কানের দুলের জন্য শিশুকে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা, নারী আটক 

চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৪, ২২: ৪৪

চাঁদপুরের হাইমচরে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ফাতেমা আক্তার সামিয়া (৯) নামের এক শিশুকে নূপুর কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় সুফিয়া বেগম (৩৮) নামে নারীকে স্থানীয় লোকজন আটক করে সদর মডেল থানা-পুলিশে সোপর্দ করে। 

আজ রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে হাইমচর উপজেলার গন্ডামারা সরকারি বিদ্যালয়ের সামনে থেকে অপহরণ হয় শিশুটি। 

অপহরণ হওয়া শিশু সামিয়া গন্ডামারা গ্রামের হাজী বাড়ির প্রবাসী মো. খোকন হাজীর মেয়ে এবং ১৯ নম্বর উত্তর গন্ডামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত সুফিয়া বেগম একই গ্রামের মুনশি বাড়ির হোসেন মুনশির স্ত্রী। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল ১০টায় গন্ডামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে শিশু সামিয়াকে নূপুর কিনে দেওয়ার কথা বলে ওই নারী অটোরিকশা করে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাখরপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে মহিলা শিশুটির কানে থাকা স্বর্ণের দুল খুলতে চাইলে শিশুটি অটোরিকশা থেকে নেমে দৌড় দেয়। মহিলাও পেছন থেকে দৌড়ে গিয়ে ধরে কানের দুল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটি চিৎকার দিলে তার মুখ কাঁদা মাটি দিয়ে চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে আরেক অটোরিকশা চালক মো. জয়দুল শিশুর কান্নার শব্দ শুনে এগিয়ে যায় এবং শিশুটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। লোকটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে মহিলাটিকে আটক করে রাখে। পরে ঘটনাস্থলে চাঁদপুর সদর মডেল থানা ও হাইমচর থানার পুলিশ এসে শিশু ও মহিলাকে চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়ে যায়। 

ঘটনাস্থল এলাকার লোকজন জানায়, ধারণা করা হচ্ছে স্বর্ণের কানের দুলের লোভে মহিলা ওই শিশুকে হত্যার চেষ্টা করে। ওই সময় অটোরিকশা চালক উপস্থিত না হলে ফুটফুটে শিশুটি প্রাণ হারাত। মহিলার কঠিন শাস্তি হওয়া উচিৎ। 

অপহরণের শিকার শিশু সামিয়া বলে, ‘স্কুলের বারান্দায় থেকে ওই মহিলা আমাকে আম্মুর কথা বলে বাইরে ডেকে নিয়ে যায়। আম্মুকে না দেখে আমি চলে যাইতে চাইলে উনি আমাকে বলে, ‘‘তোমার আম্মু তোমাকে নূপুর কিনে দিবে। আমাকে বলেছে, তোমাকে বাজারে নিয়ে যেতে।’’ পরে আমাকে অটোরিকশা করে বাজারের দিকে নিয়ে যায় এবং অটোরিকশাতে আমার কানের দুল খোলার চেষ্টা করে। আমি অটোরিকশা থেকে নেমে দৌড় দিলে তিনি পেছন থেকে এসে আমার মুখ মাটিতে পা দিয়ে চেপে ধরে। আমি চিৎকার দিলে লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে।’’’

রাতে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া ঘটনার বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই নারী থানা হেফাজতে আছে। তাকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিশুকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত