়ে কিছু একটা ইঙ্গিত দেন। বিকেলে ভোট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্বামী ও ছেলেকে বেঁধে ফেলেন। পরে পালাক্রমে তাঁকে ধর্ষণ করেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পছন্দের দলকে ভোট দেওয়ায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের এক নারী। চরজুবিলী ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিনের সাঙ্গপাঙ্গদের একটি দল ধর্ষণ করছিল তাঁকে। আগামীকাল সোমবার আলোচিত এই মামলার রায় দেওয়া হবে।
ধর্ষণের শিকার নারী ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি আজকের পত্রিকা বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার একজন নারী, আমিও একজন নারী। আমার যেমন মানসম্মান, সরকারেরও তেমন মানসম্মান। আমার বিশ্বাস আছে, আমি ন্যায়বিচার পাব। সরকার বলছে, ন্যায়বিচার করবে। আইনের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে। আসামিদের উপযুক্ত শাস্তি হবে, ন্যায়বিচার হবে।’
আগামীকাল নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস মামলাটির রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি মামলাটির রায় ঘোষণা করার কথা থাকলেও মামলার রায় লেখার কাজ শেষ না হওয়ায় তারিখ পিছিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. সামছুদ্দিন বলেন, আলোচিত ওই মামলাটির রায় ঘোষণার পূর্ববর্তী সব কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। তাই নির্ধারিত তারিখে, অর্থাৎ আগামীকাল রায় ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, গত ২৯ নভেম্বর অধিকতর যুক্তিতর্ক শেষে ১৬ জানুয়ারি রায় ঘোষণার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু রায় লেখার কাজ শেষ না হওয়ায় সেদিন রায় ঘোষণা করা হয়নি। রায় ঘোষণার পরবর্তী তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে (৪০) মারধর ও গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারী চার সন্তানের জননী। নির্যাতিত নারীর অভিযোগ ছিল, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জেরে ওই হামলা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি তখন দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। ওই ঘটনার পরদিন, অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কার হওয়া প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে গত ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মামলার বাদী নির্যাতনের শিকার ওই নারীর স্বামী বলেন, রায়কে ঘিরে তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। কারণ, আসামিরা প্রভাবশালী এবং খারাপ লোক। তিনি আতঙ্কের বিষয়টি সুবর্ণচরের চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে অবহিত করেছেন। আগামীকাল রায় ঘোষণাকালে স্ত্রীসহ আদালতে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান তিনি।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি ছালেহ আহমদ সোহেল খান বলেন, আলোচিত ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেছে। মামলায় রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একজন আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলাল (২৮) ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা ১৫ জন আসামির মধ্যে কমপক্ষে আটজন আসামি নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, আগের দিন ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে এলাকার সবাইকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন পরদিন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ওই নারীও ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে ভোট দিতে যান। ভোটকেন্দ্রে যেতেই স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাঁর ভোট হয়ে গেছে বলে বাড়ি চলে যেতে বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এত কষ্ট করে টোকেন খুঁজে বের করে ভোট দিতে আসছি। আমার ভোট দিতেই হবে। এ কথা বললে ওই যুবকেরা আমাকে ভোট দিতে দেয়। তারপর ভোটকেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে দেখি একটি টুলের ওপর ব্যালট পেপার রাখছে। কোনো গোপন কক্ষও ছিল না। আমি ব্যালট হাতে নিয়ে ধানের শীষে সিল দিয়েছি। তারপর তারা আমার ব্যালট পেপার ভাঁজ করে দিতে চায়। আমি সেটা করতে না দিয়ে ব্যাটলটি বাক্সে রেখে চলে আসছি।’
এই নারী আরও জানান, রুহুল আমিন ও তাঁর সঙ্গে থাকা যুবকেরা সে সময় তাঁকে দুই আঙুল দেখিয়ে কিছু একটা ইঙ্গিত দেন। বিকেলে ভোট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্বামী ও ছেলেকে বেঁধে ফেলেন। পরে পালাক্রমে তাঁকে ধর্ষণ করেন।
অনেক সম্ভাবনা নিয়ে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১০ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় টানেল। নির্মাণের এক বছর পার হলেও দুই পাড়ে এখনো রয়ে গেছে অনেক ‘অপূর্ণতা’। কিন্তু আয় কম হওয়ায় সেই অপূর্ণতাগুলো পূরণে আগ্রহ হারাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও।
২৯ মিনিট আগেবছর দুয়েক আগে ত্রাণ হিসেবে একটি কম্বল পেয়েছিলেন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার রাধানগর গ্রামের নিত্য সূত্রধর। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর হয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তাঁর হাতে গিয়ে পৌঁছায় কম্বলটি। মন্ত্রণালয়ের ক্রয়সংক্রান্ত নথিতে কম্বলট
৩০ মিনিট আগেযশোরের কেশবপুর উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমানের মৎস্য ফিডের গুদামঘর ভাঙচুর-লুটপাট এবং অপর এক ব্যক্তির কফি হাউসে আগুন লাগিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুফলাকাটি ইউনিয়নের কলাগাছি বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে। এসময় কলাগাছি বাজার এলাকায়
১ ঘণ্টা আগেকেঁদে কেঁদে বাবার কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিল তিন বছরের শিশু মুসা; কিন্তু বাবা আহাদ মোল্লা থামেননি। গলা কেটে তিনি হত্যা করেন মুসাকে। এর আগে বড় ছেলে সাত বছরের রোহানকে একইভাবে হত্যা করেন আহাদ। তারপর নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এই ভয়াবহ ও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে গতকাল শনিবার সকালে রাজধানী
২ ঘণ্টা আগে