প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর: রাজনীতিতে উত্থান-পতন থাকবে, এটি স্বাভাবিক। কিন্তু লক্ষ্মীপুরে প্রবাসী কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের উত্থান-পতনের গল্পটা একটু ভিন্ন। প্রবাস থেকে দানবীর সেজে এসে হলেন স্থানীয় এমপি। এরপরই ছেড়েছেন নির্বাচনী এলাকা। অতঃপর এমপির সঙ্গে সঙ্গে হারালেন খ্যাতি। দানবীর থেকে হয়ে গেলেন ভিলেন। নির্বাচনী এলাকা থেকে 'আউট' হয়ে মানব ও অর্থ পাচারের দায়ে সেই প্রবাসেই এখন তাঁর কারাবাস।
স্থানীয়দের মতে, 'আউট' হয়েছেন পাপুল, তাঁর আসনে 'ইন' হয়েছেন তৃণমূল থেকে উঠে আসা লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে ৯৮ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে পাপুলের আসনের নবনির্বাচিত এমপি এখন নয়ন।
পাপুলের উত্থান : গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কাজী শহিদুল ইসলাম ওরফে পাপুলকে ২০১৬ সালের ঈদুল আজহার আগে গ্রামের মানুষ চিনত না। গ্রামের বাড়ির সামনে মায়ের নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে এলাকাবাসীর নজরে আসেন তিনি। দুই হাতে দেদার বিলিয়েছেন টাকা। এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাংসদ নির্বাচিত হন। শহিদুল একা নন, স্বামী–স্ত্রী দুজনই এমপি হয়েছেন। তিনি নির্বাচিত আর তাঁর স্ত্রী সেলিনা ইসলাম সংরক্ষিত আসনের সাংসদ। দুজনই সাংসদ হওয়ার পেছনে আওয়ামী লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতার ভূমিকা ছিল। অথচ ৩০-৩২ বছর আগে গ্রাম ছাড়েন শহিদ। তখন তাঁর আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। বিদেশে গিয়ে আদম ব্যবসা শুরু করার পর হঠাৎ তাঁর উত্থান হয়েছে। গ্রামবাসীর কাছে তিনি দানবীর হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
এলাকার লোকজন জানান, ১৯৮৯ সালে একটি প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার (শ্রমিকদের তত্ত্বাবধায়ক) হিসেবে চাকরি নিয়ে কুয়েতে যান তিনি। তখন তিনি ছিলেন অনেকটা নিঃস্ব। ১৯৯০ সালে ইরাকের কুয়েত দখলের কারণে তিনি দেশে ফিরে আসেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাজী শহিদ আবার কুয়েতে যান। এ ক্ষেত্রে তাঁকে সহযোগিতা করেন বড় ভাই কাজী মঞ্জুরুল আলম। মঞ্জুরুল কুয়েত বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। এরপর থেকে কুয়েতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আদম ব্যবসায় নামেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শত শত মানুষকে চাকরি দেবেন বলে কুয়েতে পাঠানো শুরু করেন কাজী শহিদুল। মারাফি কুয়েতিয়া গ্রুপ অব কোম্পানির নামে তিনি জনশক্তি রপ্তানি শুরু করেন। অথচ একসময় এই প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনটি জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ নোমানকে ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু ভোটের ৯ দিন আগে তিনি নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। তখন জোট নেতাদের নির্দেশে স্থানীয় নেতা–কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী শহিদুল ইসলামের জন্য কাজ করেন। এমপি হওয়ার জন্য নেতা–কর্মীদের পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করেন পাপুল।
পাপুলের পতন : কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল গত বছরের ৬ জুন কুয়েতে মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় কুয়েতে পাপুলের চার বছর সাজা ও অর্থদণ্ড হয়। পরবর্তী সময়ে পাপুলের চার বছর থেকে সাজা বাড়িয়ে সাত বছর করেছেন আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২২ ফেব্রুয়ারি শূন্য হয় আসনটি। তফসিল ঘোষণা করে (১১ এপ্রিল) নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পরে আবারও ২১ জুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
ওই দিন সকাল থেকে রায়পুর উপজেলার পৌরসভাসহ ১০ ইউনিয়নের ৭৩ কেন্দ্র ও সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৬৩ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট সম্পন্ন হয়। ভোটে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পাটি। এদিকে আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হলেও নির্বাচনে অংশ নেয়নি দলটি। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন (নৌকা প্রতীক) ১ লাখ ২২ হাজার ৫৪৭ ভোট পেয়ে নীরবে জয় লাভ করেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মোহাম্মদ ফায়েজ উল্যা শিপন (লাঙল প্রতীক) পান মাত্র ১ হাজার ৮৮৬ ভোট। এখন পাপুল 'আউট' হয়ে আসনটির নতুন সাংসদ হিসেবে 'ইন' হয়েছেন অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।
লক্ষ্মীপুর: রাজনীতিতে উত্থান-পতন থাকবে, এটি স্বাভাবিক। কিন্তু লক্ষ্মীপুরে প্রবাসী কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের উত্থান-পতনের গল্পটা একটু ভিন্ন। প্রবাস থেকে দানবীর সেজে এসে হলেন স্থানীয় এমপি। এরপরই ছেড়েছেন নির্বাচনী এলাকা। অতঃপর এমপির সঙ্গে সঙ্গে হারালেন খ্যাতি। দানবীর থেকে হয়ে গেলেন ভিলেন। নির্বাচনী এলাকা থেকে 'আউট' হয়ে মানব ও অর্থ পাচারের দায়ে সেই প্রবাসেই এখন তাঁর কারাবাস।
স্থানীয়দের মতে, 'আউট' হয়েছেন পাপুল, তাঁর আসনে 'ইন' হয়েছেন তৃণমূল থেকে উঠে আসা লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে ৯৮ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে পাপুলের আসনের নবনির্বাচিত এমপি এখন নয়ন।
পাপুলের উত্থান : গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কাজী শহিদুল ইসলাম ওরফে পাপুলকে ২০১৬ সালের ঈদুল আজহার আগে গ্রামের মানুষ চিনত না। গ্রামের বাড়ির সামনে মায়ের নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে এলাকাবাসীর নজরে আসেন তিনি। দুই হাতে দেদার বিলিয়েছেন টাকা। এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাংসদ নির্বাচিত হন। শহিদুল একা নন, স্বামী–স্ত্রী দুজনই এমপি হয়েছেন। তিনি নির্বাচিত আর তাঁর স্ত্রী সেলিনা ইসলাম সংরক্ষিত আসনের সাংসদ। দুজনই সাংসদ হওয়ার পেছনে আওয়ামী লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতার ভূমিকা ছিল। অথচ ৩০-৩২ বছর আগে গ্রাম ছাড়েন শহিদ। তখন তাঁর আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। বিদেশে গিয়ে আদম ব্যবসা শুরু করার পর হঠাৎ তাঁর উত্থান হয়েছে। গ্রামবাসীর কাছে তিনি দানবীর হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
এলাকার লোকজন জানান, ১৯৮৯ সালে একটি প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার (শ্রমিকদের তত্ত্বাবধায়ক) হিসেবে চাকরি নিয়ে কুয়েতে যান তিনি। তখন তিনি ছিলেন অনেকটা নিঃস্ব। ১৯৯০ সালে ইরাকের কুয়েত দখলের কারণে তিনি দেশে ফিরে আসেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাজী শহিদ আবার কুয়েতে যান। এ ক্ষেত্রে তাঁকে সহযোগিতা করেন বড় ভাই কাজী মঞ্জুরুল আলম। মঞ্জুরুল কুয়েত বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। এরপর থেকে কুয়েতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আদম ব্যবসায় নামেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শত শত মানুষকে চাকরি দেবেন বলে কুয়েতে পাঠানো শুরু করেন কাজী শহিদুল। মারাফি কুয়েতিয়া গ্রুপ অব কোম্পানির নামে তিনি জনশক্তি রপ্তানি শুরু করেন। অথচ একসময় এই প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনটি জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ নোমানকে ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু ভোটের ৯ দিন আগে তিনি নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। তখন জোট নেতাদের নির্দেশে স্থানীয় নেতা–কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী শহিদুল ইসলামের জন্য কাজ করেন। এমপি হওয়ার জন্য নেতা–কর্মীদের পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করেন পাপুল।
পাপুলের পতন : কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল গত বছরের ৬ জুন কুয়েতে মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় কুয়েতে পাপুলের চার বছর সাজা ও অর্থদণ্ড হয়। পরবর্তী সময়ে পাপুলের চার বছর থেকে সাজা বাড়িয়ে সাত বছর করেছেন আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২২ ফেব্রুয়ারি শূন্য হয় আসনটি। তফসিল ঘোষণা করে (১১ এপ্রিল) নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পরে আবারও ২১ জুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
ওই দিন সকাল থেকে রায়পুর উপজেলার পৌরসভাসহ ১০ ইউনিয়নের ৭৩ কেন্দ্র ও সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৬৩ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট সম্পন্ন হয়। ভোটে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পাটি। এদিকে আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হলেও নির্বাচনে অংশ নেয়নি দলটি। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন (নৌকা প্রতীক) ১ লাখ ২২ হাজার ৫৪৭ ভোট পেয়ে নীরবে জয় লাভ করেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মোহাম্মদ ফায়েজ উল্যা শিপন (লাঙল প্রতীক) পান মাত্র ১ হাজার ৮৮৬ ভোট। এখন পাপুল 'আউট' হয়ে আসনটির নতুন সাংসদ হিসেবে 'ইন' হয়েছেন অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের মামলায় ফেনী সেন্ট্রাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন তসলিমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা শহর থেকে গ্রেপ্তারের পর বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
২ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পদ্মা নদীতে নৌকা থেকে পড়ে ডলার মিয়া (২৭) নামে এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। আজ বুধবার পদ্মা নদীর দশ রশিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহীর ডুবুরি দল পদ্মা নদীতে তিন ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে নিখোঁজ যুবকের সন্ধান পাননি।
৫ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে প্রতিপক্ষের মারধরে মো. স্বপন মিয়া (৩৫) নামের এক কৃষককে হত্যা করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ এলাকায় নেওয়া হয়েছে।
৭ মিনিট আগেরাজধানীর ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। বিকেল সোয়া ৪টার সময় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল।
২২ মিনিট আগে