চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করে দেওয়ার জন্য তাবিজ লাগবে, আর সেই তাবিজের ভেতর কিছু আপত্তিকর ছবি ঢুকিয়ে দিতে হবে। সেটা পড়লে কাজ হবে। পরে কবিরাজের কথামতো ৩২ বছর বয়সী এক প্রবাসী নারী তাঁর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাঠায়। পরে ওই কবিরাজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেসব আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারীর কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। গত ২৩ জুলাই চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার তদন্তে এসব তথ্য জেনেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের সন্দীপ উপজেলা থেকে মো. সাইফুল নামে অভিযুক্ত কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। গ্রেপ্তার প্রতারক সন্দীপ উপজেলার মগধরা গ্রামের মৃত মাজাহারুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ বলেছে, আজ শনিবার বিকেলে অভিযুক্ত সাইফুলকে আদালতে তোলা হয়েছে। আদালতে তাঁর জবানবন্দি গ্রহণের কথা রয়েছে।
সিআইডি পুলিশের চট্টগ্রামের পরিদর্শক মুহাম্মদ শরীফ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে আমেরিকা প্রবাসী এক নারীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। সেই নারী পরে ওই কবিরাজের দ্বারস্থ হন। এ সময় সাইফুল পারিবারিক অশান্তি দূর ও স্বামীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন ওই নারীকে। এ জন্য একটি তাবিজ পড়তে হবে বলে জানায়। সেই তাবিজে ওই নারীর কিছু নগ্ন ছবি ও ভিডিও কাগজ আকারে ঢুকিয়ে দিতে হবে বলা হয়। এ জন্য কয়েকটি ছবি ও ভিডিও তাঁকে পাঠাতে বলেন।’
মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘কবিরাজের কথামতো ভুক্তভোগী নারী পরে ১১টি ছবি ও ৯টি ভিডিও হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দেয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিওগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন সময় ওই নারীর কাছ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ওই প্রতারক।
সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনাটির তদন্তভার পেয়ে সিআইডি এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাইফুল কবিরাজকে শনাক্তের পর সন্দীপ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার সাইফুল কবিরাজ একইভাবে একাধিক নারীকে জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তারের পর তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক নারীর ছবি ও ভিডিও পাওয়া যায়। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। এ ছাড়া প্রবাসী ওই নারীর ৩টি আপত্তিকর ছবি ও ২.৪৯ সেকেন্ড এর ভিডিও আসামির মোবাইল থেকে জব্দ করেছি।’
সিআইডি বলেছে, বিভিন্ন নারীকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এদের একটি চক্র রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক, ওয়াটস অ্যাপ, ইমোসহ বিভিন্নভাবে তাঁরা সক্রিয়। একইভাবে চক্রটি এর আগেও বিভিন্ন নারীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও নিয়ে জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই প্রবাসী নারী ১০–১২ বছর ধরে স্বামী সন্তানকে নিয়ে আমেরিকায় বসবাস করছেন। তাঁর পক্ষে দেবর মোহাম্মদ রাশেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন আসামির ‘কষ্টের জীবন’ ও ‘প্রাইস রাজ’ নামে দুটি ফেসবুক আইডির তথ্য উল্লেখ রয়েছে। অন্যদিকে সাইফুল কবিরাজ ‘মাওলানা আব্দুল কাদের চরমনায়’ নামে ফেসবুক আইডি ও ‘নিষ্ঠুর এ দুনিয়া’ নামে হোয়াটস অ্যাপ ও ইমো আইডি ব্যবহার করে অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
এ অভিযোগে আরেক অভিযুক্ত হলেন সাহেদা বেগম নামে এক নারী। সাহেদা বেগমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, ‘যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁদের আমি চিনি না। আর এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। তাঁর স্বামী একজন দুবাই প্রবাসী। আমি রাউজানে শ্বশুর বাড়িতে থাকি।’
জানতে চাইলে মামলার বাদী রাশেদ বলেন, ‘অভিযুক্তরা কোনো না কোনোভাবে এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাই তাঁদের এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। সামাজিক চক্ষু লজ্জার ভয়ে চক্রটিকে দফায় দফায় টাকা দিতে হয়েছে। পরে তাঁরা বিভিন্ন সময় আরও টাকা দাবি করে।’
স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করে দেওয়ার জন্য তাবিজ লাগবে, আর সেই তাবিজের ভেতর কিছু আপত্তিকর ছবি ঢুকিয়ে দিতে হবে। সেটা পড়লে কাজ হবে। পরে কবিরাজের কথামতো ৩২ বছর বয়সী এক প্রবাসী নারী তাঁর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাঠায়। পরে ওই কবিরাজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেসব আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারীর কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। গত ২৩ জুলাই চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার তদন্তে এসব তথ্য জেনেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের সন্দীপ উপজেলা থেকে মো. সাইফুল নামে অভিযুক্ত কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। গ্রেপ্তার প্রতারক সন্দীপ উপজেলার মগধরা গ্রামের মৃত মাজাহারুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ বলেছে, আজ শনিবার বিকেলে অভিযুক্ত সাইফুলকে আদালতে তোলা হয়েছে। আদালতে তাঁর জবানবন্দি গ্রহণের কথা রয়েছে।
সিআইডি পুলিশের চট্টগ্রামের পরিদর্শক মুহাম্মদ শরীফ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে আমেরিকা প্রবাসী এক নারীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। সেই নারী পরে ওই কবিরাজের দ্বারস্থ হন। এ সময় সাইফুল পারিবারিক অশান্তি দূর ও স্বামীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন ওই নারীকে। এ জন্য একটি তাবিজ পড়তে হবে বলে জানায়। সেই তাবিজে ওই নারীর কিছু নগ্ন ছবি ও ভিডিও কাগজ আকারে ঢুকিয়ে দিতে হবে বলা হয়। এ জন্য কয়েকটি ছবি ও ভিডিও তাঁকে পাঠাতে বলেন।’
মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘কবিরাজের কথামতো ভুক্তভোগী নারী পরে ১১টি ছবি ও ৯টি ভিডিও হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দেয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিওগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন সময় ওই নারীর কাছ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ওই প্রতারক।
সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনাটির তদন্তভার পেয়ে সিআইডি এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাইফুল কবিরাজকে শনাক্তের পর সন্দীপ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার সাইফুল কবিরাজ একইভাবে একাধিক নারীকে জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তারের পর তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক নারীর ছবি ও ভিডিও পাওয়া যায়। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। এ ছাড়া প্রবাসী ওই নারীর ৩টি আপত্তিকর ছবি ও ২.৪৯ সেকেন্ড এর ভিডিও আসামির মোবাইল থেকে জব্দ করেছি।’
সিআইডি বলেছে, বিভিন্ন নারীকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এদের একটি চক্র রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক, ওয়াটস অ্যাপ, ইমোসহ বিভিন্নভাবে তাঁরা সক্রিয়। একইভাবে চক্রটি এর আগেও বিভিন্ন নারীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও নিয়ে জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই প্রবাসী নারী ১০–১২ বছর ধরে স্বামী সন্তানকে নিয়ে আমেরিকায় বসবাস করছেন। তাঁর পক্ষে দেবর মোহাম্মদ রাশেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন আসামির ‘কষ্টের জীবন’ ও ‘প্রাইস রাজ’ নামে দুটি ফেসবুক আইডির তথ্য উল্লেখ রয়েছে। অন্যদিকে সাইফুল কবিরাজ ‘মাওলানা আব্দুল কাদের চরমনায়’ নামে ফেসবুক আইডি ও ‘নিষ্ঠুর এ দুনিয়া’ নামে হোয়াটস অ্যাপ ও ইমো আইডি ব্যবহার করে অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
এ অভিযোগে আরেক অভিযুক্ত হলেন সাহেদা বেগম নামে এক নারী। সাহেদা বেগমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, ‘যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁদের আমি চিনি না। আর এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। তাঁর স্বামী একজন দুবাই প্রবাসী। আমি রাউজানে শ্বশুর বাড়িতে থাকি।’
জানতে চাইলে মামলার বাদী রাশেদ বলেন, ‘অভিযুক্তরা কোনো না কোনোভাবে এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাই তাঁদের এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। সামাজিক চক্ষু লজ্জার ভয়ে চক্রটিকে দফায় দফায় টাকা দিতে হয়েছে। পরে তাঁরা বিভিন্ন সময় আরও টাকা দাবি করে।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৭ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৮ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৮ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৯ ঘণ্টা আগে